মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয় ১৫ জন শিক্ষক/কর্মচারির মানবেতর জীবন-যাপন
- আপডেট টাইম : ০৪:১৮:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
- / ৬৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানাধীন ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত মধুপুর কাকলী উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৩খ্রি. সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে অদ্যাবধি জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। উক্ত বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১২জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে নিয়মিত কমিটি থাকা কালিন অবস্থায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন ও বিদ্যালয়ের সভাপতি বদরুল ইসলাম বিপ্লব এর মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এক স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। শেষ পর্যন্ত আদালতের দারস্থ হন সভাপতি। ফলে প্রধান শিক্ষক সুদেব চন্দ্র বর্মন ২৪ ঘন্টার মধ্যে জামিনে মুক্ত হন। বর্তমানে সুদেব চন্দ্র বর্মন সহ অন্য আসামীরা জামিনে মুক্ত রয়েছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের সভাপতি বদরুল ইসলাম বিপ্লব গত ফেব্রুয়ারি মাস হতে বেতন বিলে স্বাক্ষর না করায় বিগত ০৪ মাসের বেতন ও গত ঈদ উল-ফিতরের উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা উত্তোলন করতে না পারায় শিক্ষক কর্মচারীরা চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে এই প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন। ওই বিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সতীশ চন্দ্র বর্মন বলেন, শিক্ষক কর্মচারীরা যে বেতন ভাতা পায় তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে। উপরন্তু ০৪ মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা না তুলতে পারায় আমরা মানবেতর জীবন-যাপন করছি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হাইকোর্ট কর্তৃক বিদ্যালয়ের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার আদেশ প্রদান করা হয়েছে ফলে এডহক কমিটি গঠনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। উক্ত বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, আমার এখানে বলার কিছুই নাই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেতন বিলের কপি আমার কাছে নিয়ে আসলে আমি স্বাক্ষর করে দিব। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, নিয়মিত কমিটি থাকা কালিন আমার বেতন বিলে স্বাক্ষর করার এখতিয়ার নেই। তবে নিয়মিত কমিটি না থাকলে আমার কাছে বেতন বিল নিয়ে আসলে আমি স্বাক্ষর করবো।