ঢাকা ০৮:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুর জেলা মহানগর কাশিমপুরে স্বাধীন মত প্রকাশের জেরে থানার ওসির নেতৃত্বে একাধিক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত 

হাসপাতাল থেকে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়েযায় ডিবি

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৬:০১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৯০ ৫০০০.০ বার পাঠক

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার | ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে নাহিদ ও আসিফ চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসপাতাল থেকে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।

‘আমরা গত দুই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব,’ তিনি  ডেইলি টাইমস ভয়েসকে বলেন।

গতকাল সন্ধ্যায় ওই তিনজনের পরিবার ও হাসপাতাল কর্মচারীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় সাদাপোশাকে একদল ব্যক্তি হাসপাতালে যান।

হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় কেবিন থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে তারা দ্বিতীয় তলায় আসিফের কেবিনে যান। সেখানে আসিফ এবং আসিফের জন্য খাবার নিয়ে আসা বাকেরকেও তারা তুলে নিয়ে যান।

তারা নাহিদ, তার বোন ফাতেমা তাসনিম, আসিফ ও বাকেরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেযন।

নাহিদের বোন ফাতেমা বলেন, ‘আমার ভাই সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমরা সবাইকে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’

গত শনিবার ভোরে রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নাহিদ ইসলামকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন নিয়ে বাসায় পৌঁছান নাহিদ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আসিফ ও বকর দুজনকেই ১৯ জুলাই তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকে তারা দু’জন লেখেন যে তাদের চোখ বেঁধে ২৪ জুলাই হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে তাদের তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কেউ উল্লেখ করেননি।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওই তিনজনের পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হলে সবকটি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হাসপাতাল থেকে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়েযায় ডিবি

আপডেট টাইম : ০৭:৪৬:০১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার | ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে নাহিদ ও আসিফ চিকিৎসাধীন ছিলেন।

হাসপাতাল থেকে নাহিদ, আসিফ ও বাকেরকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার জুনায়েদ আলম সরকার বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।

‘আমরা গত দুই দিনে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করব,’ তিনি  ডেইলি টাইমস ভয়েসকে বলেন।

গতকাল সন্ধ্যায় ওই তিনজনের পরিবার ও হাসপাতাল কর্মচারীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় সাদাপোশাকে একদল ব্যক্তি হাসপাতালে যান।

হাসপাতালের ষষ্ঠ তলায় কেবিন থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে তারা দ্বিতীয় তলায় আসিফের কেবিনে যান। সেখানে আসিফ এবং আসিফের জন্য খাবার নিয়ে আসা বাকেরকেও তারা তুলে নিয়ে যান।

তারা নাহিদ, তার বোন ফাতেমা তাসনিম, আসিফ ও বাকেরের মোবাইল ফোন কেড়ে নেযন।

নাহিদের বোন ফাতেমা বলেন, ‘আমার ভাই সরকারবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। আমরা সবাইকে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’

গত শনিবার ভোরে রাজধানীর সবুজবাগের একটি বাসা থেকে নাহিদ ইসলামকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে সারা শরীরে মারধরের চিহ্ন নিয়ে বাসায় পৌঁছান নাহিদ। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আসিফ ও বকর দুজনকেই ১৯ জুলাই তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফেসবুকে তারা দু’জন লেখেন যে তাদের চোখ বেঁধে ২৪ জুলাই হাতিরঝিল ও ধানমন্ডি এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে তাদের তুলে নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কেউ উল্লেখ করেননি।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ওই তিনজনের পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হলে সবকটি নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।