ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক  গ্রেপ্তার ভারতে হিন্দু পুরোহিত কতৃক মহানবীকে কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন বরগুনায় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু ওবায়দুল কাদের-নানক-হারুনের তথ্য পেলেই গ্রেপ্তার: র‌্যাব সুনামগঞ্জে অগ্নিকান্ডে দুই উপজেলায় নিহত-৬ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১৪৪২১ কোটি টাকা: সিপিডি শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, মৃত্যু বেড়ে ৭ ঝালকাঠী -১আসনে রাজাপুর- কাঁঠালিয়ার গনমানুষের নেতা বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশাী- যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা’র পক্ষ থেকে পূজা মন্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময় ও অনুদান প্রদান নাসিরনগরে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ি গ্রেফতার

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানালেন দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • / ৪২ ৫০০০.০ বার পাঠক

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই এ বৈঠকে বসেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
দপ্তর কক্ষে তাদের দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনও যোগ দেন বৈঠকে। দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমে বের হয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এরপর আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারা কথা বলেন কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে রাজি হননি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন। কিন্তু এই বসাটা নিয়মিত হয়, এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় সেগুলো।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানালেন দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই এ বৈঠকে বসেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
দপ্তর কক্ষে তাদের দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনও যোগ দেন বৈঠকে। দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমে বের হয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এরপর আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারা কথা বলেন কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে রাজি হননি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন। কিন্তু এই বসাটা নিয়মিত হয়, এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় সেগুলো।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।