ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শসা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শতাধিক আহত ভৈরবে ব্যবসায়ী কে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টা ও চোখ উৎপাটনকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আকবর নগর বাস স্টেশনে সামনে আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা ঠেকাতে কোম্পানীগঞ্জে বিক্ষোভ বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপু বিশ্বাসকে যা বলেন শাকিব খান পাথরঘাটায় জামায়াতের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত বিধ্বস্তের আগে সাহায্য চেয়ে পাইলটের বার্তা, এরপর সব নিস্তব্ধ ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বলল ইসলামী আন্দোলন ১৪৫ বছরে যা হয়নি, লর্ডস দেখেছে সেই কীর্তি কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর

সুনামগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুই উপজেলায় নিহত-৬ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৮:২৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৮৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

সুনামগঞ্জ জেলার দুই উপজেলা জগন্নাথপুর ও ধর্মপাশায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও দুই পরিবারের চারটি ঘর পুড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর মারফতে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের আশিক আলীর বাড়িতে তাঁর মেয়ে সাজনা বেগম পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।এক সপ্তাহ আগে সাজনা বেগম বসতঘরটি তালা দিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যান। ২৯(সেপ্টেম্বর)রোববার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করে ওই ঘর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান আশিক আলী।এ সময় তাঁর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।ততক্ষণে অগ্নিকাণ্ডে সাজনা বেগমের দুটি বসত ঘর ও পাশের আব্দুল জলিলের গরুঘর ও লাকড়ির ঘর হিসেবে ব্যবহৃত দুটি কক্ষ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত সাজনা বেগম বলেন,কীভাবে আগুনের সূত্রপাত জানি না।ঘরটি তালাবন্ধ ছিল।সবকিছু পুড়ে ছাঁই জয়ে গেছে।সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়ছে।
এ-ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অপরদিকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে একই পরিবারের ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ৬ জনের মধ্যে চারজনই শিশু।
ঘটনার সময় বসতঘরের দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্হানীয়রা জানান,৩০(সেপ্টেম্বর) সোমবার মধ্যেরাতে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমের খাল এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের লোকজন সহ ঘুমিয়ে পড়েন এমারুল(৪৮)।
হঠাৎ মধ্যরাতে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পান পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন।ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ থাকায় আগুন নিবানোর চেষ্টা চালালেও চোখের পলকেই অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় সারা বসত ঘরটি।
এ-সময় ঘরের ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ওই পরিবারের চার শিশুসহ ছয় জন।
নিহতরা হলেন-এমারুল(৪৮),তার স্ত্রী পলি বেগম
(৪২),চার শিশুসন্তান পলাশ (৯),ফরহাদ (৭),ফাতেমা (৫) ও ওমর ফারুক (৩)।
ধর্মপাশা থানার পুলিশ পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক জানান,১(অক্টোবর)মঙ্গলবার সকালে সীমের খাল থেকে ছয়জনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।

এ-মর্মান্তিক ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্ম-কর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন,ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবং
মরদেহ দাফনে উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন আশ্বাস প্রদান করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুনামগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুই উপজেলায় নিহত-৬ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন

আপডেট টাইম : ০৮:২৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলার দুই উপজেলা জগন্নাথপুর ও ধর্মপাশায় অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও দুই পরিবারের চারটি ঘর পুড়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর মারফতে জানাযায়, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের আশিক আলীর বাড়িতে তাঁর মেয়ে সাজনা বেগম পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।এক সপ্তাহ আগে সাজনা বেগম বসতঘরটি তালা দিয়ে স্বামীর বাড়িতে চলে যান। ২৯(সেপ্টেম্বর)রোববার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করে ওই ঘর থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান আশিক আলী।এ সময় তাঁর চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।ততক্ষণে অগ্নিকাণ্ডে সাজনা বেগমের দুটি বসত ঘর ও পাশের আব্দুল জলিলের গরুঘর ও লাকড়ির ঘর হিসেবে ব্যবহৃত দুটি কক্ষ পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত সাজনা বেগম বলেন,কীভাবে আগুনের সূত্রপাত জানি না।ঘরটি তালাবন্ধ ছিল।সবকিছু পুড়ে ছাঁই জয়ে গেছে।সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়ছে।
এ-ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অপরদিকে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আগুনে পুড়ে একই পরিবারের ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ৬ জনের মধ্যে চারজনই শিশু।
ঘটনার সময় বসতঘরের দরজা জানালা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্হানীয়রা জানান,৩০(সেপ্টেম্বর) সোমবার মধ্যেরাতে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শীমের খাল এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে প্রতিদিনের ন্যায় রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে পরিবারের লোকজন সহ ঘুমিয়ে পড়েন এমারুল(৪৮)।
হঠাৎ মধ্যরাতে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পান পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন।ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ থাকায় আগুন নিবানোর চেষ্টা চালালেও চোখের পলকেই অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয় সারা বসত ঘরটি।
এ-সময় ঘরের ভেতরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ওই পরিবারের চার শিশুসহ ছয় জন।
নিহতরা হলেন-এমারুল(৪৮),তার স্ত্রী পলি বেগম
(৪২),চার শিশুসন্তান পলাশ (৯),ফরহাদ (৭),ফাতেমা (৫) ও ওমর ফারুক (৩)।
ধর্মপাশা থানার পুলিশ পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক জানান,১(অক্টোবর)মঙ্গলবার সকালে সীমের খাল থেকে ছয়জনের অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়েছে।

এ-মর্মান্তিক ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্ম-কর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন,ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানা পুলিশ পরিদর্শক এনামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবং
মরদেহ দাফনে উপজেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন আশ্বাস প্রদান করেন।