এ কথা বলছেন গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধান করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদেরকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করে সারাদেশে বিএনপি জামায়াত উগ্র বাম ও তাদের দোসর’রা সরকার পতনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ ব্যাংক অগ্নিসংযোগ বেসরকারি কল কারখানায় অগ্নিসংযোগ যানবাহনে নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা ও হত্যা সহ নাশকতায় জড়িত থাকা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ চিরুনি অভিযান পরিচালনা শুরু করেন।তারই ধারাবাহিকতায় ২২-৭-০২৪ইং তারিখে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম শামীম এর আপন বড় ভাই ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুদ্দিন রিপনকে নাশকতার অভিযোগে গ্রেফতারের জন্য আমিনুল ইসলাম শামীমের ভাষায় অভিযান পরিচালনা করে (ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ) মতিঝিল থানা।আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নাশকতাকারী জহির উদ্দিন রিপন ছাদ টপকিয়ে পালিয়ে যায়।অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধারাবাহিক চিরুনি অভিযানে মতিঝিল থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন জনি’র আপন বড় ভাই ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির ২নং সহ সভাপতি জাকির হোসেন জেমস কে নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।অন্যদিকে ২৬-০৭-০২৪ ইং তারিখে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে অগ্নি সন্ত্রাস ও নাশকতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক এর আপন চাচা’ত ভাই ও মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেনের আপন ভাই জাকির হোসেন স্বপনকে গ্রেফতার করে আনশৃঙ্খলা বাহিনী।এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মতিঝিল থানার অন্তর্গত ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন এর আপন ভাই মতিঝিল আলী গড় ইউনিট বিএনপির সভাপতি লাভলু কে অগ্নি সংযোগ নাশকতার অভিযোগে গ্রেপ্তারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
এদিকে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড থানা ও মহানগর নেতা ও কাউন্সিলরের আপন ভাই আত্মীয়-স্বজনদের সরকার বিরোধী আন্দোলনের জড়িত থাকার কারণে প্রকৃত মুজিব আদর্শের দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এমনকি ঈদের কারণেই এই সকল দুর্বৃত্তারা এতদিন শক্তি সঞ্চয় করেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর থানা ও ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন নেতা বলেন আমাদের দলের সভানেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা বারবার নির্দেশ প্রদান করেছেন দায়িত্বশীল নেতাদেরকে যে কাউকে নেতা বানানোর আগে তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে তার পরে নেতা বানানোর জন্য।দলের সভানেত্রী বারবার এই কথাও বলেছেন যার এক টাকাও নাই কিন্তু দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ তাকেই পদায়ন করা হবে ।কিন্তু দলের সভানেত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে দায়িত্বপ্রাপ্ত তথাকথিত নেতা গংরা টাকা পয়সা নিয়ে মাই ম্যান তৈরির জন্য বিএনপি জামায়াত আত্মীয়-স্বজনদের মহানগর থানা ওয়ার্ডে প্রদায়িত করেছেন যার কারনে আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে।আমরা চাই প্রকৃত মজিব আদর্শের নেতাকর্মীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে দলে মূল্যায়ন করলে বাংলাদেশে এমন কোন রাজনৈতিক দল নেই আওয়ামী লীগের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।এমনকি বিএনপি-জামায়াত উগ্র বামদের যে কোন নৈরাজ্য অগ্নি সন্ত্রাস ও অপশক্তি নাশকতার বিরুদ্ধে নিজের জীবন বাজি রেখে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে যার প্রমাণ ত্যাগী মুজিব আদর্শের নেতাকর্মীরা অতীতেও দিয়েছেন আগামীতেও দিবে ইনশাল্লাহ।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের কে ডাল হিসাবে ব্যবহার করে বিএনপি,জামায়াত,উগ্র বাম ও তাদের দোসর’রা সরকার পতনের নামে রাজধানীসহ সারা দেশে যে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছে তাদের সেই নারকীয় তান্ডব থেকে রেহাই পাইনি নরসিংদী কারাগার,স্বপ্নের মেট্রোরেল,এলিভেটেড এক্সপ্রেস,বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের ধারক বাহক বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন,ত্রাণ দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,ডাটা সেন্টার,পুলিশ ফাড়ি,থানা,র‍্যাব,পুলিশ,আনসার,ব্যাংক,গার্মেন্টস,যাত্রা বাড়ীতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা অগ্নিসংযোগ,শত শত যানবাহনে নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ সহ সারাদেশে নাশকতা চালায়।
বিএনপি জামায়াত উগ্র বাম ও তাদের দোসরদের অগ্নি সংযোগ নাশকতা ঠেকাতে গিয়ে প্রায় হাজারের উপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আহত হয়েছে ও প্রাণ হারিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্য।নাশকতাকারীদের জ্বালাও পড়াও অগ্নি সন্ত্রাসের কারণে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি করে যাহা একটি সভ্য দেশে কখনো কল্পনা করা যায় না।এই সকল রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলাকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু।এই সকল অগ্নি সংযোগ নাশকতাকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারী ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন সাধারণ মানুষ।