মতিউর রহমান একজন জাতীয় রাজস্ব কর্মকর্তা। বর্তমানে কাস্টমস তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড় রয়েছে
- আপডেট টাইম : ১০:৩৪:০২ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
- / ১১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
মতিউর রহমান একজন জাতীয় রাজস্ব কর্মকর্তা। বর্তমানে কাস্টমস তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের পাহাড় রয়েছে
বর্তমানে কর্মকর্তা অবস্থায় আছেন মতিউর রহমান একজন জাতীয় রাজস্ব কর্মকর্তা। বর্তমানে কাস্টমস আপীলত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট সদস্য হিসেবে আছেন । দুর্নীতির মাধ্যমে অর্ডার অবৈধ সম্পদের পার করেছেন এজন্য এক আলাউদ্দিনের চেরাগ নামে বে নামে বিভিন্ন জায়গায় দেশে বিদেশে অনিয়ম অর্থনীতির টাকা সম্পদ করে তুলেছেন এখন প্রশ্ন তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না তার ব্যাপারে এমনই অভিযোগ আছে কি ব্যাপার কি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন গণমাধ্যম কর্মী। কয়েকজন ব্যক্তির লিখিত মাধ্যমিক এই অনুসন্ধান চলছে দুর্নীতি ও অনিয়ম সেরা গোলের সরকারি চাকরি। এবং তার জনগণের পকেট কেটে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়।। শুধুমাত্র বসুন্ধরাতেই মহারাজ ও তার স্ত্রী-সন্তান এবং আত্মীয়দের নামে বেনামে রয়েছে ৪০ টি প্লট। নরসিংদির বেলাবোতে ৪০ বিঘা জমির উপরে গড়েছে আলিসান রিসোর্ট। তাছাড়া
গাজীপুরে মহারাজের জুতার ফ্যাক্টরি। সেই ফ্যক্টরির চেয়ারম্যান নিজেই। গুলশান-২ এ শাহবুদ্দিন পার্কের উল্টো দিকে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের একটি ভবণে আছে ৪টি ফ্ল্যাট। প্রতিটি ফ্ল্যাটের মূল্য ৫ কোটি টাকা। গুলশানের শান্তা প্রোপার্টিজের একটি ভবনে আছে ৮টি ফ্ল্যাট। অনিয়ম অর্থনীতিবা।
মতিউর রহমানের ছেলের বউয়ের বাচ্চা জন্ম হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে হাসপাতালে ডেলিভারী বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৩ লাখ ডলার।
মহারাজের ব্যাংক একাউন্টের মধ্যে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আইডেন্টিফাই করেছে গোয়েন্দারা। সেই একাউন্টে আছে নগদ ১১৭ কোটি টাকা।
সিঙ্গাপুর মালেয়শিয়া দুবাই ও আমেরিকায় বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক মহারাজের স্ত্রী লায়লা কানিজকে বানিয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় উপজেলা চেয়ারম্যান।তের স্ত্রীর নামেও রয়েছে শত কোটি টাকার সম্পদ। এদিকে বিভিন্ন অবসর কর্মকর্তা দের দুদক অনুসন্ধান চালিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিবাজদের সম্পদ উদ্ধার করেছে ঠিক কর্মগত অবস্থায় যারা অনিয়ম ও দুর্নীতি করতেছেন বাদ করছেন তাদের বিষয় কেউই মাথা ঘামাচ্ছেন না। সময়ের অনুসন্ধানে চোখ রাখুন বিস্তারিত জানতে।
বিস্তারিত আরো খবর
রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের অস্বীকার, ইফাতের বাবা তাহলে কে প্রশ্ন থেকেই যায়
কোরবানির ঈদের আগে সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১২ লাখ টাকার ছাগল কেনার ঘোষণা দিয়ে ভাইরাল হওয়া তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতকে নিয়ে তোলপাড় এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ প্রতিটা চায়ের আড্ডায়। সঙ্গে বাবা হিসেবে এক রাজস্ব কর্মকর্তার নাম জড়িয়ে যাওয়ায় ইস্যুটি এখন টক অব দ্য টাউন। এরই মধ্যে মতিউর রহমান নামে ওই রাজস্ব কর্মকর্তা ইফাতকে তার ছেলে হিসেবে অস্বীকার করে জন্ম দিয়েছেন আরেক বিতর্কের। সন্দেহের পাশাপাশি জনমনে এখন একটাই প্রশ্ন, তাহলে কে এই ইফাত? কেনই বা সে নিজের বাবার পরিচয় দিতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মতিউর রহমানের নাম নিল?
