ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

গাজীপুরে উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা:ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় স্থানীয় পুলিশ পর্ব ১

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩৪:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪
  • / ৫২ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুরে উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা:ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় স্থানীয় পুলিশ পর্ব ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন এলাকায় ভূমিদস্যুদের জবর-দখলে পুলিশের সহযোগিতার তথ্য পাওয়া গেছে।

এমন একটি ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে মোঃ হাবেল মিয়া জানান, বিগত ১৯৮০ সাল থেকে সৃজনকৃত ভূয়া দলিলের মাধ্যমে আমাদের কয়েক একর জমি দখল করে আসছে(১),মাহবুবুর রহমান (২) কৃষ্ণ গোপাল(৩)মুকুল(৪) সাবেক কাউন্সিলারে ভাই ইদ্রিস মোল্লা সহ আরও প্রভাবশালীরা। এমতাবস্থায় (গাজীপুর) সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালতে ২৯৪/২০২২ নং দেওয়ানি একটি মোকাদ্দমা দায়ের করি। পরে মাননীয় আদালত মোকদ্দামাটিতে উল্লেখিত জমির সমস্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা ও তল্লাশি করে ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে বিবাদী পক্ষের সৃজনকৃত (০২/০৫/১৯৮০ ইং তারিখে ৬৩৭১ নং) দলিলটি বাতিল বলিয়া গণ্য করেন, মোছাঃ শাহজাদী তাহমিদা (সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত গাজীপুর)।
এই রায়ের মাধ্যমে মোট জমির মধ্য থেকে ৯৪ শতাংশ জমি রায় পেলেও মাহবুবুর রহমান সহ ভূমিদস্যুদের দাপট ও হুমকি থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না ভূমি মালিক মোঃ হাবেল মিয়া গং ও তার পরিবারের লোকজনেরা।
মোঃ হাবেল মিয়া বলেন, রবিবার (৭ জুলাই) সকালে আমাদের মালিকানাধীন বারেন্ডা মৌজাস্থিত সিএস ৪ নং, এস এ ৭৭ নং, আর এস ১৭ নং খতিয়ানভূক্ত সিএস ও এস এ ২৪৩ নং, আর এস ৯৩৮ ও ৯৪১ নং দাগ হতে চালা জমি ৯৪ শতাংশ জমির মধ্যে আর এস ৯৩৮ নং দাগে ১৮ শতাংশ জমিতে আমাদের নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেই। পরে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সারোয়ার জাহান খবর দিলে আমি খবর পেয়ে বেলা ১১ টার দিকে কাশিমপুর থানায় ওসি’র কক্ষে আমরা জমির মালিকরা উপস্থিত হলে কাশিমপুর থানার (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, আজ যে জমিতে সাইনবোর্ড দিয়েছেন,সেই জমির সাইনবোর্ড খুলে ফেলার জন্য আপনাদের বলেছি। আপনারা যাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন।
যেহেতু উক্ত জমিটি আমার থানার আওতাধীন,সেহেতু আগামীকাল (৮ জুলাই) সোমবার রাত ৮ টার সময় জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হবেন।
পরদিন সোমবার (৮ জুলাই) আমরা জমির মালিকানা দলিল ও মাননীয় আদালতের রায়ের কপি নিয়ে কাশিমপুর থানার (ওসি) সানোয়ার জাহানের কক্ষে উপস্থিত হই এবং মাননীয় আদালতের রায়ের কপি ওসি সাহেবের বরাবর প্রদান করি।
পরে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান,মাননীয় আদালতের রায়ের ডিগ্রি কপি দেখেন এবং নাটকীয় ভাবে থানায় উপস্থিত ভূমি দস্যুদের ওসি’র অফিস থেকে বের হতে বললেও তলে তলে ভূমি দস্যুদের সাথে যোগসাজশ করে এবং (১১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমি দস্যু মাহবুবুর রহমান গং বাহিনী ১০/১২ জন মিলে অস্ত্র বের করে মোঃ হাবেল মিয়া গং নামের বিজ্ঞ আদালতের লাগানো সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। এসময় মোঃ হাবেল মিয়ারা সাইনবোর্ড খুলতে ভূমি দস্যুদের বাঁধা দিতে গেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয় থানায় মোঃ হাবেল মিয়া অভিযোগ করতে গেলে,অভিযোগ না নিয়ে তাল বাহানা করতে থাকে পুলিশ।
পরে বিষয়টি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার’কে জানান দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রকাশক। পরে পুলিশ কমিশনার কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সানোয়ার জাহানকে মোঃ হাবেল মিয়ার অভিযোগ নিতে বলেন। অতঃপর কোন উপায় না পেয়ে অভিযোগটি আমলে নেন ওসি সানোয়ার জাহান।
এদিকে ঐ জমির মালিক জেলেকা ও আশপাশের একাধিক মহিলারা জানান, এর আগে (৭ জুলাই) সকালে জমিতে সাইনবোর্ড দেয়ার পর আপনারা যখন থানায় গিয়েছিলেন, তখন এস আই মোস্তফা এই জমিতে এসে বৃদ্ধ মহিলাকে (জেলেকা) গালিগালাজ করে জমিতে দেয়া বেড়া খুলতে বলেছিলো। এস আই মোস্তফা বলেছিলো এই মহিলা বেড়া খুলবি? নাকি হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাবো?
জেলেকা বলেন, কি করুম পুলিশের গালিগালাজ হুইনা ডরাইয়া (ভয়ে) জমির বেড়া খুইল্যা দিছি, আর পুলিশ মোস্তফা মোবাইল দিয়া আমারে ভিডিও করছে। তখন আশপাশের মহিলা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন স্যার আপনে বয়স্ক মহিলার সাথে এমন আচরন কেন করতেছেন। জবাবে এস আই মোস্তফা বলেন, আমার কিছুই করার নেই, ওসি স্যারের হুকুম।

