মির্জাপুর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের উপ সহকারী জব্বারের বিরুদ্ধে চা-বিক্রেতাকে মেরে রক্তাক্ত জখম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে
- আপডেট টাইম : ০৫:৫৮:২৪ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / ১৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
গাজীপুর সদর উপজেলায় চা বিক্রেতা সেলিম মিয়া (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মির্জাপুর ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে দিকে সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ভূমি অফিসের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সেলিম মিয়া বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি লেখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী সেলিম মিয়া জানান, আমি মির্জাপুর বাজারে চা বিক্রি করে আমার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করি। আমার দোকানটি ভূমি অফিসের সাথে হওয়ায় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের চা বিক্রি সহ স্যারদের সহযোগিতা করে থাকি। আজ দুপুরে ভূমি অফিসের নায়েব জব্বার স্যার আমাকে চা-এনে দিতে বলেন চা দিতে দেরী হওয়ায় গালিগালাজ করে, বাপ মা সহ গালি দিবেন না স্যার এই কথা বলায় আমারে আমারে কিল, ঘুসি, লাত্তি মাইরা আমার নাক ফাডায়া দেয় হাত দিয়া আমার নাক ধইরা দেহি নাক দিয়া রক্ত পড়তাছে।
— স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেলিম মিয়া একজন সাধারণ চা বিক্রেতা লেখাপড়া জানে না। সকলে তাকে দিয়ে টুকিটাকি কাজকাম করায়। ভুমি উপ- সহকারী আব্দুল জব্বার বৃদ্ধ সেলিমকে চা দিতে বললে চা নিয়ে যেতে দেরী হওয়ায়, প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, জবাবে সেলিম মিয়া স্যার গালি দিয়েন না এই কথায় উপ সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার ক্ষিপ্ত হয়ে, চা-বিক্রেতা সেলিম মিয়াকে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মারলে নাক ফাটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকার জনমনে প্রশ্ন কিভাবে সম্ভব? সরকারি একজন চাকরিজীবী ভূমি অফিসের ভিতরে একজন বয়স্ক মানুষকে এভাবে মারধর করাটা অন্যায় হয়েছে। সে কোনো অপরাধ করলে তাকে বিচারের আওতায় আনা যেত। মির্জাপুর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীম জানান,তিনি মাঝেমধ্যে সেলিম মিয়াকে দিয়ে বাহিরের ফটোকপির দোকান থেকে প্রয়োজনে কাগজপত্র ফটোকপি করান। কিন্তু আজকে সরকারি কোনো কাগজপত্র তার হাতে ফটোকপি করার জন্য দেওয়া হয়নি।
মারধরের অভিযোগের বিষয়ে ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল জাব্বার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি সত্য নয় দাবী করে। তিনি বলেন সেলিম মিয়া আমাদের ভূমি অফিসের কর্মচারী না। তার কাছে সরকারি কাগজপত্র দেখার পর জিজ্ঞেস করলে সে দূরে পালিয়ে যায়। গাজীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকসানা খাইরুন নেছা জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখে তারপর ব্যবস্থা নিচ্ছি।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইবরাহিম খলিল জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দেখার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।