ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
শহরের প্রান কেন্দ্রে অবস্থিত ৪৫ বছরের পুরানো এ প্রতিষ্ঠান নাম হলো আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ অথচ কলেজ শাখায় একজন ছাত্র/ছাত্রীও নেই মঠবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বনিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠনের প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন গাজীপুরে দুর্নীতিবাজ ভূমি কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এটিএম আজহারুলের মুক্তির দাবিতে গণঅবস্থানের ডাক জামায়াতের চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার কারা পেয়েছে? যা বললেন ট্রাম্প অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল বাংলা ৫২ নিউজ ডটকম এর ৯ম বর্ষপূর্তি আজশনিবার সকাল দশটায় পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় উদযাপিত হয় কোনাবাড়িতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া: আতঙ্কে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ৩৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মায়ের সন্ধান পেল সাংবাদিক আশিকুর রহমান জামাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন মোংলা পৌর শাখার উদ্যোগে মোংলা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসায় দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

পাথরঘাটায় ছাত্রদলের দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি,
  • আপডেট টাইম : ০৩:১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১৩০ ৫০০০.০ বার পাঠক

বরগুনার পাথরঘাটায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয় পক্ষ শহরে মারমুখী অবস্থান নেয়। এ সময় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত পাথরঘাটা শহরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে হাসিবুল্লাহসহ ও তার সমর্থকরা। বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের বিরুদ্ধে দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।’ হাসিবুল্লাহ পক্ষ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনির ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জামালের ছত্রছায়ায় এগুলো করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামুন।

এছাড়াও শুক্রবার পাথরঘাটা গোল চত্তরে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একাংশকে সাইফুল ইসলাম জামালের বিরুদ্ধে হই হই রই রই জামাল তুই গেলি কই বলে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান ও কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বক্তব্য প্রদান করতে দেখা গেছে।

পাল্টা অভিযোগ করে যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ সাহজাদার একনিষ্ঠ বন্ধু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ। মামুনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের মাধ্যমে দলের সিনিয়র নেতারা অপমানিত হচ্ছেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’

তবে হাসিবুল্লাহর অভিযোগকে ছাত্রদলসহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাস্যকর বলে মন্তব্য করে বলেন, মামুন আহমেদ পাথরঘাটা ছাত্রদলের দুর্দিনে অনেক অবদান রয়েছে মামলা হামলার শিকার হয়ে অনেক ত্যাগ সহ্য করেছেন মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে হাসিবুল্লাহর এ সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নীরব দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর পাথরঘাটা শহরে লিকার পট্টি এলাকায় মামুন ও হাসিবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করে।

এর আগে সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের নীলিমা পয়েন্টে মামুন ও হাসিবুল্লাহ গ্রুপের ছোট ভাইদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সন্ধ্যার পর শহরের উত্তেজনা বিরাজ করে।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘দুই গ্রুপের ভুল বোঝাবুঝির কারণে সন্ধ্যায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সিনিয়ররা উভয় পক্ষকে শান্ত করে সরিয়ে দিয়েছি। পরে বসে সমাধান করা হবে।’

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যার পরে ছাত্রদলের উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। পাথরঘাটা থানায় কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাথরঘাটায় ছাত্রদলের দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আপডেট টাইম : ০৩:১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

বরগুনার পাথরঘাটায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে উভয় পক্ষ শহরে মারমুখী অবস্থান নেয়। এ সময় শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত পাথরঘাটা শহরে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও বিএনপির সিনিয়র নেতারা উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

জানা যায়, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে হাসিবুল্লাহসহ ও তার সমর্থকরা। বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের বিরুদ্ধে দখলদারি, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।’ হাসিবুল্লাহ পক্ষ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনির ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম জামালের ছত্রছায়ায় এগুলো করে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মামুন।

এছাড়াও শুক্রবার পাথরঘাটা গোল চত্তরে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের একাংশকে সাইফুল ইসলাম জামালের বিরুদ্ধে হই হই রই রই জামাল তুই গেলি কই বলে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান ও কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বক্তব্য প্রদান করতে দেখা গেছে।

পাল্টা অভিযোগ করে যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আহমেদ সাহজাদার একনিষ্ঠ বন্ধু উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মামুন আহমেদ। মামুনের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের মাধ্যমে দলের সিনিয়র নেতারা অপমানিত হচ্ছেন, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।’

তবে হাসিবুল্লাহর অভিযোগকে ছাত্রদলসহ বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাস্যকর বলে মন্তব্য করে বলেন, মামুন আহমেদ পাথরঘাটা ছাত্রদলের দুর্দিনে অনেক অবদান রয়েছে মামলা হামলার শিকার হয়ে অনেক ত্যাগ সহ্য করেছেন মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে হাসিবুল্লাহর এ সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

জানা যায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগির হোসেন লিয়ন সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নীরব দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জের ধরে শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর পাথরঘাটা শহরে লিকার পট্টি এলাকায় মামুন ও হাসিবুল্লাহ গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা জড়ো হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করে।

এর আগে সন্ধ্যার পর পৌর এলাকার দুই নম্বর ওয়ার্ডের নীলিমা পয়েন্টে মামুন ও হাসিবুল্লাহ গ্রুপের ছোট ভাইদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সন্ধ্যার পর শহরের উত্তেজনা বিরাজ করে।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘দুই গ্রুপের ভুল বোঝাবুঝির কারণে সন্ধ্যায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সিনিয়ররা উভয় পক্ষকে শান্ত করে সরিয়ে দিয়েছি। পরে বসে সমাধান করা হবে।’

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যার পরে ছাত্রদলের উভয় পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। পাথরঘাটা থানায় কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি।