ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ঘাড় ধরে তাড়ানো হবে দালাল বিচারকদের ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল বিচারকদের বিরুদ্ধে আইনজীবী নেতৃবৃেন্দর হুশিয়ারী মোংলায় ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক আওয়ামী জোটের নেতা মেননের ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ফুলবাড়ীতে ইউপি সদস্যদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে আম্পায়ার এন্ড স্কোয়ার্স এসোসিয়েশন এর পরিচিতি সভা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতি চিরতরে অবসরে পাঠালেন বিচারকাজে অংশ নিতে পারবেন না আয়নাঘরের মূলহোতা আমি, এসব কিভাবে বানান’ আদালতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান হাইকোর্ট ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা মোংলায় ৫ লক্ষ টাকার ঘের দখলের অভিযোগ

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:০০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র‍্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এর আগে, রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ করেন মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। সে সময় পাঁচ বছর বয়সি তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ ওই বাড়িতে ছিল। হত্যাকাণ্ডে রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

মামলার পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল। আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ এখন পর্যন্ত ১১৩ বার পেছানো হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:০০ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত ৬ মাসের মধ্যে শেষ করতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ আদেশে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র‍্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

এর আগে, রোববার সাগর-রুনি হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো আইনজীবী শিশির মনিরকে নিয়োগ করেন মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় খুন হন। সে সময় পাঁচ বছর বয়সি তাদের একমাত্র ছেলে মাহির সারোয়ার মেঘ ওই বাড়িতে ছিল। হত্যাকাণ্ডে রুনির ভাই নওশের আলী রোমান শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।

মামলার পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের ব্যর্থতার পর মামলাটি র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল। আলোচিত এই সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ এখন পর্যন্ত ১১৩ বার পেছানো হয়েছে।