ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

নতুন পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে পরিত্যক্ত সুপারির খোলসে

আসিফুজ্জামান আসিফ ,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
  • / ১৮২ ৫০০০.০ বার পাঠক

সুপারির খোঁলস এতদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল, এখন সেই খোলস দিয়েই তৈরি হচ্ছে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব তৈজসপত্র। প্লাস্টিকের পণ্যের বিপরীতে প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি এসব তৈজসপত্রের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার শিমুলতলী বাজারে তৈরি করা হচ্ছে এসব পণ্য।

জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সুপারির খোল প্রতি পিস ২ টাকা অথবা ২ টাকা ৫০ পয়সা দরে সংগ্রহ করা হয়। খোলগুলোকে প্রথমে নিমপাতা ও লেবুর রসযুক্ত পানি দিয়ে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর পাতার খোল ছাঁচের মেশিনে বসিয়ে তাপ ও চাপ প্রয়োগ করে নানা পণ্যের আকৃতি দেওয়া হয়। মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় গোলাকার বাটি, গোলাকার প্লেট, চৌকোণা প্লেট, লাভ প্লেট, চামচ, ট্রেসহ নানা ধরনের ব্যবহার্য সামগ্রী।

পঞ্চগড়ে সুপারির খোলস থেকে তৈজসপত্র তৈরির কারখানা ‘ইকো বিডি গ্রিন’ চালু হয় গত বছরের অক্টোবর মাসে। এরপর এ কারখানা থেকে দৈনিক ১০০০-১২০০ পিস বিভিন্ন ডিজাইনের প্লেট, বাটিসহ প্রায় ৮ ধরনের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে।

আব্দুর রাজ্জাক সুপারি চাষি বলেন, “আমার ১ একর জমিতে প্রায় ৩০০টি সুপারি গাছ রয়েছে।বছর আগে এই বাগানটির কাজ শুরু করেছিলাম। আগে সুপারি গাছের খোলসগুলো জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহার করতাম। বর্তমানে এই খোলসগুলো ‘ইকো বিডি গ্রিন’ কারখানায় বিক্রি করছি। এতে আমার আয় বেড়েছে।” ইকো বিডি গ্রিনের পরিচালক মো. ফরিদুল আলম বলেন, ‘আমার কারখানা থেকে যে পণ্য তৈরি করা হয়, সেগুলো ঢাকা এবং বাহিরের দেশে পাঠানো হয়। আমাদের দেশের জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের তৈজসপত্রের প্রচার-প্রচারণা না থাকায় এখনো তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই তা দেশের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম পণ্যের চেয়ে আমাদের ওয়ান টাইম আসবাবপত্র মানসম্পন্ন। আমাদের পণ্যগুলো প্রতি পিস ৭ টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হয়।’

তিনি বলেন, এই পণ্যগুলো শক্ত, সুন্দর ও সহজে পরিবহনযোগ্য। এগুলোর সবচেয়ে ভালো দিক হলো ব্যবহারের পর ফেলে দিলে এগুলো পচে জৈব সার হয়। প্লাস্টিকের পণ্যের তুলনায় দাম একটু বেশি হলেও পরিবেশ সুরক্ষায় এর বিকল্প নেই। বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। সুপারির খোল দিয়ে তৈরি তৈজসপত্রের বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এখন। এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নতুন পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে পরিত্যক্ত সুপারির খোলসে

আপডেট টাইম : ০৪:৪৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

সুপারির খোঁলস এতদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল, এখন সেই খোলস দিয়েই তৈরি হচ্ছে নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব তৈজসপত্র। প্লাস্টিকের পণ্যের বিপরীতে প্রাকৃতিক উপকরণে তৈরি এসব তৈজসপত্রের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার শিমুলতলী বাজারে তৈরি করা হচ্ছে এসব পণ্য।

জানা যায়, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সুপারির খোল প্রতি পিস ২ টাকা অথবা ২ টাকা ৫০ পয়সা দরে সংগ্রহ করা হয়। খোলগুলোকে প্রথমে নিমপাতা ও লেবুর রসযুক্ত পানি দিয়ে ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করে রোদে শুকিয়ে নেওয়া হয়। এরপর পাতার খোল ছাঁচের মেশিনে বসিয়ে তাপ ও চাপ প্রয়োগ করে নানা পণ্যের আকৃতি দেওয়া হয়। মাত্র ১ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় গোলাকার বাটি, গোলাকার প্লেট, চৌকোণা প্লেট, লাভ প্লেট, চামচ, ট্রেসহ নানা ধরনের ব্যবহার্য সামগ্রী।

পঞ্চগড়ে সুপারির খোলস থেকে তৈজসপত্র তৈরির কারখানা ‘ইকো বিডি গ্রিন’ চালু হয় গত বছরের অক্টোবর মাসে। এরপর এ কারখানা থেকে দৈনিক ১০০০-১২০০ পিস বিভিন্ন ডিজাইনের প্লেট, বাটিসহ প্রায় ৮ ধরনের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে।

আব্দুর রাজ্জাক সুপারি চাষি বলেন, “আমার ১ একর জমিতে প্রায় ৩০০টি সুপারি গাছ রয়েছে।বছর আগে এই বাগানটির কাজ শুরু করেছিলাম। আগে সুপারি গাছের খোলসগুলো জ্বালানি হিসেবেই ব্যবহার করতাম। বর্তমানে এই খোলসগুলো ‘ইকো বিডি গ্রিন’ কারখানায় বিক্রি করছি। এতে আমার আয় বেড়েছে।” ইকো বিডি গ্রিনের পরিচালক মো. ফরিদুল আলম বলেন, ‘আমার কারখানা থেকে যে পণ্য তৈরি করা হয়, সেগুলো ঢাকা এবং বাহিরের দেশে পাঠানো হয়। আমাদের দেশের জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের তৈজসপত্রের প্রচার-প্রচারণা না থাকায় এখনো তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই তা দেশের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়বে। প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম পণ্যের চেয়ে আমাদের ওয়ান টাইম আসবাবপত্র মানসম্পন্ন। আমাদের পণ্যগুলো প্রতি পিস ৭ টাকা থেকে ১৫ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হয়।’

তিনি বলেন, এই পণ্যগুলো শক্ত, সুন্দর ও সহজে পরিবহনযোগ্য। এগুলোর সবচেয়ে ভালো দিক হলো ব্যবহারের পর ফেলে দিলে এগুলো পচে জৈব সার হয়। প্লাস্টিকের পণ্যের তুলনায় দাম একটু বেশি হলেও পরিবেশ সুরক্ষায় এর বিকল্প নেই। বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির বলেন, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ। সুপারির খোল দিয়ে তৈরি তৈজসপত্রের বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এখন। এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।