এইচ টি ইমামকে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান স্মরণ করে সংসদে শোক প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
- আপডেট টাইম : ০৩:২৪:৩৬ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১
- / ৩১৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে চরম নির্যাতনের শিকার হয়েও দৈনিক জনকন্ঠ এবং এর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদ কখনো নীতির প্রশ্নে আপোষ করেননি, বরং অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
ওই দুঃসময়ে দৈনিক জনকন্ঠের সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোটের চরম দুঃশাসনের সময় একটি মাত্র পত্রিকা দৈনিক জনকন্ঠ এবং এর সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ দায়িত্ব নিয়ে সত্য সংবাদ পরিবেশ করেছে। তার জন্য জনকন্ঠ সম্পাদককে খেসারতও দিতে হয়েছে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার, এমনকি তাঁর বাড়িটাও বুলডুজার দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করেছে। তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল। আতিকউল্লাহ খান মাসুদ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলেই নির্যাতনের মুখেও নীতির প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গেছেন। তাঁর অকাল মৃত্যুটা সাংবাদিক জগতে একজন সাহসী ও ভালো লোককে আমরা হারালাম।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের শুরুর দিনে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আলোচনা শেষে দৈনিক জনকন্ঠ সম্পাদকসহ অন্যান্যদের মৃত্যুতে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবটি জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।এ সময় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, এবারের করোনাভাইরাসটা হঠাৎ করে খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশেও এমন দ্রুত বাড়ছে যে চিন্তাও করা যায় না। করোনার ভ্যাকসিনটা দেওয়া শুরু করেছি বলে মানুষের মনে বোধ হয় একটু বেশিই অসতর্ক হয়ে উঠেছিল। তিনি বলেন, প্রথম যখন করোনাভাইরাস দেখা দিল তখন যেভাবে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করলাম, সেইভাবে এবারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা দরকার।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সকাল ১১টায় শুরু হওয়া অধিবেশনের প্রথম দিনে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য সদ্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, দৈনিক জনকন্ঠ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদসহ অন্যান্যদের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এর উপর আলোচনা শেষে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রয়াতের রূহের মাগফেরাত ও শান্তি কামনায় এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরাবতা পালন শেষে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া।
চলতি সংসদের সদস্য সদ্য প্রয়াত মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জীনন কর্ম নিয়ে রেওয়াজ অনুযায়ী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সরকারি দলের উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, নেসার আহমেদ, এনামুল হক, জাতীয় পার্টির চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা, পীর ফজলুর রহমান ও বিএনপির হারুনুর রশীদ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান তাঁর বক্তব্যে চরম দুঃসময়ে দৈনিক জনকন্ঠ ও এর সম্পাদক তাঁর নিকটাত্মীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকউল্লাহ খান মাসুদের সাহসী ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। পরে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, দৈনিক জনকন্ঠের যিনি সম্পাদক ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি নির্বাচনের দিন থেকে যে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছিল, বাংলাদেশে ঠিক ’৭১ এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যাচার শুরু করে- ঠিক সেই রকম অত্যাচার নেমে আসে। মানুষ হত্যা করা, মানুষের ঘরবাড়ি দখল, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর চরম নির্যাতন নেমে আসে। সেখানে নারী ধর্ষণ থেকে শুরু করে লুটপাট অগ্নি-সংযোগ, খুন-হত্যা এমন নির্যাতন যে দক্ষিণাঞ্চলে তো কোন সাংবাদিক যেতেই পারত না। বরিশাল থেকে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ গোপালগঞ্জে এবং কোটালিপাড়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এক এক এলাকার মানুষ আর এক এলাকায় আশ্রয় নেয়।
প্রধানমন্ত্রী ওই দুঃসময়ের কথা তুলে ধরতে গিয়ে আরও বলেন, এরকম দিনের পর দিন বিএনপি-জামায়াত জোটের তান্ডব সারাদেশে চলতে থাকে। সেই সময় অনেক স্বনামধন্য পত্রিকা তারা এই সমস্ত তথ্য কিন্তু দিত না। এমনকি পরিবেশন করতে সাহস পেত না। অথবা কেউ ইচ্ছা করেও করত না বা কোন কোন পত্রিকা এমনও লিখেছে যে, অন্তত তিন মাস সময় দেওয়া দরকার। তিন মাস সময় দিলে হাজার হাজার মানুষকে তারা মেরে শেষ করে দেবে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বাড়ি দখল করে রাতারাতি পুকুর বানিয়ে তারপর কলাগাছও কেটে রেখেছে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে মেয়েদের ওপর পাশবিক অত্যাচার করে নাই। ছোট শিশু থেকে রাজশাহীর ৬ বছরের রাজুফা, সিরাজগঞ্জের পূর্ণিমা এমনকি বয়োবৃদ্ধাদের পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে। গ্যাং রেপ এধরণের বহু ঘটনা ঘটেছে।
সংসদ নেতা বরেন, সেই সময় এই একটি পত্রিকা সেটা হচ্ছে দৈনিক জনকণ্ঠ এবং আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, যিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে যতদূর সংবাদ সংগ্রহ এবং সত্য সংবাদ পরিবেশন করেছে। তারজন্য তাঁকে (জনকন্ঠ সম্পাদক) খেসারতও দিতে হয়েছে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হবার পরই তাঁর ওপর অকথ্য অত্যাচার করেছে, এমনকি তাঁর বাড়িটাও বুলডুজার দিয়ে ভাঙার চেস্টা করেছে। তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্ত ধ্বংস করে দিয়েছিল। এরকম নির্যাতনের শিকার হয়েও আতিকউল্লাহ খান মাসুদ কখনো নীতির প্রশ্নে আপোষ করেননি। একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন আর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলেই সেই চিন্তা থেকেই তাঁকে দেখেছি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুটা সাংবাদিক জগতে একজন সাহসী লোক এবং একজন ভালো লোককে হারালাম।