এর প্রেক্ষিতে আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশের কাজ সর্বদা জনগণকে সহযোগিতা করা।
অথচ, এই পুলিশের ( এস আই মোস্তফা) ব্যবহার এতো খারাপ কেন। এই রকম খারাপ মানুষ কিভাবে পুলিশ হয়। এমন আক্ষেপ করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের।
এদিকে, জমির মালিক মোঃ হাবেল মিয়া আরও বলেন, গত ৭/৮ মাস আগে এই জমির রায় পেয়েছি আমরা। এই দীর্ঘ সময়ে ভূমিদস্যুরা কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে, (৭ জুলাই) জমিতে আমাদের নামের সাইনবোর্ড দিলে ভূমিদস্যু মাহবুবুর রহমান সহ অন্যান্যরা এবং কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহানের যোগসাজশে চলে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও হুমকি ধামকি।
উল্লেখ্য, (৭ জুলাই) ওসি সানোয়ার জাহান মোঃ হাবেল মিয়া’দের বলেছিলেন, যদি সাইনবোর্ড উঠিয়ে না নেন, তাহলে আপনাদের নামে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় ওসি সানোয়ার জাহান ভূমিদস্যুদের পক্ষে একদিনেই ১৪৫ ধারা জারি করে (১১ জুলাই) বৃহস্পতিবার উক্ত জমির মধ্যে নোটিশ লিখে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। অথচ উক্ত ১৮ শতাংশ জমিতে মাননীয় আদালতের দেওয়ানজী মোকদ্দমার রায়, মোকদ্দমা নং এবং দাগ, খতিয়ান সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরও মাননীয় আদালতের রায়’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় তৎপর হয়ে উঠেছে এবং করছে।
এ বিষয়ে ওসি সানোয়ার জাহানের সাথে কথা বলতে চাইলে, তাকে পাওয়া যায়নি।
জজ কোর্টের আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় আদালতের আদেশ/নির্দেশ ছাড়া পুলিশের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ পদক্ষেপ করার সুযোগ নেই। অথচ কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহান ও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের সিদ্ধান্ত না নিয়ে, কোন অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে মাননীয় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় লিপ্ত।
এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা সাধারণ নিরীহ অসহায় মানুষের কি উপকার হবে, নাকি ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা করবে, এমন প্রশ্ন কাশিমপুর থানাধীন ভূমিদস্যুদের দ্বারা নির্যাতিত জমির দখল হারানো অসহায় সাধারণ মানুষের। তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, দলিল যার জমি তার, এই ঘোষণার পরও কেন আমাদের মতো অসহায় মানুষের জমি পুলিশের সহযোগিতায় ভূমিদস্যুরা ভোগ করবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে এটা আমরা জানতে চাই।চলবে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরে উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা:ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় স্থানীয় পুলিশ পর্ব ১

আপডেট টাইম : ০৮:৩৪:৪৯ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

গাজীপুরে উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা:ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় স্থানীয় পুলিশ পর্ব ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন এলাকায় ভূমিদস্যুদের জবর-দখলে পুলিশের সহযোগিতার তথ্য পাওয়া গেছে।

এমন একটি ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে মোঃ হাবেল মিয়া জানান, বিগত ১৯৮০ সাল থেকে সৃজনকৃত ভূয়া দলিলের মাধ্যমে আমাদের কয়েক একর জমি দখল করে আসছে(১),মাহবুবুর রহমান (২) কৃষ্ণ গোপাল(৩)মুকুল(৪) সাবেক কাউন্সিলারে ভাই ইদ্রিস মোল্লা সহ আরও প্রভাবশালীরা। এমতাবস্থায় (গাজীপুর) সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালতে ২৯৪/২০২২ নং দেওয়ানি একটি মোকাদ্দমা দায়ের করি। পরে মাননীয় আদালত মোকদ্দামাটিতে উল্লেখিত জমির সমস্ত কাগজপত্র পর্যালোচনা ও তল্লাশি করে ২৫/০১/২০২৪ ইং তারিখে বিবাদী পক্ষের সৃজনকৃত (০২/০৫/১৯৮০ ইং তারিখে ৬৩৭১ নং) দলিলটি বাতিল বলিয়া গণ্য করেন, মোছাঃ শাহজাদী তাহমিদা (সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত গাজীপুর)।
এই রায়ের মাধ্যমে মোট জমির মধ্য থেকে ৯৪ শতাংশ জমি রায় পেলেও মাহবুবুর রহমান সহ ভূমিদস্যুদের দাপট ও হুমকি থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না ভূমি মালিক মোঃ হাবেল মিয়া গং ও তার পরিবারের লোকজনেরা।
মোঃ হাবেল মিয়া বলেন, রবিবার (৭ জুলাই) সকালে আমাদের মালিকানাধীন বারেন্ডা মৌজাস্থিত সিএস ৪ নং, এস এ ৭৭ নং, আর এস ১৭ নং খতিয়ানভূক্ত সিএস ও এস এ ২৪৩ নং, আর এস ৯৩৮ ও ৯৪১ নং দাগ হতে চালা জমি ৯৪ শতাংশ জমির মধ্যে আর এস ৯৩৮ নং দাগে ১৮ শতাংশ জমিতে আমাদের নামের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেই। পরে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সারোয়ার জাহান খবর দিলে আমি খবর পেয়ে বেলা ১১ টার দিকে কাশিমপুর থানায় ওসি’র কক্ষে আমরা জমির মালিকরা উপস্থিত হলে কাশিমপুর থানার (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, আজ যে জমিতে সাইনবোর্ড দিয়েছেন,সেই জমির সাইনবোর্ড খুলে ফেলার জন্য আপনাদের বলেছি। আপনারা যাদের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন।
যেহেতু উক্ত জমিটি আমার থানার আওতাধীন,সেহেতু আগামীকাল (৮ জুলাই) সোমবার রাত ৮ টার সময় জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হবেন।
পরদিন সোমবার (৮ জুলাই) আমরা জমির মালিকানা দলিল ও মাননীয় আদালতের রায়ের কপি নিয়ে কাশিমপুর থানার (ওসি) সানোয়ার জাহানের কক্ষে উপস্থিত হই এবং মাননীয় আদালতের রায়ের কপি ওসি সাহেবের বরাবর প্রদান করি।
পরে কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানোয়ার জাহান,মাননীয় আদালতের রায়ের ডিগ্রি কপি দেখেন এবং নাটকীয় ভাবে থানায় উপস্থিত ভূমি দস্যুদের ওসি’র অফিস থেকে বের হতে বললেও তলে তলে ভূমি দস্যুদের সাথে যোগসাজশ করে এবং (১১ জুলাই) বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমি দস্যু মাহবুবুর রহমান গং বাহিনী ১০/১২ জন মিলে অস্ত্র বের করে মোঃ হাবেল মিয়া গং নামের বিজ্ঞ আদালতের লাগানো সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। এসময় মোঃ হাবেল মিয়ারা সাইনবোর্ড খুলতে ভূমি দস্যুদের বাঁধা দিতে গেলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয় থানায় মোঃ হাবেল মিয়া অভিযোগ করতে গেলে,অভিযোগ না নিয়ে তাল বাহানা করতে থাকে পুলিশ।
পরে বিষয়টি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার’কে জানান দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রকাশক। পরে পুলিশ কমিশনার কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সানোয়ার জাহানকে মোঃ হাবেল মিয়ার অভিযোগ নিতে বলেন। অতঃপর কোন উপায় না পেয়ে অভিযোগটি আমলে নেন ওসি সানোয়ার জাহান।
এদিকে ঐ জমির মালিক জেলেকা ও আশপাশের একাধিক মহিলারা জানান, এর আগে (৭ জুলাই) সকালে জমিতে সাইনবোর্ড দেয়ার পর আপনারা যখন থানায় গিয়েছিলেন, তখন এস আই মোস্তফা এই জমিতে এসে বৃদ্ধ মহিলাকে (জেলেকা) গালিগালাজ করে জমিতে দেয়া বেড়া খুলতে বলেছিলো। এস আই মোস্তফা বলেছিলো এই মহিলা বেড়া খুলবি? নাকি হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাবো?
জেলেকা বলেন, কি করুম পুলিশের গালিগালাজ হুইনা ডরাইয়া (ভয়ে) জমির বেড়া খুইল্যা দিছি, আর পুলিশ মোস্তফা মোবাইল দিয়া আমারে ভিডিও করছে। তখন আশপাশের মহিলা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন স্যার আপনে বয়স্ক মহিলার সাথে এমন আচরন কেন করতেছেন। জবাবে এস আই মোস্তফা বলেন, আমার কিছুই করার নেই, ওসি স্যারের হুকুম।

