ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির আখড়া বরগুনার পাসপোর্ট অফিস, দালাল ছাড়া মিলছে না পাসপোর্ট কাশেমপুর থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বিট্টিমরাই স্কুল ছাত্র মোঃ রাব্বি নিজ খালাকে আটকিয়ে ? ওসি সাইফুল ইসলাম মোটা অংকের টাকার বিনিময় তাদের আসামি করে গ্রেফতার দেখান আনন্দবাজারকে ডা. শফিকুর রহমান কোনও রাজনৈতিক দলকে খারিজ বা সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে যে তারা সংস্কার চায় না, তাহলে এখনই নির্বাচন দিয়ে দেবো: ড. ইউনূস দেশবাসীকে ফের কাঁদালেন শহিদ নাফিজের মা

ভর্তি নিয়ে প্রতারণা, লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার আভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : ০১:৩১:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ছাত্র ভর্তি নিয়ে প্রতারণা করে কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন।
গত কাল রবিবার বিকেলে রায়পুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছেলের পড়াশোনার ভবিষ্যত চিন্তা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলমের কন্যা তার ছেলেকে কলেজে মর্যাদার সহিত সকল প্রকার ছাত্র অধিকার ফিরে দাবি জানান।
এসময় হাতজোড় করে কেঁদে কেঁদে ভুক্তভুগী তার ছেলে মুনতাসির সিয়াম কে নিঃস্বার্থ ও নিঃশর্ত ভাবে ক্ষতিপূরণ সহ মর্যাদার সহিত সকল প্রকার ছাত্র অধিকার পাওয়ার আবেদন প্রসঙ্গ তুলে বলেন,  লক্ষ্মীপুর জেলায় অবস্থিত প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের নির্দেশনা মোতাবেক বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় যথাসময়ে ভর্তির অনুমতি নিয়ে আমার সন্তানের একাডেমিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থিত হই। কর্তৃপক্ষ আমার ছেলের ভর্তি নিশ্চিত হবে বলিয়া আশ্বস্ত করেন।  কিন্তু দুঃখের বিষয়ে এই যে কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আমার ছেলের একাডেমিক সকল কাগজপত্র দিলেও তিনি কলেজ নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে ভর্তি নিশ্চিত না করে ভর্তি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ছেলেকে কলেজ হোস্টেলে আসিয়া ক্লাস করার জন্য বলেন।  আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের কথামত আমার ছেলেকে কলেজ হোস্টেলে দিয়া আসি এবং আমার ছেলে নিয়মিত ক্লাস করার জন্য কলেজ নির্দেশনা মোতাবেক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করি। পরবর্তীতে আমি কলেজে গিয়ে আমার ছেলের রোল নম্বর জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন,  আপনার ছেলের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি তাই সে পরীক্ষা দিতে পারবে না এবং আপনার ছেলে কলেজের কোন পরীক্ষা কিংবা কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।  তখন আমি ছেলের ভর্তি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন,  আপনার ছেলের ভর্তির সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।  এখন ছেলেকে পূনরায় ভর্তি করতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সকল নির্দেশনা ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের সকল দায় দায়িত্ব আপনি একাই বহন করতঃ অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।  নচেৎ ভর্তি কাজ সম্পন্ন করা যাবে না।  আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের উক্ত কথায় সম্মত হয়ে ১ম ধাপে ৭৫ টাকার একটি স্টাম্পে আমি নিজে ও ২য় ধাপে আমি দরখাস্তকারীর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলমকে স্বাক্ষী রেখে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প ২টিতে অঙ্গীকারনামা লিখে স্বাক্ষর করে বোর্ড কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কলেজে পূনরায় ভর্তি করাই। যাহাতে আমার ছেলের কলেজ রোল নম্বর -২৪১। পরবর্তীতে আমার ছেলে কলেজে নিয়মিত ক্লাস করতে চাইলে আমার ছেলে বিগত ক্লাস না করা এবং সর্বশেষ ২য় পর্ব পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করা ও শ্রেণী কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকা এবং কলেজে দেওয়া অঙ্গীকারনামার শর্ত মোতাবেক আমি ও আমার ছেলে মানি নাই বলিয়া সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়া আমার ছেলের নামমাত্র ভর্তি বাতিল করে কলেজ থেকে বাহির করে দেয়। আমি অনেক অনুরোধ করা স্বত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার অনুরোধ না শুনিয়া আমার সঙ্গে অসম্মানজনক ব্যবহার করেন এবং আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেন।  কলেজ প্রিন্সিপাল সহ কর্তৃপক্ষ আমার ছেলের পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।  আমি বর্তমানে ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তায় জীবন যাপন করছি।  আমি  বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার,  ডিসি মহোদয় সহ সবাইকে জানিয়েও কোন ব্যবস্থা পাইনি।  কোথাও ন্যায় বিচার পায়নি সর্বশেষ গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে আমি আমার ছেলের ক্ষতিপূরণ সহ সকল প্রকার ছাত্র অধিকার ফিরে পেতে চাই।  আমার ছেলেকে ভর্তি থেকে শুরু করে এপর্যন্ত এক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন তাহার করা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভর্তি নিয়ে প্রতারণা, লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার আভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:৩১:৩৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্র ভর্তি নিয়ে প্রতারণা করে কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেন।
