আসন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্দেশনায় সারাদেশের ন্যায় মোংলাতেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম উপাসনালয়ের মন্দিরে শান্তি, শৃঙ্খলা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সারাদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দরা আহ্বান জানাচ্ছেন। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার, নির্যাতন,নিপীড়ন করবে তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে এবং দলের কোনো লোক অসাম্প্রদায়িক আচরণ করলে সংগঠনিক ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুনিরা গত ১৭ বছর ধরে দেশে সাধারণ জনগণের উপর অন্যায় – অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করতে হবে দেশের জনগণকে। হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপর যদি কেউ সংঘাত চালায় তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। সোমবার(৭’ই অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩’টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন তারা । মোংলা উপজেলার বিভিন্ন মন্দির ঘুরে এসে সন্ধ্যায় পৌর শহরের কেন্দ্রীয় বটতলা মন্দির পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং এর সময় বাগেরহাট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এবং কেন্দ্রীয় কমিটির মজলিসে সুরা সদস্য এ্যাডভোকেট মাওলানা শেখ আঃ ওয়াদুদ বলেন, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে মন্দিরে আনসার পুলিশ ও রাইফেল লাগবেনা। এ দেশে মুসলমানদের যদি মসজিদে পাহারা দরকার না হয়, তাহলে আমাদের পরম বন্ধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পূজার মন্ডপে পাহারার আর দরকার হবে না।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলতে কোন শব্দ নেই ও আগামীতেও থাকবে না। এ দেশে হিন্দু, মুসলিম ,বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান আমরা সবাই সমান – সমান অধিকারে ভোগ করবো, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানরা এ দেশের সু-নাগরিক। তাদেরও সকল ধরনের নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। আমরা এ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য দেশ ও মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চাই এবং আগামীতেও করবো ইনশাআল্লাহ।

এ সময় মোংলা থানা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মোঃ কোহিনুর সরদার বলেন, গত ৫ আগস্টের পরবর্তী থেকে আমরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের জানমাল রক্ষায় নিজেদেরকে নিবেদিত রেখেছি। আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনকে ঘিরেও মোংলা উপজেলার মন্দিরগুলোতে আমাদের জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য দায়িত্বে থাকবেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা সেক্রেটারি আবু হানিফ, মোংলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নাছির উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি হাফিজুর রহমান ও সুন্দরবন ইউনিয়ন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ জাকারিয়া শেখ প্রমূখ।