ঢাকা ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. রেজাউল করিম মসজিদের ইমাম হত্যা মামলার খুনিদের বাঁচাতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে ৫ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক: গভর্নর ৩০ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আবারও বসছে ঐকমত্য কমিশন রাজধানীতে ৫ মাসে ১৬৮ খুনের মামলা, আন্ডার ওয়ার্ল্ড গডফাদারের সংশ্লিষ্টতা এক লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে ইরানের হামলায় ইসরাইলে নিহত ৮, আহত ২০০ আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ধারী দালাল এখন বিগত রাতে কমপক্ষে ১০০জামাত বিএনপি ধরে হাজত দেওয়ার পরও এখনো কর্মগত অবস্থায় কিভাবে আকবেন নির্বাচনের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বোয়ালমারীত আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের এসআই নিহত আবারও ইরানে ইসরাইলের হামলা শুরু

রাণীশংকৈলে স্বর্ণ সন্ধানের নেপথ্য কথা

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও।।
  • আপডেট টাইম : ০৬:২২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ১০৮ ১৫০.০০০ বার পাঠক

রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাঁটিতে মাটি খুঁড়লেই মিলছে স্বর্ণ। এ নিয়ে গোটা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। ভাটা ম্যনাজার ও স্থানীয়রা জানান ইট ভাঁটিতে স্তুপ কৃত মাটি গুলো তিনটি ঐতিহাসিক স্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে রাজা ও জমিদাররা অবাধ বিচরন ও ধর্মীয় কর্যক্রম করতেন।
জানা গেছে, ৭ থেকে ৮ মাস যাবৎ ইটভাঁটির শ্রমিক ও এলাকার বিভিন্ন মানুষ স্বর্ণ পয়েছে। বিষয়টি এভাবেই চুপে চাপে চলতে থাকে। গত এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ রাতে স্বর্ণ খোঁজাকে কেন্দ্র করে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরের দিন দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ প্রকাশ করলে, ভাঁটা মালিক স্তুপের মাটি খুড়া খুঁড়ি বন্ধ করে দেন এবং বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েকদিন পরে এলাকার যারা স্বর্ণ পেয়েছে ও যেসব স্বর্ণকারের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে পুরো উপজেলায় ইটভাঁটিতে স্বর্ণ পাওয়ার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিষয়টি ব্যাপক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটতে থাকে ওই ইট ভাঁটিতে। স্বর্ণ খোঁজার ও পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন স্যাটালাইট টেলিভিশন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত হয়। ওই স্থানে বেশ কিছু অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ২৫ রাতে উপজেলা‌ প্রশাসন ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এবং ভাটা মালিককে স্তুপ করে রাখা মটি গুলো দ্রুত অপসারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চলমান রয়েছে মাটি অপসারণের কাজ কিন্তু, রঙ্গ-রগর বিষয় হলো মাটি অপসারণ করে যে সকল স্থানে রাখা হয়েছে রাতের আধাঁরে স্বর্ণের খোঁজে সেখানেও খুঁড়ো খুঁড়ি করছে কিছু মানুষ।

নানা মত বিশ্লেষণে জানা গেছে, অনেকে বলছেন ওই মাটি গুলো কাতিহার বাজারের পশ্চিম পাশে শ্যামরায় মন্দিরের সাথে থাকা একটি কালি মন্দিরের জমি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই জায়গায় রাস পূর্ণিমার রাতে প্রতিবছর মেলা হতো সেখানে রাস ঘুরানোর সময় জমিদার ও তৎকালীন ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দেবতাকে খুশি করার জন্য স্বর্ণ মুদ্রা ও মোহর নিক্ষেপ করতেন। দেশ বিভক্তির সময় রাজা টংকনাথ স্বপরিবারে ভারতে চলে যান। ওই সময় তারা আবারও ফিরে আসবেন ভেবে মোহর ও তাদের নিকট থাকা গুপ্ত ধন মাটির নিচে পুঁতে রেখে যান। ওই মাটি ইট ভাঁটিতে কেটে এনে স্তুপ করায় ওখান থেকে এসব গুপ্তধন মিলছে। আবার কেউ বলছেন ওই স্তুপের মাটি পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার কুশারিগা গ্রামের নানাহার বিলের ৩ থেকে ৪’শ বছরের একটি পুকুর থেকে আনা হয়েছে । ওই সব মাটি থেকে এসব গুপ্তধন মিলছে। তৎকালীন সময়ে নানুহর নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিয়ের সময় পুকুর পাড়ে থাকা মন্দিরের দেবদেবীকে খুশি করার জন্য ওই পুকুরে অনেক স্বর্ন অলংকার ছিটিয়ে দেন। তবে সরজমিনে গিয়ে পুকুর পাড়ে থাকা মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি, একটি ঢিবিতে শতবছরের অধিক পুরোনো কিছু ইটের দেখা মিলেছে। আবার অনেকে মনে করছেন রাজোর বনকালি নামক জায়গা থেকে ইট ভাঁটিতে আনা মাটি থেকে এসব গুপ্তধন উঠে আসতে পারে। এখন জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এটির মূল রহস্য প্রশাসনিক ভাবে উদঘাটন হবে কি না? এর সমাধান কি? বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাণীশংকৈলে স্বর্ণ সন্ধানের নেপথ্য কথা

