ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকিস্তান থেকে এবার ২৫ হাজার টন চিনি কিনছে বাংলাদেশ মিলে গেল ডিএনএ, মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী আর্ন্তজাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে মোংলায় র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মার–এ–লাগোতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন হাসিনার পররাষ্ট্রনীতি এখন আর নেই, ভারতকে স্মরণ করালেন মুশফিক ঠাকুরগাঁওয়ে সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের বিভাগীয় কমিশনারের হুশিয়ারী টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত ১০নং দক্ষিণ গোবিন্দপুর ইউনিয়ন সেচ্ছেসেবক দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কেমন পুলিশ চাই’ জরিপ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পুলিশ চান ৮৯ শতাংশ মানুষ ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠকে প্রণয় ভার্মা

সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বেকারত্ব দূর করলেন বিরামপুরের জনাব আলী ও জহরুল ইসলাম

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৭:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • / ৪০২ ৫০০০.০ বার পাঠক

বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ান ও একটি পৌরসভায় প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় প্রথমবার ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বিরামপুর উপজেলার দুই ইউনিয়নের সূর্যমুখী চাষী জোনাব আলী ও জহুরুল ইসলাম। শুধু তারাই নয় আরও অনেক কৃষক এবার তাদের জমিতে সূর্যমুখীর ফুলের চাষ করেছে।

তথ্য মতে জানা যায়-বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত বিরামপুর উপজেলার পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। অনাবাদি জমিতে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মুলক ভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। তাই এ সকল জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন সংশিষ্ট্যরা। দু’টি ইউনিয়নে  দেখা যায়-গাছে গাছে ফুটেছে সূর্যমুখী ফুল। এসব ফুলেই স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। বাগানগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় দূর থেকে তাকালে যে কারও মনে হতে পারে আকৃষ্ট। প্রকৃতি যেন হলুদ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে, যেখানে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে মন চায়।

কৃষক জোনাব আলী বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছি। এর আগে এই এলাকায় এই ফসলটি চাষ হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি সূর্যমুখীর চাষ শুরু করি। এখন ফলন দেখে আমি অনেক খুশি। তিনি আরও বলেন-প্রতিদিনই অনেক দুর দুরত্ব থেকে আমার বাগান দেখার জন্য ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থী আসে। তারা ছবি তুলে আবার ফেজবুকে আপলোড দিচ্ছে। তা দেখে আমার অনেক ভালো লাগে।

কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও দিক নির্দেশনায়য় সূর্যমুখী চাষ শুরু করছি। তিনি আরো জানান- আমি আমান জমি থেকে (প্রায়) ২৪ মন বীজ পাবো এ মৌসুমে। আমি

বিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান-এবার এই মৌসুমি  উপজেলার ৭টি ইউনিয়ান এবং একটি পৌর সভায় ১৩৫ জন কৃষককে বিরামপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে বীজ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। দিওড়, জোতবানী ও বিনাইল ও খানপুর ইউনিয়নে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এছাড়াও দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করতে এবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমূখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাষীদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কৃষকেরা সূর্যমূখী চাষ করে লাভবান হবেন বলে আমরা আশা করছি। এ বছর প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষক আবাদ করেছে সূযমুখী তেলবীজ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে বেকারত্ব দূর করলেন বিরামপুরের জনাব আলী ও জহরুল ইসলাম

আপডেট টাইম : ১২:৪৭:১১ অপরাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

বিরামপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি।।

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ান ও একটি পৌরসভায় প্রথমবারের মত চাষ হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের। সূর্যমুখী চাষ করে এলাকায় প্রথমবার ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন বিরামপুর উপজেলার দুই ইউনিয়নের সূর্যমুখী চাষী জোনাব আলী ও জহুরুল ইসলাম। শুধু তারাই নয় আরও অনেক কৃষক এবার তাদের জমিতে সূর্যমুখীর ফুলের চাষ করেছে।

তথ্য মতে জানা যায়-বিরামপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রথমবারের মত বিরামপুর উপজেলার পৌরসভাসহ কয়েকটি ইউনিয়নে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। অনাবাদি জমিতে প্রথমবারের মত পরীক্ষা মুলক ভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। তাই এ সকল জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন সংশিষ্ট্যরা। দু’টি ইউনিয়নে  দেখা যায়-গাছে গাছে ফুটেছে সূর্যমুখী ফুল। এসব ফুলেই স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। বাগানগুলো সড়কের পাশে হওয়ায় দূর থেকে তাকালে যে কারও মনে হতে পারে আকৃষ্ট। প্রকৃতি যেন হলুদ গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে, যেখানে সাময়িক সময়ের জন্য হারিয়ে যেতে মন চায়।

কৃষক জোনাব আলী বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছি। এর আগে এই এলাকায় এই ফসলটি চাষ হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে আমি সূর্যমুখীর চাষ শুরু করি। এখন ফলন দেখে আমি অনেক খুশি। তিনি আরও বলেন-প্রতিদিনই অনেক দুর দুরত্ব থেকে আমার বাগান দেখার জন্য ভ্রমণপিয়াসী দর্শনার্থী আসে। তারা ছবি তুলে আবার ফেজবুকে আপলোড দিচ্ছে। তা দেখে আমার অনেক ভালো লাগে।

কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে আরডিএস-২৭৫ জাতের সূর্যমুখীর বীজ লাগিয়েছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও দিক নির্দেশনায়য় সূর্যমুখী চাষ শুরু করছি। তিনি আরো জানান- আমি আমান জমি থেকে (প্রায়) ২৪ মন বীজ পাবো এ মৌসুমে। আমি

বিরামপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল জানান-এবার এই মৌসুমি  উপজেলার ৭টি ইউনিয়ান এবং একটি পৌর সভায় ১৩৫ জন কৃষককে বিরামপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে বীজ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। দিওড়, জোতবানী ও বিনাইল ও খানপুর ইউনিয়নে সূর্যমুখীর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এছাড়াও দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করতে এবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সূর্যমূখী চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা চাষীদের সকল ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কৃষকেরা সূর্যমূখী চাষ করে লাভবান হবেন বলে আমরা আশা করছি। এ বছর প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে কৃষক আবাদ করেছে সূযমুখী তেলবীজ।