ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত

বেনজীর ও তার পরিবারের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৯:২০:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • / ৮১ ৫০০০.০ বার পাঠক

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের তদন্তকারীরা বলেছেন, তাদের প্রাথমিক তদন্তে এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল অর্থ। বেনজীরের পরিবারের মালিকানাধীন এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দালিলিক প্রমাণও পেয়েছে দুদক।

কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

তদন্ত দল প্রাথমিকভাবে বেনজীরের নামে প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ শনাক্ত করেছে; তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা; তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ জারি করেছে দুদক।

গত ২ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশও দেওয়া হয়।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এই সম্পদগুলো যাতে আত্মসাৎ বা চোরাচালান না হয় তা নিশ্চিত করা।’
বর্তমানে প্রতিটি সম্পদ পৃথকভাবে যাচাই করা হচ্ছে। অনেকগুলোই তার আয়কর নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত এসব সম্পদ বিবেচনাধীন এবং দুদকের মামলায় দালিলিক প্রমাণ প্রয়োজন হওয়ায় অবৈধ সম্পদের হিসাব-নিকাশ চলছে।’
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল বেনজির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।
দুদক সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত করছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বেনজীর ও তার পরিবারের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ পেয়েছে দুদক

আপডেট টাইম : ০৯:২০:০৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের ৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের তদন্তকারীরা বলেছেন, তাদের প্রাথমিক তদন্তে এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।

অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে- ঢাকার বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট এবং বিভিন্ন ব্যাংকে জমা রাখা বিপুল অর্থ। বেনজীরের পরিবারের মালিকানাধীন এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দালিলিক প্রমাণও পেয়েছে দুদক।

কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

তদন্ত দল প্রাথমিকভাবে বেনজীরের নামে প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ শনাক্ত করেছে; তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা; তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণী চেয়ে ইতোমধ্যে আলাদা নোটিশ জারি করেছে দুদক।

গত ২ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশও দেওয়া হয়।

দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে বেনজীর আহমেদের স্থাবর-অস্থাবর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ বা ফ্রিজ করা হয়েছে। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল এই সম্পদগুলো যাতে আত্মসাৎ বা চোরাচালান না হয় তা নিশ্চিত করা।’
বর্তমানে প্রতিটি সম্পদ পৃথকভাবে যাচাই করা হচ্ছে। অনেকগুলোই তার আয়কর নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত এসব সম্পদ বিবেচনাধীন এবং দুদকের মামলায় দালিলিক প্রমাণ প্রয়োজন হওয়ায় অবৈধ সম্পদের হিসাব-নিকাশ চলছে।’
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল বেনজির ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।
দুদক সদর দপ্তরের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল তদন্ত করছে।