ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক নব নির্বাচিত হরিরামপুর প্রেসক্লাবের মাসিক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভৈরবে ভবানী পুর সালিশ বৈঠকে ২ বংশের মাঝে সংঘর্ষে ১জন নিহত ২০ জন হাহত হয়

এবার আন্তর্জাতিক আদালতে ৪৩ বছর জেল খাটার পর জানা গেল ‘নির্দোষ’, যা বললেন বিচারক

আন্তর্জাতিক রিপোর্ট
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
  • / ১৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্যান্ড্রা হেম। ছবি: সংগৃহীত
৪৩ বছর জেল খেটেছেন এক নারী। খুনের দায়ে তাকে এ কারাভোগ করতে হয়েছে। তবে জানা গেল, তার কোনো দোষই নেই। বিনা দোষে ৪৩ বছর ধরে কারাগারে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

বিনা দোষে জেল খাটা ওই নারীর নাম সান্ড্রা হেম। তার বয়স এখন ৬৩। কারামুক্ত হলে তিনিই হবেন বিনা দোষে সবচেয়ে বেশি দিন কারাগারে কাটানো কোনো নারী।
১৯৮০ সালে প্যাট্রিশিয়া নামের একজন গ্রন্থাগারকর্মী খুন হন মিসৌরির সেন্ট জোসেফে। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করেন সান্ড্রা হেমকে। সান্ড্রার বয়স তখন ২০। আদালতে তিনি নিজেই খুনের কথা স্বীকার করেছিলেন। তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীদতেই সান্ড্রাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।

আরও পড়ুন:
বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ‘বড় সুখবর’ দিল সরকার
বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ‘বড় সুখবর’ দিল সরকার

এই ঘটনার অনেক বছর পর অন্য একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন মাইকেল হলম্যান নামে সেন্ট জোসেফের এক পুলিশ সদস্য। সেই মামলায় কারাদণ্ড হয় তার।

গ্রন্থাগারিক প্যাট্রিশিয়া খুনের সময় হলম্যানের বয়স ছিল ২২। তার কাছে প্যাট্রিশিয়ার কানের দুল পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়ে অনেক জেরা করেও কোনো অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেননি সরকারি কৌঁসুলিরা। পরে ২০১৫ সালে কারাগারেই মারা যান হলম্যান।

এরপর সময় গড়িয়েছে আরও অনেক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সান্ড্রা হেমের আইনজীবীরা আদালতে ১৪৭ পাতার নথি জমা দিয়ে দাবি করেন, তাদের মক্কেল নির্দোষ। সেই নথি পর্যালোচনা করে এবং তিন দিনের শুনানির পরে বিচারক রায়ান হর্সম্যান শুক্রবার রায় দেন, সান্ড্রা নির্দোষ। ৩০ দিনের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে তাকে।

বিচারক রায়ান হর্সম্যান বলেন, ওই সময়ে তদন্ত যে একপেশে হয়েছিল, তা প্রমাণিত। হলম্যানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলেও তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। সান্ড্রার অসঙ্গতিপূর্ণ কথা শুনে পুলিশ ধরে নেয়, তিনিই দোষী।

এতদিন পর এসে প্রমাণিত হলো, মানসিক রোগী ছিলেন সান্ড্রা। ১২ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন মানসিক ও স্নায়বিক রোগের জন্য চিকিৎসাও চলেছে তার। তাই আদালতে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেছিলেন এবং নিজেই দোষ স্বীকার করেছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

এবার আন্তর্জাতিক আদালতে ৪৩ বছর জেল খাটার পর জানা গেল ‘নির্দোষ’, যা বললেন বিচারক

আপডেট টাইম : ১২:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

স্যান্ড্রা হেম। ছবি: সংগৃহীত
৪৩ বছর জেল খেটেছেন এক নারী। খুনের দায়ে তাকে এ কারাভোগ করতে হয়েছে। তবে জানা গেল, তার কোনো দোষই নেই। বিনা দোষে ৪৩ বছর ধরে কারাগারে দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি আদালত তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

বিনা দোষে জেল খাটা ওই নারীর নাম সান্ড্রা হেম। তার বয়স এখন ৬৩। কারামুক্ত হলে তিনিই হবেন বিনা দোষে সবচেয়ে বেশি দিন কারাগারে কাটানো কোনো নারী।
১৯৮০ সালে প্যাট্রিশিয়া নামের একজন গ্রন্থাগারকর্মী খুন হন মিসৌরির সেন্ট জোসেফে। পুলিশ তদন্তে নেমে গ্রেফতার করেন সান্ড্রা হেমকে। সান্ড্রার বয়স তখন ২০। আদালতে তিনি নিজেই খুনের কথা স্বীকার করেছিলেন। তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীদতেই সান্ড্রাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আদালত।

আরও পড়ুন:
বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ‘বড় সুখবর’ দিল সরকার
বিদেশে পড়তে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ‘বড় সুখবর’ দিল সরকার

এই ঘটনার অনেক বছর পর অন্য একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন মাইকেল হলম্যান নামে সেন্ট জোসেফের এক পুলিশ সদস্য। সেই মামলায় কারাদণ্ড হয় তার।

গ্রন্থাগারিক প্যাট্রিশিয়া খুনের সময় হলম্যানের বয়স ছিল ২২। তার কাছে প্যাট্রিশিয়ার কানের দুল পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়ে অনেক জেরা করেও কোনো অভিযোগ দাঁড় করাতে পারেননি সরকারি কৌঁসুলিরা। পরে ২০১৫ সালে কারাগারেই মারা যান হলম্যান।

এরপর সময় গড়িয়েছে আরও অনেক। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সান্ড্রা হেমের আইনজীবীরা আদালতে ১৪৭ পাতার নথি জমা দিয়ে দাবি করেন, তাদের মক্কেল নির্দোষ। সেই নথি পর্যালোচনা করে এবং তিন দিনের শুনানির পরে বিচারক রায়ান হর্সম্যান শুক্রবার রায় দেন, সান্ড্রা নির্দোষ। ৩০ দিনের মধ্যে মুক্তি দিতে হবে তাকে।

বিচারক রায়ান হর্সম্যান বলেন, ওই সময়ে তদন্ত যে একপেশে হয়েছিল, তা প্রমাণিত। হলম্যানের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলেও তাকে অভিযুক্ত করা হয়নি। সান্ড্রার অসঙ্গতিপূর্ণ কথা শুনে পুলিশ ধরে নেয়, তিনিই দোষী।

এতদিন পর এসে প্রমাণিত হলো, মানসিক রোগী ছিলেন সান্ড্রা। ১২ বছর বয়স থেকে বিভিন্ন মানসিক ও স্নায়বিক রোগের জন্য চিকিৎসাও চলেছে তার। তাই আদালতে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেছিলেন এবং নিজেই দোষ স্বীকার করেছিলেন।