ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টঙ্গীর বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি আদালত এলাকায় জনরোষ থেকে নিরাপত্তা হেফাজতে! “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” শুভ নববর্ষ ১৪৩২ নবীনগর জুলাইপাড়ার প্রবাসী ও গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে নতুন রাস্তা ও কাঠের ব্রিজ শুভ উদ্বোধন আরবদের হটিয়ে যেভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল টঙ্গীতে মহানগর প্রজন্ম দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে গাজীপুরের কাশিমপুরে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে শরণখোলায় মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে প্রতারণা: গাড়ি ফেরত চাইলে প্রাণনাশের হুমকি! বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি ভবনের ফলক উন্মোচন প্রধান উপদেষ্টার ইউক্রেনকে দ্বিখণ্ডিত করতে চান ট্রাম্প মার্চ ফর গাজা ফিলিস্তিনের জন্য কাঁদলেন লাখো মানুষ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক মোনাজাত করেন

নবীনগরে এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় হয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংবাদপত্র কর্মী
  • আপডেট টাইম : ১২:৫১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
  • / ৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার (২৯ জুলাই) থানায় দুটি মামলা হয়েছে। সোহাগের শশুর মো. আবু হানিফ অজ্ঞতনামা আসামি দিয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। অপরদিকে সোহাগের বাবা মোহাম্মদ আমির হোসেন বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। সোহাগের শশুর আবু হানিফের করা মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সোহাগ ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণের একটি (সমবায় সমিতি) সমিতি চালাতেন। ওই সমিতির কিস্তির লেনদেনে মোটা অংকের টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ ঋণের কারণে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। তারই জের ধরে সোহাগ আমার মেয়ে ও দুই নাতনিকে শ্বাসরুদ্ধকর করে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেই আত্মহত্যা করে।
অপর অপমৃত্যু মামলাটির বাদী সোহাগের বাবা মোহাম্মদ আমির হোসেন তার মামলার বিবরণে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,পারিবারিক কলহের জের ধরে সোহাগ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেই আত্মহত্যা করে।রোববার (২৮ জুলাই) সকালে নবীনগর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বিজয় পাড়ায় সোহাগ মিয়ার বসতঘর থেকে একই পরিবারের ৪ সদস্যকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। স্বামী, স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ নিহতরা হলেন, সোহাগ (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত (২৪), তাদের কন্যা সন্তান ফাহিমা (৪) ও সাদিয়া (২)। রোববার সকাল ৯ টার দিকে সোহাগ মিয়ার বাসায় গিয়ে তার শাশুড়ি ডাকাডাকি করলে তাদের কোন সারা না পেয়ে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন, সোহাগ মিয়ার শাশুড়ির চিৎকার শুনে প্রতিবেশী মনির ও উজ্জ্বল দৌড়ে আসেন। তারা আবারও ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখে সোহাগ মিয়া ও তার পরিবারের ৪ সদস্যকে মৃত অবস্থায় দেখে কান্না শুরু করে। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে, পুলিশ এসে সকলের লাশ উদ্ধার করে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নবীনগরে এক পরিবারের চারজনের মৃত্যু ঘটনায় থানায় দুটি মামলায় হয়

আপডেট টাইম : ১২:৫১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার (২৯ জুলাই) থানায় দুটি মামলা হয়েছে। সোহাগের শশুর মো. আবু হানিফ অজ্ঞতনামা আসামি দিয়ে একটি এজাহার দায়ের করেন। অপরদিকে সোহাগের বাবা মোহাম্মদ আমির হোসেন বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। সোহাগের শশুর আবু হানিফের করা মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সোহাগ ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ঋণের একটি (সমবায় সমিতি) সমিতি চালাতেন। ওই সমিতির কিস্তির লেনদেনে মোটা অংকের টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এ ঋণের কারণে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। তারই জের ধরে সোহাগ আমার মেয়ে ও দুই নাতনিকে শ্বাসরুদ্ধকর করে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেই আত্মহত্যা করে।
অপর অপমৃত্যু মামলাটির বাদী সোহাগের বাবা মোহাম্মদ আমির হোসেন তার মামলার বিবরণে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন,পারিবারিক কলহের জের ধরে সোহাগ তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পরে নিজেই আত্মহত্যা করে।রোববার (২৮ জুলাই) সকালে নবীনগর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বিজয় পাড়ায় সোহাগ মিয়ার বসতঘর থেকে একই পরিবারের ৪ সদস্যকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। স্বামী, স্ত্রী ও দুই সন্তান সহ নিহতরা হলেন, সোহাগ (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত (২৪), তাদের কন্যা সন্তান ফাহিমা (৪) ও সাদিয়া (২)। রোববার সকাল ৯ টার দিকে সোহাগ মিয়ার বাসায় গিয়ে তার শাশুড়ি ডাকাডাকি করলে তাদের কোন সারা না পেয়ে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন, সোহাগ মিয়ার শাশুড়ির চিৎকার শুনে প্রতিবেশী মনির ও উজ্জ্বল দৌড়ে আসেন। তারা আবারও ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখে সোহাগ মিয়া ও তার পরিবারের ৪ সদস্যকে মৃত অবস্থায় দেখে কান্না শুরু করে। পরবর্তীতে থানায় খবর দিলে, পুলিশ এসে সকলের লাশ উদ্ধার করে।