মোংলায় ধর্ষন মামলায় ৫ আসামী কারাগারে
- আপডেট টাইম : ০৫:৪০:১৩ অপরাহ্ণ, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
- / ৮৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোংলায় এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ জনকে বুধবার (৫ জুন) দুপুরে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে বুধবার সকালে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগীর বোন। ভুক্তভোগী ও তার বোন মোংলা পৌর শহরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মোংলা থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে সুমন (২৯), বাশার মোসাল্লির ছেলে মিজানুর মোসাল্লি (৩৬) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
এই মামলায় মোট সাত জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তারা হলো- মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে জামাল (৪৫), লুৎফরের ছেলে আওয়াল (৩৫)।
মোংলা থানায় দায়ের হওয়া মামলার বরাত দিয়ে ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর সঙ্গে ১০/১২ দিন আগে মামলার আসামি সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে গত সোমবার তারা মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করে। পরে তাকে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে তুলে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে নিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে অচেতন হয়ে পড়লে রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
তিনি জানান, পরে এই পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামের এক মোটরসাইকেল চালক দেখে তার চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দিলে তার জ্ঞান ফেরে। পরে তার বোনকে কল দিলে তাকে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বোন বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলা করলে পুলিশ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। পরে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়।