ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগর উপজেলা সদরে দিনে-দুপুরে ফ্ল্যাটে চুরি হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে. ড. রেজাউল করিম মঠবাড়ীয়া আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ইং ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর

ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতিতে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অবাক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে অবাক হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন,‘আমি যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অবাক যে উনি এ ধরনের কথা কেন বললেন।’

রোববার দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের প্রথম যৌথ সম্মেলনে ‘ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ’ বলে মন্তব্য করে সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ মোকাবিলায় জন্য তৈরি থাকতে বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করেন। জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণেরও পরামর্শ দেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন,‘আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা তিনি তার নিজের দেশের কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন কি না, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আর তিনি যেভাবে কথাটা বলেছেন, সেটা বিটিং এরাউন্ড দ্য বুশ অনেকটা।’

রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যটিকে ‘এলোমেলো মন্তব্য’ হিসেবে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, তারপরও রাজনাথ কেন বাংলাদেশের উল্লেখ করেছেন সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতের প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না বা হামাসের সঙ্গে যা হচ্ছে তাতেও ভারতের কী সম্পর্ক! ইউক্রেন এবং হামাস ইস্যুর সঙ্গে বাংলাদেশ কীভাবে তুলনীয় হয় এটাও আমার বোধগম্যতার বাইরে।’

শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক আশ্রয় যে কাউকে যেকোনো দেশ দিতে পারে। দেওয়া উচিত কি না, এ ক্ষেত্রে সেটা দেখার বিষয়।’

আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দিতে রাজি না উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারপরও কিছু ঢুকে যাচ্ছে এটা আমরা জানি। সেটাকে আমরা যতটুকু পারা যায় ঠেকানোর চেষ্টা করছি। বিজিবি প্রতিদিনই পুশব্যাক করছে। সামর্থ্যরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু যতটুকু পারছি আমরা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতিতে যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অবাক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে অবাক হয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন,‘আমি যতটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি অবাক যে উনি এ ধরনের কথা কেন বললেন।’

রোববার দুপুরে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের প্রথম যৌথ সম্মেলনে ‘ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ’ বলে মন্তব্য করে সশস্ত্র বাহিনীকে ভবিষ্যৎ যুদ্ধ মোকাবিলায় জন্য তৈরি থাকতে বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ।তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের পাশাপাশি বাংলাদেশের পরিস্থিতির উল্লেখ করেন। জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের এসব ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণেরও পরামর্শ দেন তিনি।

ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন,‘আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা তিনি তার নিজের দেশের কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন কি না, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আর তিনি যেভাবে কথাটা বলেছেন, সেটা বিটিং এরাউন্ড দ্য বুশ অনেকটা।’

রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যটিকে ‘এলোমেলো মন্তব্য’ হিসেবে উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, তারপরও রাজনাথ কেন বাংলাদেশের উল্লেখ করেছেন সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।কারণ ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতের প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না বা হামাসের সঙ্গে যা হচ্ছে তাতেও ভারতের কী সম্পর্ক! ইউক্রেন এবং হামাস ইস্যুর সঙ্গে বাংলাদেশ কীভাবে তুলনীয় হয় এটাও আমার বোধগম্যতার বাইরে।’

শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক আশ্রয় যে কাউকে যেকোনো দেশ দিতে পারে। দেওয়া উচিত কি না, এ ক্ষেত্রে সেটা দেখার বিষয়।’

আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দিতে রাজি না উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘তারপরও কিছু ঢুকে যাচ্ছে এটা আমরা জানি। সেটাকে আমরা যতটুকু পারা যায় ঠেকানোর চেষ্টা করছি। বিজিবি প্রতিদিনই পুশব্যাক করছে। সামর্থ্যরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু যতটুকু পারছি আমরা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছি।’