উজিরপুরে তৌহিদুজ্জামান সোহাগের দূরদর্শীতায় চাঞ্চল্যকর জোরা খুনের রহস্য উন্মোচন
- আপডেট টাইম : ১১:১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলায় চাঞ্চল্যকর জোরা খুনের ঘটনায় উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগের দূরদর্শিতায় খুনের মুল কারন ও রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামী সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগ জানান, ডাবল মার্ডার মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামী মোঃ কিবরিয়া হাওলাদার কে ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে সিলেট থেকে র্যাবের মাধ্যমে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হলে খুনের কারন ও রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়। আসামীর জবানবন্দীতে খুনের ঘটনা শিকার করে বলেন গত ১৭ মার্চ গভীর রাতে ইদ্রিস হাওলাদারের মালিকানাধীন মাছের ঘের জায়গাজমি নিয়ে দন্দের কারনে মুরগির খামার, পানি শেচ পাম্পে অগ্নি সংযোগ এর ঘটনায় ইদ্রিস হাওলাদার ও সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলদারের ও তার চাচাতো ভাই আসাদ হাওলাদার সহ ৪০ -৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রতিশোধ নিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন আসামীরা।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলাদার (৪০) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তার চাচাতো ভাই সাগর হাওলাদার (২৭)এর মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি পশ্চিম সাতলা ২নং ওয়ার্ডে ফিরছিলেন পথিমধ্যে সাতলা বড় ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের ঢালে গেলে একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধকরে ব্যবসায়ী ইদ্রিসকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কর্তন করে দেয় এ সময় মোটরসাইকেল চালক তার চাচাতো ভাই সাগর বাধা দিলে তাকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তাদের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আগৈলঝারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে রাত ১.৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ী ইদ্রিস হাওলদার মৃত্যুবরণ করেন তার কয়েক ঘন্টা পরে সাগরও মৃত্যুবরণ করেন। এতে পুরো এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয় এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ২৯ আগষ্ট কয়েক হাজার এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে দোষীদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নিহত ইদ্রিস হাওদারের স্ত্রী বাদী হয়ে ২৬ জনকে আসামী করে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে খুনের প্রধান আসামী সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করার খবরে এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে। মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা ও উজিরপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত মোঃ তৌহিদুজ্জামান সোহাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।