ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল মুসলমানদের ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন পুতিন দেশের মঙ্গলে দোয়া চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে ২১ ঘণ্টায় সাইকেলে ২০০ কিমি পাড়ি দিলেন বাবা মোংলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ২ কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন ও সিমফ্রাই জাল জব্দ

গুমের মামলা না নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৮৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

গুমের শিকার আতিকুল ইসলামের পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বজন ও এলাকাবাসী। ।
রোববার(১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।পারিবারিক সূত্র জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার মুমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ ওঠে। গুম হওয়া আতিকুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি পৌর শহরস্থ কাজীপাড়ার সাহাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গৃহায়ণ মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর লোকজন ‘গুম’ করে রেখেছেন। মানববন্ধনে গুম হওয়া আতিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা ইসলাম বলেন, আমার স্বামীকে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রেখেছে। এরপর থেকে একযুগেও তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। মামলা দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। থানায় মামলা নিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নিচ্ছে না। মামলাটি দ্রুত নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হোক, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আতিকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম বলেন, আতিক ভাইকে গাড়িতে ওঠানোর পর আমরা গেলে তখন তারা বলেছিলেন উনাকে একটু মোকতাদির চৌধুরীর বাড়িতে যেতে হবে। এরপর নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাইনি। আমরা সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন চুপ থাকতে এবং জিডি পর্যন্ত করতে নিষেধ করেন। তখন জিডি পর্যন্ত করতে পারিনি। এখন মামলা নিয়ে টালবাহানা করছেন সদর মডেল থানার ওসি।
গুম হওয়া আতিকের মেয়ে বলেন, আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবাকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বাবাকে দেখি না। আমার বাবাকে ফেরত চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমরা তাদের আরও কিছু কাগজের কথা বলেছি। কাগজগুলো দিলে মামলাটি নেবো। অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় মামলাটি নেয়নি তা সম্পূর্ণ ভুল। তার নামে যতগুলো মামলা যথাযথভাবে দিয়েছে আমরা সব মামলা আমলে নিয়েছি, রুজু করেছি। কাগজগুলো দিলে আমরা এই মামলাও নেবো।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গুমের মামলা না নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন পালিত

আপডেট টাইম : ০৪:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুমের শিকার আতিকুল ইসলামের পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বজন ও এলাকাবাসী। ।
রোববার(১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।পারিবারিক সূত্র জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার মুমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ ওঠে। গুম হওয়া আতিকুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি পৌর শহরস্থ কাজীপাড়ার সাহাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য গৃহায়ণ মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর লোকজন ‘গুম’ করে রেখেছেন। মানববন্ধনে গুম হওয়া আতিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা ইসলাম বলেন, আমার স্বামীকে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রেখেছে। এরপর থেকে একযুগেও তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। মামলা দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। থানায় মামলা নিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নিচ্ছে না। মামলাটি দ্রুত নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হোক, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আতিকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম বলেন, আতিক ভাইকে গাড়িতে ওঠানোর পর আমরা গেলে তখন তারা বলেছিলেন উনাকে একটু মোকতাদির চৌধুরীর বাড়িতে যেতে হবে। এরপর নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাইনি। আমরা সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন চুপ থাকতে এবং জিডি পর্যন্ত করতে নিষেধ করেন। তখন জিডি পর্যন্ত করতে পারিনি। এখন মামলা নিয়ে টালবাহানা করছেন সদর মডেল থানার ওসি।
গুম হওয়া আতিকের মেয়ে বলেন, আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবাকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বাবাকে দেখি না। আমার বাবাকে ফেরত চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমরা তাদের আরও কিছু কাগজের কথা বলেছি। কাগজগুলো দিলে মামলাটি নেবো। অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় মামলাটি নেয়নি তা সম্পূর্ণ ভুল। তার নামে যতগুলো মামলা যথাযথভাবে দিয়েছে আমরা সব মামলা আমলে নিয়েছি, রুজু করেছি। কাগজগুলো দিলে আমরা এই মামলাও নেবো।