এ বিষয়ে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “ইফাত তাঁর মামাতো বোনের সন্তান। আর মতিউর রহমানই তার বাবা। ইফাত এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। ধারণা করছি রাগ করে মতিউর রহমান ইফাতের সঙ্গে সম্পর্ক অস্বীকার করেছেন। মতিউর রহমান নিয়মিত দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।”
এবার খাসিকাণ্ডে মুখ খুলেছেন যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমার বয়স ১৯ বছর। আমি ছোট থেকেই পশুপাখি অনেক ভালোবাসি। আমি সাদিক এগ্রোতে গরু দেখার জন্য গিয়েছিলাম। সাদিক এগ্রোর যিনি মালিক ইমরান ভাই, তার সাথে আমার আগেই পরিচয় আছে। যেহেতু আমি পাখি পালি। তার কথামতো আমি ঐ খাসির সঙ্গে ছবি তুলি। আর সবাইকে বলি আমি খাসিটি কিনেছি। আসলে খাসিটি আমার কেনা হয়নি। খাসিটি আমার বাসায়ও আনা হয়নি এবং কোরবানিও দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে সবাই জানতে পেরেছেন যে খাসিটি আমার কেনা হয়নি এবং এটি এখনো সাদিক এগ্রোতে আছে। এই যুবক আরো বলেন, এটার জন্য আমার ফ্যামিলি নিয়ে অনেক কথা-বার্তা হয়। আমার কারণে আমার পরিবারকে অনেক ছোট হতে হয়।
ইফাতের এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আরো সরগরম হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, ইফাতের বাবার পরিচয় নিয়ে যখন সর্ব মহলে গুঞ্জন উঠেছে যে, তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে। ঠিক সেই সময় মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইফতার তার ছেলে নন। এমনকি তার সঙ্গে কোনো আত্মীয়তার সম্পর্কও নেই। এর আগে কোনোদিন দেখাও হয়নি।
এ বিষয়ে ইফাত যখন গণমাধ্যমে কথা বলছেন, তখন তার বাবার পরিচয় নিয়ে বক্তব্য দেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু তিনি তা পরিষ্কার করেননি। বরঞ্চ গণমাধ্যমকে তিনি জানান, খাসিকাণ্ডে তার পরিবার ছোট হচ্ছে। সেই পরিবার কারা তা নিয়ে ইফাত কোনো তথ্য দেননি এবং পরিচয় নিয়েও কিছু বলেননি।
এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ইফাত কি সত্যিই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে? যদি তা নাই হবে, তাহলে ইফাত কেন পরিবার নিয়ে কথা বলার সময় মতিউর রহমানকে নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি? আর যদি অন্য পরিবারের সন্তানই হবে, তাহলে কেন তা নিশ্চিত করেননি? এমন পরিস্থিতে আরো প্রশ্ন উঠছে, ছেলেটি আসলে কার? এ নিয়ে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে নিচ্ছেন অনেকে, আবার অনেকে আছেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তবে ইফাতের পরিচয় নিয়ে চলছে অনুসন্ধান।
এদিকে মতিউর রহমান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। আমার এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলের নাম আহমেদ তৌফিকুর রহমান আর মেয়ের নাম ফারহানা রহমান। থাকে কানাডায়। বিদেশে পড়াশোনা করে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, কে বা কারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি।
এই রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, পেশাগত জীবনে মাথা উঁচু করে চাকরি করেছি। কখনো দুর্নীতির সঙ্গে আপস করিনি। কেউ যদি দুর্নীতির ন্যূনতম কোনো প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে যা শাস্তি দেবেন তাই মাথা পেতে নেব।
এর আগে ইফাত খাসির জন্য এক লাখ টাকা বুকিং দিলেও নিতে আসেননি বলে দাবি করে ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রো। তারা জানায়, গত ১২ জুন ডেলিভারি নেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ক্রেতা ইফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি সাদিক অ্যাগ্রো কর্তৃপক্ষ।