ইবিতে কোটি টাকা ব্যয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা
- আপডেট টাইম : ০৪:২১:৪৫ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / ৭৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাৎসরিক বাজেটের একটি বড় অংশ পরিবহন খাতে ব্যয় করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন খাতে বাৎসরিক ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা ব্যয় হলেও পরিবহন সেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৪৬ টি বাস রয়েছে। এরমাঝে নিয়মিত চলাচল করে ৪৩ টি। বাকী ৩ টি মেরামতের জন্য গ্যারেজে আছে। এর মধ্যে পরিবহন প্রশাসন দিনে ট্রিপ হিসেবে ভাড়া করে বাস চালায় ৩২ টি।
ভাড়া বাসে কুষ্টিয়া রুটে ট্রিপ প্রতি ২১৫০ টাকা ও ঝিনাইদহে রুটে প্রতি ট্রিপে মালিক পক্ষকে দিতে হয় ২৬৫০ টাকা। ভাড়া বাসের ট্রিপ প্রতি ভাড়া ও ক্যাম্পাসের নিজস্ব বাসের তেল ও মেরামত খরচ বাবদ পরিবহন দপ্তরের বাৎসরিক ব্যয় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পরিবহন দপ্তরের মোট ব্যয় হয়েছিলো ১১ কোটি ৬২ লক্ষ ৯২ হাজার ৫৮৩ টাকা। এবং চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের পরিবহন দপ্তরের মোট ব্যয় ৫ কোটি ২৭ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৩৩ টাকা।
অভিযোগ রয়েছে বিপুল অর্থ ব্যয়েও কাঙ্ক্ষিত পরিবহন সেবা পাচ্ছে না সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন রুটে শিক্ষার্থীর তুলনায় বাসের ট্রিপ কম দেয়া, ফিটনেসবিহীন ভাড়া বাস ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের সাথে বাসের ড্রাইভার ও হেল্পারদের অসদাচরণসহ নানা অভিযোগ। এদিকে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় বাড়েনি পরিবহনে গাড়ির বহর। ফলে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এদিকে তুলনামূলকভাবে ভালো বাসগুলো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য এবং ফিটনেসবিহীন ভাড়া বাসগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। ফিটনেসবিহীন বাস যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে বলে অভিযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহরের দূরত্ব যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার হওয়ায় যাতায়াতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। এসব ফিটনেসবিহীন বাসে প্রতিদিন চলাচল করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা বাসগুলোতে বসার সিট ভাঙা, গ্লাস ভাঙা ও বিভিন্ন স্থান ভাঙা থাকাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, নিজস্ব বাসে চলাচলে কোনো ঝামেলা হয় না। কিন্তু ভাড়ায়চালিত বাসগুলোর চালক ও তার সহকারীরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পথে থামিয়ে বাইরের যাত্রী ওঠান। অনেক সময় শিক্ষার্থীদের রেখে চলে আসেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, পরিবহন সেক্টরটা ডেলে সাজানোর জন্য একটা বড় বাজেটের দরকার। সরকার যদি কখনো বড় বাজেট দেয় তাহলে সব সমস্যা মিটানো যাবে। শিক্ষার্থীরা ভাড়ায় চালিত বাসের বিরুদ্ধে যে কোন অভিযোগ দিলে আমরা সাথে তাৎক্ষণিকভাবে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।