ঢাকা ০৮:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ট্রাক ও বাসের ছাদে

মোঃ ফরিদ আহমেদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি (গাজীপুর)
  • আপডেট টাইম : ০৬:০০:৪৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • / ১৪ ০০.১০বার পাঠক

ঈদ উল আযহা উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের পথে যাত্রীদের চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
কিছু গণপরিবহন বাদে বেশিরভাগ গণপরিবহনেই ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভাড়ার নৈরাজ্য। ফলে প্রান্ত্রিক ও নিম্ন আয়ের ঘরমুখী মানুষজন পড়েছেন দূর্ভোগে। দিশেহারা হয়ে অনেকেই উঠে পড়ছেন পিকআপ, ট্রাক ও বাসের ছাদে। এতে চরম ঝুঁকি থাকলেও আপনজনদের সাথে ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করার জন্য বাড়ি ফেরার আনন্দ উচ্ছাসে মেতেছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গাজীপুরের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শিল্পাঞ্চল গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় শেষ মুহূর্তে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবহনের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে অনেকেই গাড়িতে উঠতে পারছে না। যার ফলে স্বল্প খরচে ট্রাক, পিকআপ ও দূরপাল্লার বাসের ছাদে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।
এদিকে, মহাসড়কে দূর্ঘটনা রোধে ফিটনেসবিহীন পরিবহন ট্রাক, পিকআপ, বাসের ছাদে ভ্রমণের ব্যাপারে পুলিশের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোন প্রভাব দেখা যায়নি সড়ক গুলোতে।
সোলায়মান হোসেন নামের এক যুবক বলেন, চন্দ্রা থেকে দিনাজপুর যেতে একজনের বাস ভাড়া চাচ্ছে ২৫০০ টাকা। এখন পরিবার নিয়ে যদি এতো টাকা ভাড়া দিয়ে যাই, তাহলে ঈদ করবো কিভাবে, তাই কম খরচে ট্রাকে যাব বলে অপেক্ষায় আছি।
আবার, সিরাজগঞ্জের আবুল হোসেন, রংপুরের জাহানারা বেগম, বগুড়ার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন একই ভাবে বলেন, ঈদ ছাড়া অন্যান্য সময় চন্দ্রা থেকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় বাসে যেতে যে টাকা বাস ভাড়া লাগতো, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি চাচ্ছে। তাই কম খরচে বাড়ি যাবার জন্য ট্রাকের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে
রয়েছেন বলে জানান তারা।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ময়মনসিংহের রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার ছোট ভাই ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য সকাল নয়টার দিকে চৌরাস্তা এসে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু বাস ভাড়া অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি চাচ্ছে।
তাই ট্রাকে অথবা বাসের ছাদে কম খরচে বাড়ি যাবার জন্য অপেক্ষায় আছি।
তবে গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করি কেউ যাতে ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ট্রাক ও বাসের ছাদে যাত্রা না করে। কিন্তু পাবলিক তো মানতে চায় না। পুলিশের অগোচরেই ট্রাকে, পিকআপে ও বাসের ছাদে উঠে পড়ে। তবে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখী মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ট্রাক ও বাসের ছাদে

আপডেট টাইম : ০৬:০০:৪৯ অপরাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

ঈদ উল আযহা উদযাপন উপলক্ষ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের পথে যাত্রীদের চাপ ক্রমেই বাড়ছে।
কিছু গণপরিবহন বাদে বেশিরভাগ গণপরিবহনেই ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ভাড়ার নৈরাজ্য। ফলে প্রান্ত্রিক ও নিম্ন আয়ের ঘরমুখী মানুষজন পড়েছেন দূর্ভোগে। দিশেহারা হয়ে অনেকেই উঠে পড়ছেন পিকআপ, ট্রাক ও বাসের ছাদে। এতে চরম ঝুঁকি থাকলেও আপনজনদের সাথে ঈদ আনন্দকে ভাগাভাগি করার জন্য বাড়ি ফেরার আনন্দ উচ্ছাসে মেতেছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।
শনিবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গাজীপুরের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শিল্পাঞ্চল গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তায় শেষ মুহূর্তে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবহনের অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে অনেকেই গাড়িতে উঠতে পারছে না। যার ফলে স্বল্প খরচে ট্রাক, পিকআপ ও দূরপাল্লার বাসের ছাদে নিজ নিজ গন্তব্যে ছুটছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।
এদিকে, মহাসড়কে দূর্ঘটনা রোধে ফিটনেসবিহীন পরিবহন ট্রাক, পিকআপ, বাসের ছাদে ভ্রমণের ব্যাপারে পুলিশের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তার কোন প্রভাব দেখা যায়নি সড়ক গুলোতে।
সোলায়মান হোসেন নামের এক যুবক বলেন, চন্দ্রা থেকে দিনাজপুর যেতে একজনের বাস ভাড়া চাচ্ছে ২৫০০ টাকা। এখন পরিবার নিয়ে যদি এতো টাকা ভাড়া দিয়ে যাই, তাহলে ঈদ করবো কিভাবে, তাই কম খরচে ট্রাকে যাব বলে অপেক্ষায় আছি।
আবার, সিরাজগঞ্জের আবুল হোসেন, রংপুরের জাহানারা বেগম, বগুড়ার আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন একই ভাবে বলেন, ঈদ ছাড়া অন্যান্য সময় চন্দ্রা থেকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় বাসে যেতে যে টাকা বাস ভাড়া লাগতো, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি চাচ্ছে। তাই কম খরচে বাড়ি যাবার জন্য ট্রাকের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে
রয়েছেন বলে জানান তারা।
ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ময়মনসিংহের রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমি ও আমার ছোট ভাই ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য সকাল নয়টার দিকে চৌরাস্তা এসে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু বাস ভাড়া অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি চাচ্ছে।
তাই ট্রাকে অথবা বাসের ছাদে কম খরচে বাড়ি যাবার জন্য অপেক্ষায় আছি।
তবে গাজীপুর রিজিয়নের নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদত হোসেন দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, আমরা যথাসম্ভব চেষ্টা করি কেউ যাতে ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ট্রাক ও বাসের ছাদে যাত্রা না করে। কিন্তু পাবলিক তো মানতে চায় না। পুলিশের অগোচরেই ট্রাকে, পিকআপে ও বাসের ছাদে উঠে পড়ে। তবে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।