ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’এই ধনীতে প্রকম্পিত আরাফাতের ময়দান

সময়ের কণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪
  • / ৭৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির)- মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের এই বাক্য কণ্ঠে ধারণ করে লাখ লাখ মুসলমান জড়ো হচ্ছেন আরাফাতের ময়দানে। আর এর মধ্যে দিয়েই শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে মক্কার হারাম শরিফ কিংবা, বাসা-বাড়ি, হোটেল থেকে ইহরাম বাঁধা (সেলাইবিহীন সাদা কাপড়) লাখ লাখ হজযাত্রী যাত্রা শুরু করে শুক্রবার জোহরের আগে তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় পৌঁছান।

মিনায় ৮ জিলহজ জোহর থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সুন্নত।

শনিবার ফজরের পর মুসলমানরা তালবিয়া (লাব্বাইক) পড়তে পড়তে মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হন বলে সৌদি গেজেট জানিয়েছে। জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করতে হয়। সেখানে সমবেত হয়ে প্রার্থনা ও খুৎবা শোনাকেই হজ ধরা হয়।

সৌদি আরবে গত শুক্রবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ১৫ জুন আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন হবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ হজ করতে সৌদি আরব গেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে এবার ২০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম আশা করা হচ্ছে।

আরাফাতের ময়দানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে হজযাত্রীরা মুজদালিফায় যাবেন; সেখানে এক আজানে আলাদা ইকামতে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুজদালিফায় সারারাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থানের পর ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার কিছু আগে মিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন হাজিরা। এর আগে তারা শয়তানকে মারার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ (রোববার) সকালে মিনায় এসে বড় জামরাতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানগুলোতে দেওয়া দিক-নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে শুনে তা সম্পন্ন করতে হবে জোহরের মধ্যে।

বড় জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।

কোরবানির পরপরই মাথা মুণ্ডন সেরে ফেলতে হয়। এর মাধ্যমে ইহরামের কাপড় পরিবর্তনসহ সব সাধারণ কাজ করা গেলেও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

হজের সর্বশেষ রোকন কাবাঘর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ, যা ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগেই সম্পন্ন করতে হবে। সূর্য ডোবার আগে সেটি করতে না পারলে দম বা কোরবানি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।

১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরাতে ৭টি করে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে প্রতিদিন। তবে যদি কেউ কঙ্কর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফ গিয়ে তাওয়াফ করেন, তবে তাকে তাওয়াফের পর আবার মিনায় চলে আসতে হবে এবং রাতে মিনায় অবস্থান করতে হবে।

১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাত্রযাপন করতে হয়। কেউ মিনাত্যাগ করতে চাইলে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগেই চলে যেতে হবে।

এ সময়ের মধ্যে মিনাত্যাগ করতে না পারলে ১৩ জিলহজ মিনায় অবস্থান করতে হবে। সেদিন সাতটি করে আরও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে।

দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে তাওয়াফ করতে হয়, যাকে বিদায়ী তাওয়াফ বলে। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যে কোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে হিসেবে আদায় হয়ে যায়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’এই ধনীতে প্রকম্পিত আরাফাতের ময়দান

আপডেট টাইম : ০৬:২৭:০৮ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক (আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির)- মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের এই বাক্য কণ্ঠে ধারণ করে লাখ লাখ মুসলমান জড়ো হচ্ছেন আরাফাতের ময়দানে। আর এর মধ্যে দিয়েই শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুসলমানদের প্রধান পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে মক্কার হারাম শরিফ কিংবা, বাসা-বাড়ি, হোটেল থেকে ইহরাম বাঁধা (সেলাইবিহীন সাদা কাপড়) লাখ লাখ হজযাত্রী যাত্রা শুরু করে শুক্রবার জোহরের আগে তাঁবুর শহর খ্যাত মিনায় পৌঁছান।

মিনায় ৮ জিলহজ জোহর থেকে পরদিন ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব এবং সেখানে অবস্থান করা সুন্নত।

শনিবার ফজরের পর মুসলমানরা তালবিয়া (লাব্বাইক) পড়তে পড়তে মিনা থেকে আরাফাতের দিকে রওনা হন বলে সৌদি গেজেট জানিয়েছে। জোহরের আগেই আরাফাতের ময়দানে গিয়ে উপস্থিত হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করতে হয়। সেখানে সমবেত হয়ে প্রার্থনা ও খুৎবা শোনাকেই হজ ধরা হয়।

সৌদি আরবে গত শুক্রবার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ১৫ জুন আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরদিন কোরবানির মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদ্‌যাপন হবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ হজ করতে সৌদি আরব গেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মিলিয়ে এবার ২০ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম আশা করা হচ্ছে।

আরাফাতের ময়দানে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে হজযাত্রীরা মুজদালিফায় যাবেন; সেখানে এক আজানে আলাদা ইকামতে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুজদালিফায় সারারাত খোলা আকাশের নিচে অবস্থানের পর ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য ওঠার কিছু আগে মিনার উদ্দেশে রওনা দেবেন হাজিরা। এর আগে তারা শয়তানকে মারার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ (রোববার) সকালে মিনায় এসে বড় জামরাতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানগুলোতে দেওয়া দিক-নির্দেশনা মনোযোগ সহকারে শুনে তা সম্পন্ন করতে হবে জোহরের মধ্যে।

বড় জামরাতে কঙ্কর নিক্ষেপ করে মিনায় কোরবানির পশু জবাই করতে হয়।

কোরবানির পরপরই মাথা মুণ্ডন সেরে ফেলতে হয়। এর মাধ্যমে ইহরামের কাপড় পরিবর্তনসহ সব সাধারণ কাজ করা গেলেও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে।

হজের সর্বশেষ রোকন কাবাঘর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ, যা ১১ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগেই সম্পন্ন করতে হবে। সূর্য ডোবার আগে সেটি করতে না পারলে দম বা কোরবানি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে।

১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে ধারাবাহিকভাবে ছোট, মধ্যম ও বড় জামরাতে ৭টি করে ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে প্রতিদিন। তবে যদি কেউ কঙ্কর নিক্ষেপের আগে কিংবা পরে কাবা শরিফ গিয়ে তাওয়াফ করেন, তবে তাকে তাওয়াফের পর আবার মিনায় চলে আসতে হবে এবং রাতে মিনায় অবস্থান করতে হবে।

১০ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনায় রাত্রযাপন করতে হয়। কেউ মিনাত্যাগ করতে চাইলে ১২ জিলহজ সূর্য ডোবার আগেই চলে যেতে হবে।

এ সময়ের মধ্যে মিনাত্যাগ করতে না পারলে ১৩ জিলহজ মিনায় অবস্থান করতে হবে। সেদিন সাতটি করে আরও ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে।

দেশে রওয়ানা হওয়ার আগে তাওয়াফ করতে হয়, যাকে বিদায়ী তাওয়াফ বলে। তবে জিলহজ মাসের ১২ তারিখের পর যে কোনো নফল তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফে হিসেবে আদায় হয়ে যায়।