ফুলবাড়ির দৌলতপুরে দিনে দুপুরে ব্যক্তি মালিকানা বিলে জোরপুর্বক মাছ মারার অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১১:১৬:৫১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৮৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার দৌলতপুর এলাকার নেটার বিল নামক এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন বিল থেকে ওই গ্রামের শহিদুল, সনু মিয়া, আমজাদ, বেলাল মুন্সি সহ ১৫-২০ জন ব্যক্তির নামে দিনে-দুপুরে জালদিয়ে জোরপুর্বক মাছ মারার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উক্ত জমির মূল মালিক মৃত আব্দুল গনি মন্ডলের ছেলে মহসিন মাহমুদ ও মৃত আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান ফকির অভিযোগ করে জানান, উপজেলার দৌলতপুর মৌজার ৭২ নং জে এল, সি এস ৭৯৯/১, ও এস এ ১০২১দাগের চলমান ডিপির হাল দাগ ৪৮০, ৩১৭,৬৫৫, ৬৯৬,১০৭১, ২০৪৫ দাগ নং ৪৬৭৪ ও নতুন ৬৪১৭ দাগে ডোবা শ্রেণীর ৫,৮৪ একর জমির মধ্যে ২,৮৪ একই ডোবা শ্রেণির জমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। ওই জমির মালিক আব্দুল গনি মন্ডলের নামে হোল্ডিং এ জনৈক রইচ মন্ডল ক্রয় সূত্রে ৫,৮৮ শতকের মধ্যে ৩ একই জমির খাজনা২০২৪ ইং সাল পর্যন্ত পরিশোধ করেছেন মর্মে খাজনা রশিদ দেখিয়েছেন। রহস্য জনক কারনে কেনইবা ২,৮৮ একইর জমির খাজনা নিচ্ছেন না সেটাই এখন ভাবার বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে। সেই কারনটির বিষধ জানতে ইউনিয়ন সহকারী কমিশনা ভূমি রেজিঃ ৮ দেখিয়ে খাজনা না নেয়ায় আব্দুল গণি মন্ডলের ওয়ারিশগণ গত ২৯/০৪/২০২৪ ইং তারিখে জেলা দিনাজপুর, সহকারী জজ আদালত, ফুলবাড়ি (অঞ্চল) এ আব্দুল গনি মন্ডলের ওয়ারিশগং অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-৩২।
বাদীপক্ষরা জানিয়েছেন, গত ২৯ আগস্ট দুপুরে উপরোক্ত ব্যক্তিরা এলাকার আরো ১৫-২০ জন ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে নালিশী বিলের মাছ জোরপুর্বক মেরে নিয়ে গেছেন। তাঁরা আরো জানান, ঘটনার দিন ওই নালিশী বিলের মামলার তারিখ থাকায় দিনাজপুর সহকারী জজ আদালত, ফুলবাড়ি অঞ্চল এ বাদীপক্ষ হয়ে হাজিরা দিতে গেলে গ্রামের মৃত আফসার আলির ছেলে বিবাদী শহিদুল ইসলাম, সনু মিয়া, আমজাদ হোসেন, বেলাল মুন্সিসহ ১৫-২০ জন ব্যক্তি জালদিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৮ মন মাছ জোরপুর্বক মেরে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩১ আগস্ট সরেজমিন দৌলতপুর গ্রামে গেলে ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ৪ বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সেকেন্দার আলি(৬২), অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুস সোবাহানের ছেলে আহসান হাবিব(২৩) সহ আরো প্রতক্ষদর্শী বেশ কয়জন লোকজন জানান, ঐ দিন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সহ আরো কিছু লোক বিলে মাছ মেরেছে । এ সময় গ্রামের বকুল তলার যাত্রি ছাউনিতে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামকে মাছ মারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জনান, ইউএনও,এসিল্যান্ড ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী ( তহসিলদারের) নির্দেশেই তাঁরা ওই ডোবার মাছ ধরেছেন। এ সময় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামের জেঠাতো ভাই দৌলতপুর গ্রামের জনৈক নবীনুর ইসলাম গুডম্যান ওই বিলের বিষয়ে সকল বৈধ্যতা ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি চাতুরির আশ্রয় নিয়ে ওই মাছ মারার বিলটি খাস বলে দাবী করে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেন। মালিকানার বৈধতা থাকলেও জোরপুর্বক মাছ মারার বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এঁর লোকজন হিসেবে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসের পিয়ন কেন মাছ ধরার সময় উপস্থিত ছিলেন সেটির জবাব চেয়ে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্ঠা করে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়েন।
ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে দৌলতপুর ইউনিয়ন সহকারী ভুমি এঁর নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই বিল থেকে মাছ মারার বিষয়টি এলাকাবাসিদের নিষেধ করতেই অফিস পিয়নকে পাঠিয়েছেন বলে জানান।
এ সময় ঘটনার বিষয়ে জানতে ফুলবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মালিকানা ডোবা শ্রেণির উক্ত জমিটির দখলসহ সকল কাগজ-পত্রতাদির বৈধ্যতা থাকলেও কেন ২,৮৮ একইর জমির খাজনা নেয়া হচ্ছেনা এবং কেনইবা অদৃশ্য শক্তির ইঙ্গিতে এলাকাবাসিদের অবৈধ্য হস্তক্ষেপ ? বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক এলাকার সর্বস্থরের সচেতন মহল দ্রুত প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।।