ফারাক্কার গেট খুলল ভারত, বন্যার শঙ্কায় যেসব জেলা
- আপডেট টাইম : ০১:৫৩:৪৫ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৬ আগস্ট ২০২৪
- / ৫৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে। এর জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে দেশটি। সম্প্রতি এসব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। এতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ এর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ফারাক্কা বাঁধের এসব গেট খুলে দেওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায়। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, প্রবল বৃষ্টি আর বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে পানি ছাড়ার কারণে চাপ বাড়ছে ফারাক্কা ব্যারেজে। পানি ছাড়তে হচ্ছে এই ব্যারেজেও। ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় দৈনন্দিন পানি ছাড়ার পরিমাণ বাড়ছে। যদিও বাকি সময়ে আপ স্ট্রিমে পানি যেমন থাকে সেই অনুযায়ী ছাড়া হয় ডাউনস্ট্রিমে। গঙ্গার পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে।
ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের একটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ বলছে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় এবং ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের পানির স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় সব গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ পানি আসছে, সেই পরিমাণ ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফারাক্কা ব্যারেজে পানি ধরে রাখার ক্ষমতা নেই, ফলে ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে তারা। পানি না ছাড়া হলে ফারাক্কা ব্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই পানি ছাড়ার ফলে গঙ্গা থেকে বিভিন্ন গ্রাম ও মাঠে পানি প্রবেশ করছে বলে নিউজ১৮ এর প্রতিবেদনে বলা হয়। এতে আরও বলা হয়, প্লাবনের আশঙ্কা করছেন মুর্শিদাবাদের মানুষ। বিহার, ঝাড়খণ্ডসহ গঙ্গার উচ্চ অববাহিকায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে হু হু করে বাড়ছে গঙ্গার পানির স্তর।
জানা যায়, ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে পানি ধারণক্ষমতা ২৬.২৪ মিটার। বিপৎসীমা ২২.২৫ মিটার এবং সর্তকতাসীমা ২১.২৫ মিটার। ইতিমধ্যে আপ স্ট্রিমের ধারণক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ গেট। ইতিমধ্যেই ১১ লাখ কিউসেকের বেশি পানি ছাড়া হচ্ছে ব্যারেজ থেকে। যদিও পদ্মায় পানি বাড়ায় প্লাবণের পরিমাণ আরও বাড়ছে।