পেটে বাবু আছে, মাইর না’ বলেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ
- আপডেট টাইম : ০৪:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
- / ৫১ ৫০০০.০ বার পাঠক
সীমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর এক অন্তঃসত্ত্বা নারী খুন হয়েছে দুর্বৃত্তের ছুরিতে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) যাত্রাবাড়ীর শহীদ জিয়া স্কুলের পেছনের এক বাসায় ঢুকে সিমা আক্তার (২২) নামের ওই নারীকে ছুরি মারা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওইদিন সন্ধ্যার পর সিমাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাকে; বুধবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।
সীমার পরিবার জানায়, সীমা তার স্বামী জুয়েল রানার সঙ্গে উত্তর যাত্রাবাড়ীতে শহীদ জিয়া স্কুলের পেছনে থাকতেন। জুয়েল পেশায় ফল বিক্রেতা। তাদের চার বছরের এক ছেলে আছে। সীমার বাবা মলাই কাজী ফল বিক্রেতা। সীমার বাসা তার বাবার বাসার কাছেই ছিল।
সীমার বাবা মলাই কাজী ও বড় ভাই নাসিরউদ্দিন গণমাধককে জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সীমা তার বাবার বাসায় যান। এ সময় অপরিচিত এক দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সীমাকে ছুরিকাঘাত করতে যায়। এতে ভড়কে যান সীমা। তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে অনুরোধ করে বলছিলেন, ‘আমি অন্তঃসত্ত্বা, আমাকে মাইরেন না’। এই আর্তনাদ শুনে সীমার মা রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে দেখেন সীমা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে ছটফট করছেন। তখন সীমাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার করে সীমার গর্ভ থেকে সন্তানকে বের করে আনা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়। আর সীমা আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।
ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতেই যাত্রবাড়ী থানা থেকে সাদা পোশাকের দুই পুলিশ সদস্য এসে ঘটনাস্থল দেখে গেছেন বলে জানান সিমার ভাই।
সীমার বাবা বলেন, কে বা কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা তারা কেউ জানতে পারেননি। আর মৃত্যুর আগে আহত সীমাও হামলাকারীকে চেনেন না বলে জানিয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সিমা ও তার নবজাতকের মরদেহ মর্গে রয়েছে।