এর প্রেক্ষিতে আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশের কাজ সর্বদা জনগণকে সহযোগিতা করা।
অথচ, এই পুলিশের ( এস আই মোস্তফা) ব্যবহার এতো খারাপ কেন। এই রকম খারাপ মানুষ কিভাবে পুলিশ হয়। এমন আক্ষেপ করতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের।
এদিকে, জমির মালিক মোঃ হাবেল মিয়া আরও বলেন, গত ৭/৮ মাস আগে এই জমির রায় পেয়েছি আমরা। এই দীর্ঘ সময়ে ভূমিদস্যুরা কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে, (৭ জুলাই) জমিতে আমাদের নামের সাইনবোর্ড দিলে ভূমিদস্যু মাহবুবুর রহমান সহ অন্যান্যরা এবং কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহানের যোগসাজশে চলে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র ও হুমকি ধামকি।
উল্লেখ্য, (৭ জুলাই) ওসি সানোয়ার জাহান মোঃ হাবেল মিয়া’দের বলেছিলেন, যদি সাইনবোর্ড উঠিয়ে না নেন, তাহলে আপনাদের নামে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় ওসি সানোয়ার জাহান ভূমিদস্যুদের পক্ষে একদিনেই ১৪৫ ধারা জারি করে (১১ জুলাই) বৃহস্পতিবার উক্ত জমির মধ্যে নোটিশ লিখে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। অথচ উক্ত ১৮ শতাংশ জমিতে মাননীয় আদালতের দেওয়ানজী মোকদ্দমার রায়, মোকদ্দমা নং এবং দাগ, খতিয়ান সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরও মাননীয় আদালতের রায়’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় তৎপর হয়ে উঠেছে এবং করছে।
এ বিষয়ে ওসি সানোয়ার জাহানের সাথে কথা বলতে চাইলে, তাকে পাওয়া যায়নি।
জজ কোর্টের আইনজীবীদের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় আদালতের আদেশ/নির্দেশ ছাড়া পুলিশের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ পদক্ষেপ করার সুযোগ নেই। অথচ কাশিমপুর থানার ওসি সানোয়ার জাহান ও একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের সিদ্ধান্ত না নিয়ে, কোন অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে মাননীয় আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে ভূমিদস্যুদের সহযোগিতায় লিপ্ত।
এমন পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারা সাধারণ নিরীহ অসহায় মানুষের কি উপকার হবে, নাকি ভূমিদস্যুদের সহযোগিতা করবে, এমন প্রশ্ন কাশিমপুর থানাধীন ভূমিদস্যুদের দ্বারা নির্যাতিত জমির দখল হারানো অসহায় সাধারণ মানুষের। তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বলেছেন, দলিল যার জমি তার, এই ঘোষণার পরও কেন আমাদের মতো অসহায় মানুষের জমি পুলিশের সহযোগিতায় ভূমিদস্যুরা ভোগ করবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে এটা আমরা জানতে চাই।চলবে