ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাহিদসহ তিন জন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে আহতদের দেখতে ঢামেক হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার সিলেট: ১৮-২৩ জুলাইয়ের ঘটনাপ্রবাহ রক্তাক্ত জুলাই থেকে কি কোনো শিক্ষা হবে? সব দল নিয়ে জাতীয় ঐক্যের মাঠে নামছেন বিএনপি শিক্ষার্থীদের আমি রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে দেশের মানুষ: নৌবাহিনী প্রধান মেট্রোরেল স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী রুশ এমআই-২৮ সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কালুগা অঞ্চলে আজ বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় কে হামলা চালাবে—বিএনপির নীল নকশা আগেই প্রস্তুত ছিল: কাদের

মোংলায় ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবেলায় ব্যাপক কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন

  • আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • / ৫৬ ৫০০.০০০ বার পাঠক

মোংলায় ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবেলায় রাত জেগে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন, মোংলা থানা, কোস্ট গার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিপিপি এর সদস্যরা। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোংলার বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন তারা।ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করতে মোংলা উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ,কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সিপিপি এর প্রায় ১৩২০ জন সদস্য। পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ স্পটে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের গতি ও ধরন পর্যবেক্ষণ করে, উপকূলীয় মানুষকে সচেতন করছেন কোস্টগার্ড। পাশাপাশি মাইকিং করেছে সিপিপির সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোংলা পৌর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং সহ জনসচেতনাতায় কাজ করছে একদল তরুন সেচ্ছাসেবক। পৌর সভার সিপিপির ৬ নং ওর্য়াড ডেপুটি টিম লিডার শফিকুল ইসলাম শান্ত, উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী দলনেতাসহ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট মোংলা উপজেলার ‘ডিপার্টমেন্টাল চিফ, আইসিটি মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন ও সিপিপির বিভিন্ন সদস্যসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তরুন সেচ্ছাসেবক দল। শনিবার( ২৫ মে)সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ‘ঘূর্ণিঝড় রিমেল-এ পরিণত হলে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রামে ৯ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। পূর্বাভাসে আরও জানানো হয় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চল। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমেলকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মোংলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র সহ সমগ্র বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিটি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে।জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবেলায় মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, সাইক্লোন শেল্টারে বিকেল পর্যন্ত আশ্রিত লোকের সংখ্যা পুরুষ ১১১০০ জন, মহিলা ১৩৪০০ জন, শিশু ৫১৩০ জন, প্রতিবন্ধী ৯২ জন, মোট ২৯,৭২২ জন। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবেলায় ব্যাপক কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন

আপডেট টাইম : ০৬:০৭:৫৭ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

মোংলায় ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবেলায় রাত জেগে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন, মোংলা থানা, কোস্ট গার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিপিপি এর সদস্যরা। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোংলার বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন তারা।ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করতে মোংলা উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ,কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সিপিপি এর প্রায় ১৩২০ জন সদস্য। পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ স্পটে প্রস্তুত রয়েছেন তারা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের গতি ও ধরন পর্যবেক্ষণ করে, উপকূলীয় মানুষকে সচেতন করছেন কোস্টগার্ড। পাশাপাশি মাইকিং করেছে সিপিপির সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে দেখা গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোংলা পৌর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং সহ জনসচেতনাতায় কাজ করছে একদল তরুন সেচ্ছাসেবক। পৌর সভার সিপিপির ৬ নং ওর্য়াড ডেপুটি টিম লিডার শফিকুল ইসলাম শান্ত, উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী দলনেতাসহ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট মোংলা উপজেলার ‘ডিপার্টমেন্টাল চিফ, আইসিটি মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন ও সিপিপির বিভিন্ন সদস্যসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তরুন সেচ্ছাসেবক দল। শনিবার( ২৫ মে)সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ‘ঘূর্ণিঝড় রিমেল-এ পরিণত হলে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মোংলা ও পায়রায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রামে ৯ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। পূর্বাভাসে আরও জানানো হয় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চল। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমেলকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে মোংলায় ১০৩টি আশ্রয় কেন্দ্র সহ সমগ্র বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক। প্রতিটি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে।জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় রিমেল মোকাবেলায় মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, সাইক্লোন শেল্টারে বিকেল পর্যন্ত আশ্রিত লোকের সংখ্যা পুরুষ ১১১০০ জন, মহিলা ১৩৪০০ জন, শিশু ৫১৩০ জন, প্রতিবন্ধী ৯২ জন, মোট ২৯,৭২২ জন। তাদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।