ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনীদের বাড়িঘর,দোকানপাঠ,মন্দির ভাংচুর,লটুপাঠ ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে পাহাড় পুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আংগুর মিয়া আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪
  • / ৪১ ৫০০০.০ বার পাঠক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘু সনাতনীদের বাড়িঘর,দোকানপাঠ,মন্দির ভাংচুর,লটুপাঠ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় আজমিরীগঞ্জের পাহাড় পুরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেল ২ টায় পাহাড় পুরের সর্বস্তরের সনাতনীদের আয়োজনে পাহাড় পুর বাজার থেকে শুরু করে পুরু এলাকার বিভিন্ন সরক ঘুরে পাহাড় পুর ফুটবল খেলার মাঠে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ইউনিয়নের সহ সভাপতি কালীপদ দাস, সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সৌমিএ শেখর দাস, প্রিয়তোষ সরকার রানু ,নেপাল চন্দ্র দাস,বিনয় দাস, সুবাস দাস,রঞ্জিত সরকার, দীপংকর চৌধুরী,রাবেল রায়, সুন্দর দাস,সীমা রানী দাস সহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন ইতিমধ্যে দেশের ৫২টি জেলার উপরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর,দোকানপাঠ ভাংচুর,লুটপাঠ,অগ্নিসংযোগসহ নারীদের উপর অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তারা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের প্রস্তাব উল্লেখ করে আরো বলেন,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ও দোকানপাঠে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান,সীমান্ত অঞ্চলের যেসব এলাকার মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তাদের নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা, ঘরবাড়ি নির্মান ও পূর্ণবাসন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রুপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন প্রদান এবং অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করা,সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক স্বতন্ত্র জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন,ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা,বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির ঘরবাড়ি,প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাঠের দ্রুত সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘে পালন করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান। অন্যতায় এই দাবী পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা দেয়ার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন নেতারা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতনীদের বাড়িঘর,দোকানপাঠ,মন্দির ভাংচুর,লটুপাঠ ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে পাহাড় পুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পরই দেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘু সনাতনীদের বাড়িঘর,দোকানপাঠ,মন্দির ভাংচুর,লটুপাঠ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশের ন্যায় আজমিরীগঞ্জের পাহাড় পুরে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেল ২ টায় পাহাড় পুরের সর্বস্তরের সনাতনীদের আয়োজনে পাহাড় পুর বাজার থেকে শুরু করে পুরু এলাকার বিভিন্ন সরক ঘুরে পাহাড় পুর ফুটবল খেলার মাঠে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিতে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ইউনিয়নের সহ সভাপতি কালীপদ দাস, সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সৌমিএ শেখর দাস, প্রিয়তোষ সরকার রানু ,নেপাল চন্দ্র দাস,বিনয় দাস, সুবাস দাস,রঞ্জিত সরকার, দীপংকর চৌধুরী,রাবেল রায়, সুন্দর দাস,সীমা রানী দাস সহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন ইতিমধ্যে দেশের ৫২টি জেলার উপরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর,দোকানপাঠ ভাংচুর,লুটপাঠ,অগ্নিসংযোগসহ নারীদের উপর অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। তারা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট ৮ দফা দাবী বাস্তবায়নের প্রস্তাব উল্লেখ করে আরো বলেন,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ও দোকানপাঠে হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ প্রদান,সীমান্ত অঞ্চলের যেসব এলাকার মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তাদের নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা, ঘরবাড়ি নির্মান ও পূর্ণবাসন করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে পূর্ণাঙ্গ রুপে হিন্দু ফাউন্ডেশন হিসেবে নিবন্ধন প্রদান এবং অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধি করা,সরকারের সকল পর্যায়ে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ন্যায় পৃথক স্বতন্ত্র জাতীয় সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন,ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা,সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান করা,বিশেষ সুরক্ষা আইন প্রনয়নের মাধ্যমে বিশেষ গুরুত্বের সাথে সংখ্যালঘুদের মন্দির ঘরবাড়ি,প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাঠের দ্রুত সময়ে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা এবং সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসব নির্বিঘে পালন করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবী জানান। অন্যতায় এই দাবী পূরণ না হলে লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা দেয়ার ও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন নেতারা।