প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ঢাবি
- আপডেট টাইম : ০৯:৪৮:১১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪
- / ৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
রাজু ভাস্কর্যে শিক্ষার্থীদের অবস্থান, স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল ঢাবি
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার এবং কোটা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়েছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১২টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলিত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইডেন কলেজসহ আশপাশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
যদিও প্রথমে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীদের। এ সময় আন্দোলনকারীদের মারধর ও তাদের ওপর গরম পানি ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অ্যাকশন টু অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, তুমি নও আমি নই, রাজাকার রাজাকার, চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার, কে রাজাকার কে রাজাকার? তুই রাজাকার তুই রাজাকার, কে বলে রে রাজাকার? ধিক্কার ধিক্কার, লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না, তুমি নও আমি নই, রাজাকার রাজাকার, আমি কেন রাজাকার? শেখ হাসিনা জবাব দাও, কোটা না মেধা? মেধা মেধা— ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের স্লোগানে স্লোগানে এ সময় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ মুখরিত হয়ে ওঠে।
২০১৮ সালে কোটাবিরোধী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করলে; সরকার পরিপত্র জারি করে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়। ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলামসহ ৭ শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ জুন পরিপত্রটি বাতিল করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। এই রায়ের পর ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কার দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের বাচ্চারা কোটা পাবে? মুহূর্তে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। বিকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ একাধিক ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগের ঘোষণা পাওয়া যায়। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সর্বপ্রথম পদত্যাগ করেন জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের দুই নেতা। এরপর হলে হলে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে, গভীর রাতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে।