লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর বরখাস্ত ও সাইফুল বাধ্যতামূলক অবসরে
- আপডেট টাইম : ০৯:৪৩:৩৬ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৫ ৫০০০.০ বার পাঠক
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমান ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর দুই পদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এই দুই কর্মকর্তার ব্যাপারে পৃথক দুটি আদেশ জারি করা হয়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমান এর আগে সেনা সদরদপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। পরে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক হন।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার সময় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে মজিবুর রহমান আলোচনায় এসেছিলেন। পরে তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) মহাপরিচালক হন।
দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছিল। এর আগে, তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। এ ছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী লুবনা আফরোজের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সন্তান ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।