গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমানের ভূমি দখলের বিভিন্ন সাধারণ ব্যবসায়িকের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৯:৪৭:০২ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক
ড্রিল মেশিন দিয়ে বাউন্ডারি ভেঙে রড খুলে নিলেন বিএনপি নেতা ছবি
সময়ের কন্ঠ অনুসন্ধানী রিপোর্ট।।
হেমার ড্রিল মেশিন দিয়ে প্রতিবেশীর মার্কেটের বাউন্ডারি ভেঙে রড পর্যন্ত খুলে নিয়েছেন বিএনপি নেতা। গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ভারারুল চৌরাস্তা সংলগ্ন টাইলস মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
মার্কেটের কেয়ারটেকার দুলাল মিয়া জানান, মার্কেট মালিক দলিল অনুযায়ী জমি কম বুঝে পেয়েছেন। তবুও কোনো বিবাদে না জড়িয়ে যতটুকু পেয়েছেন তাতেই বাউন্ডারি করে দীর্ঘ দিন যাবত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করছেন। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১২ আগস্ট ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান দলবল নিয়ে ১১০ ফিট লম্বা ওই বাউন্ডারি ভেঙে ফেলেন। তার দাবি- বাউন্ডারি তার ভাইয়ের জমির সীমানার ভেতর পড়েছে। অথচ ইতোপূর্বে তারা কখনই এমন দাবি করেননি। এমনকি বাউন্ডারি করার সময়ও কোনো বাধা বা আপত্তি করেননি।
তিনি জানান, মার্কেট মালিক কোনো রাজনীতি করেন না, তিনি প্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান ওই বাউন্ডারি ভেঙে ইট ও রড খুলে ভ্যানগাড়ি ভরে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, এলাকায় অতি লোভী কিছু ব্যক্তি আছেন, যারা বহিরাগত কেউ জমি কিনলে সুবিধা নিতে চান। মার্কেট বা বাড়ি করলে কেউ সরাসরি আবার কেউ পরোক্ষে চাঁদা চান। ওই মার্কেটের মালিকের কাছ থেকে কোনো সুবিধা না পেয়ে ঠুনকো অভিযোগে বাউন্ডারি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এমনকি হেমার ড্রিল মেশিন দিয়ে বাউন্ডারির সব রড খুলে লুটে নিয়েছে। মার্কেটের সিসি টিভি ফুটেজেও যার প্রমাণ রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় সার্ভেয়ার দিয়ে জমিটি মাপা হয়েছে। মার্কেট মালিককে জানানো হলেও তিনি মাপজোকের সময় উপস্থিত হননি। জমি মেপে বাউন্ডারিটি যেহেতু আমার ভাইয়ের জমির ভেতর পাওয়া যায় সেহেতু সেটি সরিয়ে নিতে মার্কেট মালিককে বলা হয়। বাউন্ডারি ভাঙতে যে লেবার খরচ হবে তা মার্কেট মালিককে দিতে বলি; কিন্তু তিনি খরচ না দেওয়ায় তার সম্মতিতেই বাউন্ডারি ভেঙে লেবার খরচ হিসেবে রডগুলো আমরা নিয়ে এসেছি,
এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।