আজমিরীগঞ্জে কৃষকের স্বপ্ন দুলছে রোপা ধানের সবুজ পাতায়
- আপডেট টাইম : ০২:৩৬:০৫ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ৩১ ৫০০০.০ বার পাঠক
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওয়রে ফসলের মাঠ জুরে শুধো সবুজ আর সবুজ ধানের চারা। যে দিকে চোখ যায় শুধো সবুজের সমারোহ ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা।
মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজপাতা, আর আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কৃষকের মনে উঁকি দিচ্ছে এক ভিন্ন আমেজ। সবুজ ঘেরা রোপা আমনের মাঠ দেখে বারবার ফিরে তাকায় কৃষক, থমকে দাঁড়ায় পথিক। আর কিছু দিনের মধ্যেই সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। পাশাপাশি কৃষকের মুখে ফুটে উঠবে হাসি।
এবারের মৌসুমের শুরু থেকেই রোপা আমন লাগাতে কৃষকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আষাঢ় মাসের মাঝামাঝিতে আমন ধান চাষ করার নিয়ম থাকলেও বন্যার আক্রমণ এবং পানি নামতে দেরি হওয়ায় তা করতে পারেননি কৃষকরা। ধান রোপণে বিপাকে পড়তে হয়
কৃষকদের। দেরিতে বন্যার পানি নামলে ও ইতোমধ্যে আমন রোপণ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ না হয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ কম করা হয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আজমিরীগঞ্জ
উপজেলায় ৭৭০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে কম চাষ করা হয়েছে বন্যার কারনে ।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক রুবেল আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং সময়মত বৃষ্টি হওয়ার কারণে রোপা আমন ধানের চারাগুলো দেখে মনে হয় এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে এবং তারা বেশ লাভবান হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন। ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারলে তাদের সারা বছরের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে।
উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকায় আমন ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। প্রতিটি খেতে ধানের চারা উঁকি দিয়ে রয়েছে । কৃষকরা তাদের ধানের জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এ বিষয় নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লুথফে আল মঈজ জানান এ বছরের রুপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৭০০হেক্টর, তবে বন্যা হওয়ার করনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০হেক্টর কম আবাদ হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুযোর্গ না ঘটলে এবছর আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণত মাজরা পোকা ও বাদামী ফড়িং এবং গোড়া পঁচা রোগসহ ধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ এখন পর্যন্ত হয়নি। এতে কৃষকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় যথাসময়ে জমিতে সার ও কিটনাশক প্রয়োগের ফলে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।