বরগুনায় শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্ণীতির অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৩:৫৬:১০ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৩৭ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতারের বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে বরগুনা সদর উপজেলায় ২২৮ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ কোটি ১৬ লাখ ৮ হাজার টাকা স্লিপ বরাদ্দ দেয়া হয়। এই বরাদ্দের ৫০ এবং ৭০ হাজার টাকার বিল করাতে ভ্যাট আইটি বাদে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতারের নির্দেশে হিসাব সহকারী মোস্তাফিজা প্রতি বিদ্যালয় থেকে ৫-৭’শ টাকা উত্তোলন করেছেন বলে একাধিক শিক্ষকরা অভিযোগ করেন।
সদরের দক্ষিণ মাইঠা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, স্লিপের বিল করাতে এজির খরচ বাবদ ৫০০ টাকা হিসাব সহকারী মোস্তাফিজার কাছে দিয়েছি।
ঘূর্ণীঝড় রেমালের আঘাতে সদরে ৫৫ টি ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়ে ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়। এই বরাদ্দকৃত টাকার বিল করাতে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে বিদ্যালয় প্রতি ৫ হাজার টাকা দিতে হয়েছে বলে একাধিক শিক্ষকরা জানান।
সদরের বড়ইতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন অর রশীদ জানান, রেমাল ঘূর্ণী ঝড়ে তার বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই বরাদ্দের বিল করাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতারকে ৩ হাজার, ক্লাষ্টার এটিইও শওকত আলী খান হিরনকে ২ হাজার এবং অফিসে ৫’শ টাকা দিয়েছেন তিনি। অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতার মটর বাইক ব্যবহার করেননা, অথচ তিনি পেট্রল এবং মটর বাইক মেরামত বাবদ ভুয়া বিল ভাউচার বানিয়ে হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে তা পাশ করে ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
সদরের ১৯ টি বিদ্যালয়ে ইউনিসেফ থেকে ইমার্জেন্সী এডুকেশন কীটের কার্টুন বিতরণে টিইওর নির্দেশে বিদ্যালয় প্রতি ৩’শ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন চুক্তিভিত্তিক অফিস সহায়ক রনি।
স্লিপের বিল করতে স্কুল প্রতি ৫-৭’শ টাকা উত্তোলন করেছেন? এ প্রশ্নে হিসাব সহকারী মোস্তাফিজা টাকা উত্তোলন করেননি বলে অস্বিকার করেন।
ভুয়া বিল ভাউচারের ব্যাপরে শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরীনা আকতার বলেন, আমার মটর সাইকেল আছে তা বরিশালে বাসায়, ওটা আমি চালাইনা। আমি বরগুনায় বাসে আসা যাওয়া করি এবং ওই বাসের ভাড়াটাই আমি বিল করে নিয়েছি। এছাড়া অন্য অভিযোগগুলো তিনি অস্বিকার করেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু জাফর মোঃ সালেহ্ বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।