গত কাল রবিবার বিকেলে রায়পুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ছেলের পড়াশোনার ভবিষ্যত চিন্তা করে বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলমের কন্যা তার ছেলেকে কলেজে মর্যাদার সহিত সকল প্রকার ছাত্র অধিকার ফিরে দাবি জানান।
এসময় হাতজোড় করে কেঁদে কেঁদে ভুক্তভুগী তার ছেলে মুনতাসির সিয়াম কে নিঃস্বার্থ ও নিঃশর্ত ভাবে ক্ষতিপূরণ সহ মর্যাদার সহিত সকল প্রকার ছাত্র অধিকার পাওয়ার আবেদন প্রসঙ্গ তুলে বলেন,  লক্ষ্মীপুর জেলায় অবস্থিত প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল এন্ড কলেজের নির্দেশনা মোতাবেক বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করার জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় যথাসময়ে ভর্তির অনুমতি নিয়ে আমার সন্তানের একাডেমিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থিত হই। কর্তৃপক্ষ আমার ছেলের ভর্তি নিশ্চিত হবে বলিয়া আশ্বস্ত করেন।  কিন্তু দুঃখের বিষয়ে এই যে কলেজ কর্তৃপক্ষ কে আমার ছেলের একাডেমিক সকল কাগজপত্র দিলেও তিনি কলেজ নির্দেশনা মোতাবেক অনলাইনে ভর্তি নিশ্চিত না করে ভর্তি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আমার ছেলেকে কলেজ হোস্টেলে আসিয়া ক্লাস করার জন্য বলেন।  আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের কথামত আমার ছেলেকে কলেজ হোস্টেলে দিয়া আসি এবং আমার ছেলে নিয়মিত ক্লাস করার জন্য কলেজ নির্দেশনা মোতাবেক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করি। পরবর্তীতে আমি কলেজে গিয়ে আমার ছেলের রোল নম্বর জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন,  আপনার ছেলের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি তাই সে পরীক্ষা দিতে পারবে না এবং আপনার ছেলে কলেজের কোন পরীক্ষা কিংবা কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।  তখন আমি ছেলের ভর্তি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষ বলেন,  আপনার ছেলের ভর্তির সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে।  এখন ছেলেকে পূনরায় ভর্তি করতে চাইলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সকল নির্দেশনা ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের সকল দায় দায়িত্ব আপনি একাই বহন করতঃ অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।  নচেৎ ভর্তি কাজ সম্পন্ন করা যাবে না।  আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের উক্ত কথায় সম্মত হয়ে ১ম ধাপে ৭৫ টাকার একটি স্টাম্পে আমি নিজে ও ২য় ধাপে আমি দরখাস্তকারীর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আলমকে স্বাক্ষী রেখে ১০০ টাকার স্ট্যাম্প ২টিতে অঙ্গীকারনামা লিখে স্বাক্ষর করে বোর্ড কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কলেজে পূনরায় ভর্তি করাই। যাহাতে আমার ছেলের কলেজ রোল নম্বর -২৪১। পরবর্তীতে আমার ছেলে কলেজে নিয়মিত ক্লাস করতে চাইলে আমার ছেলে বিগত ক্লাস না করা এবং সর্বশেষ ২য় পর্ব পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করা ও শ্রেণী কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকা এবং কলেজে দেওয়া অঙ্গীকারনামার শর্ত মোতাবেক আমি ও আমার ছেলে মানি নাই বলিয়া সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়া আমার ছেলের নামমাত্র ভর্তি বাতিল করে কলেজ থেকে বাহির করে দেয়। আমি অনেক অনুরোধ করা স্বত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ আমার অনুরোধ না শুনিয়া আমার সঙ্গে অসম্মানজনক ব্যবহার করেন এবং আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেন।  কলেজ প্রিন্সিপাল সহ কর্তৃপক্ষ আমার ছেলের পড়াশোনা করে মানুষের মত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।  আমি বর্তমানে ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে খুবই চিন্তায় জীবন যাপন করছি।  আমি  বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার,  উপজেলা নির্বাহী অফিসার,  ডিসি মহোদয় সহ সবাইকে জানিয়েও কোন ব্যবস্থা পাইনি।  কোথাও ন্যায় বিচার পায়নি সর্বশেষ গণমাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে আমি আমার ছেলের ক্ষতিপূরণ সহ সকল প্রকার ছাত্র অধিকার ফিরে পেতে চাই।  আমার ছেলেকে ভর্তি থেকে শুরু করে এপর্যন্ত এক লক্ষ টাকা হাতিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। 

এবিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আমিন তাহার করা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।