শোক প্রস্তাবে থাকা সদ্য প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমকে নিয়ে বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদের কিছু মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বার বার দলবদলের অভ্যাস ছিল। একটু সরকার ঘেঁষাই ছিলেন। তারপরও বলবো, তিনি একটা ট্যালেন্টেড মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি দেশপ্রেম নিয়ে তাঁর মেধাকে কাজে লাগালে হয়তো দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী হাসনা মওদুদকে ফোন করে কথা বলে এবং শোক বার্তা প্রদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ কখনো ছাত্রলীগ করেননি। তিনি সবসময় একটু সরকার ঘেঁষাই ছিলেন। তিনি পল্লী কবি জসীমউদদীনের মেয়ের জামাই ছিলেন বলে তাঁর প্রতি সবার সহানুভূতি ছিল। কিন্তু তাঁর কিছু কিছু কাজ একটু ভিন্ন ধরণের ছিল। বাংলাদেশের কিছু গোপণ তথ্য পাচারের কারণে তাঁকে একবার গ্রেফতারও করা হয়। কবি জসীম উদদীন সাহেব নিজে এসেছিলেন আমাদের বাসায়। এসে বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করলে তখন তাঁকে (মওদুদ) মুক্তি দেওয়া হয়।
মওদুদ আহমদের বিভিন্ন দল পরিবর্তনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবসময় তিনি দলবদল করতে পছন্দ করতেন। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ, সেই সময়ে উনি ১৯৬৯ সালে আমাদের সঙ্গে মিশে গেলেন। ’৭৫ এর পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দিলেন। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামী ছিলেন। জেনারেল এরশাদ সাহেব তাকে ক্ষমা করে দিয়ে মন্ত্রিপরিষদে আইনমন্ত্রী করলো। এরশাদের পতনের পর আবার তিনি বিএনপিতে যোগদান করলেন। রাজনীতিতে বার বার দলবদল তাঁর অভ্যাস ছিল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরও বলবো, তিনি একটা ট্যালেন্টেড মানুষ ছিলেন। কিন্তু দেশপ্রেম নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ তাঁর মেধাকে কাজে লাগালে দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন, এটা হচ্ছে বাস্তবতা।
সদ্য প্রয়াত চলতি সংসদের সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই করোনার দুঃসময়ে আমরা অনেক সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি, এটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক। মাহমুদ উস সামাদ একজন ভালো ও দক্ষ সংগঠক ছিলেন। শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব হিসেবে সারাদেশে তিনি শিশুদের সচেতনতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত করার কাজ করে গেছেন। সারাদেশে শিশু-কিশোরদের সুপ্ত প্রতিভাগুলো বিকাশ এবং তাদের ঢাকায় এনে পুরস্কার দিতেন। তিনি বলেন, যখনই শুনলাম তিনি করোনায় আক্রান্ত, ব্যবস্থা নিতে না নিতেই তিনি চলে গেলেন। অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন মানুষ ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটের রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হলো।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার যখন গঠিত হয়, তখন থেকে মন্ত্রীপরিষদ সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন মরহুম এইচ টি ইমাম। ’৭৫ সাল ১৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এইচ টি ইমাম একজন সফল আমলা হলেও রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তাঁর মতো গুণী লোকের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় শোক প্রস্তাবে নাম থাকা সবার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন।
যাঁদের নামে শোক প্রস্তাব গৃহীত ॥ সদস্য প্রয়াত দৈনিক জনকন্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকউল্লাহ খান মাসুদসহ শোক প্রস্তাবে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা হলেন- চলতি সংসদের সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম (এইচ টি ইমাম), সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আমান উল্লাহ, সাবেক গণপরিষদ ও সংসদ সদস্য তোয়াবুর রহমান, সাবেক এমপি আবদুল মজিদ মন্ডল, সাবেক এমপি মুনসুর আহমেদ ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
এছাড়াও সিকদার গ্রপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য পারভীন হক সিকদারের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার, ভাষাসৈনিক আলী তাহের মজুমদার, দেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, প্রজন্ম ’৭১-এর সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শাহীন রেজা নুর, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্ণর খ্যাতিমান ব্যাংকার খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান, হাইকোর্ট বিভাগের প্রাক্তন বিচারপতি এবং সাবেক আইন সচিব বিচারপতি মো. আব্দুল হাই, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ-সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের মা জাহান আরা চৌধুরী, দেশের প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ’র সহধর্মিণী ও তেজগাঁও কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মাহমুদা বেগম, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের প্রবীণ অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার ও গল্পকার এটিএম শামসুজ্জামান, বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান দিলু এবং মার্কিন মিশনারি ও নটরডেম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফাদার জেএস পিশোতো, সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন, অফিস সহায়ক মো. রুহুল আমিন এবং দৈনিকভিত্তিক বাৎসরিক অফিস সহায়ক মিজানুর রহমানের মৃত্যুতে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
সঙ্গে সঙ্গে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যে সকল ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন-পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীগণ, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য সরকারি- বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, রাজশাহীর কাটাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জন পীরগঞ্জবাসী, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।