ঢাকা ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীতে আবারও ইয়ামেনের হামলা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০ ৩ মাসে সোনার দাম বেড়েছে ১৪ বার, যে কারণে বৃদ্ধি ইরান-ইয়েমেনের কাছাকাছি পারমাণবিক বোমারু বিমান মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র ঈদের তৃতীয় দিনে কেউ ঢাকায় ফিরছেন, আবার কেউ ছাড়ছেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে ভৈরবে রেলওয়ে জংশনের সামনে সিগন্যালের তার সহ ২জন চোর গ্রেফতার মোংলায় সহকারি অ্যাটর্ণি জেনারেল মনিরুজ্জামান: গণঅভ্যুত্থানের গণআকাংখা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সংস্কার সংস্কারের মত চলবে, নির্বাচন নির্বাচনের মত// প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর আমাদের জন্য ইতিবাচক ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাড়ির টানে গ্রামে সবাই, রাজধানী ‘ফাঁকা’

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানালেন দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪
  • / ১০৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই এ বৈঠকে বসেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
দপ্তর কক্ষে তাদের দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনও যোগ দেন বৈঠকে। দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমে বের হয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এরপর আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারা কথা বলেন কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে রাজি হননি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন। কিন্তু এই বসাটা নিয়মিত হয়, এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় সেগুলো।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা জানালেন দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:২১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করার পরপরই এ বৈঠকে বসেন তিনি।
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ বৈঠকে ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টায় পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের৷ ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনের পর দুপুর সোয়া ১টায় দপ্তর কক্ষে যান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তারা দুইজন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
দপ্তর কক্ষে তাদের দুজনকে নিয়ে বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে কার্যালয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সময়ে আসেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার। তারা দুজনও যোগ দেন বৈঠকে। দলীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে দুপুর ২টা ১২ মিনিটে দপ্তর কক্ষ ত্যাগ করেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। প্রথমে বের হয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
ওবায়দুল কাদেরের পর বেরিয়ে আসেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনিও গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।
এরপর আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তারা কথা বলেন কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানাতে রাজি হননি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক-সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। এটা রুটিন একটা বিষয়।
কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন। কিন্তু এই বসাটা নিয়মিত হয়, এটা আমরা নিয়মিত বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনা করার মতো বিষয় নয় সেগুলো।
কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। সেটি আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে…। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।