আপডেট টাইম : ০৬:২২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

রাণীশংকৈল উপজেলার কাতিহার আরবিবি ইট ভাঁটিতে মাটি খুঁড়লেই মিলছে স্বর্ণ। এ নিয়ে গোটা উপজেলা জুড়ে তোলপাড় চলছে। ভাটা ম্যনাজার ও স্থানীয়রা জানান ইট ভাঁটিতে স্তুপ কৃত মাটি গুলো তিনটি ঐতিহাসিক স্থান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে রাজা ও জমিদাররা অবাধ বিচরন ও ধর্মীয় কর্যক্রম করতেন।
জানা গেছে, ৭ থেকে ৮ মাস যাবৎ ইটভাঁটির শ্রমিক ও এলাকার বিভিন্ন মানুষ স্বর্ণ পয়েছে। বিষয়টি এভাবেই চুপে চাপে চলতে থাকে। গত এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ রাতে স্বর্ণ খোঁজাকে কেন্দ্র করে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরের দিন দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি তথ্য সংগ্রহ করে নিউজ প্রকাশ করলে, ভাঁটা মালিক স্তুপের মাটি খুড়া খুঁড়ি বন্ধ করে দেন এবং বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েকদিন পরে এলাকার যারা স্বর্ণ পেয়েছে ও যেসব স্বর্ণকারের কাছে স্বর্ণ বিক্রি করা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে পুরো উপজেলায় ইটভাঁটিতে স্বর্ণ পাওয়ার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিষয়টি ব্যাপক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটতে থাকে ওই ইট ভাঁটিতে। স্বর্ণ খোঁজার ও পাওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন স্যাটালাইট টেলিভিশন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া গুলোতে প্রকাশিত হয়। ওই স্থানে বেশ কিছু অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ২৫ রাতে উপজেলা‌ প্রশাসন ওই স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করে পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এবং ভাটা মালিককে স্তুপ করে রাখা মটি গুলো দ্রুত অপসারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চলমান রয়েছে মাটি অপসারণের কাজ কিন্তু, রঙ্গ-রগর বিষয় হলো মাটি অপসারণ করে যে সকল স্থানে রাখা হয়েছে রাতের আধাঁরে স্বর্ণের খোঁজে সেখানেও খুঁড়ো খুঁড়ি করছে কিছু মানুষ।

নানা মত বিশ্লেষণে জানা গেছে, অনেকে বলছেন ওই মাটি গুলো কাতিহার বাজারের পশ্চিম পাশে শ্যামরায় মন্দিরের সাথে থাকা একটি কালি মন্দিরের জমি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই জায়গায় রাস পূর্ণিমার রাতে প্রতিবছর মেলা হতো সেখানে রাস ঘুরানোর সময় জমিদার ও তৎকালীন ধনাঢ্য ব্যক্তিরা দেবতাকে খুশি করার জন্য স্বর্ণ মুদ্রা ও মোহর নিক্ষেপ করতেন। দেশ বিভক্তির সময় রাজা টংকনাথ স্বপরিবারে ভারতে চলে যান। ওই সময় তারা আবারও ফিরে আসবেন ভেবে মোহর ও তাদের নিকট থাকা গুপ্ত ধন মাটির নিচে পুঁতে রেখে যান। ওই মাটি ইট ভাঁটিতে কেটে এনে স্তুপ করায় ওখান থেকে এসব গুপ্তধন মিলছে। আবার কেউ বলছেন ওই স্তুপের মাটি পাশ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার কুশারিগা গ্রামের নানাহার বিলের ৩ থেকে ৪’শ বছরের একটি পুকুর থেকে আনা হয়েছে । ওই সব মাটি থেকে এসব গুপ্তধন মিলছে। তৎকালীন সময়ে নানুহর নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তির বিয়ের সময় পুকুর পাড়ে থাকা মন্দিরের দেবদেবীকে খুশি করার জন্য ওই পুকুরে অনেক স্বর্ন অলংকার ছিটিয়ে দেন। তবে সরজমিনে গিয়ে পুকুর পাড়ে থাকা মন্দিরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি, একটি ঢিবিতে শতবছরের অধিক পুরোনো কিছু ইটের দেখা মিলেছে। আবার অনেকে মনে করছেন রাজোর বনকালি নামক জায়গা থেকে ইট ভাঁটিতে আনা মাটি থেকে এসব গুপ্তধন উঠে আসতে পারে। এখন জনমনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এটির মূল রহস্য প্রশাসনিক ভাবে উদঘাটন হবে কি না? এর সমাধান কি? বিষয়টি নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।