ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা কোনাবাড়ি পল্লী বিদ্যুৎ পাওয়ার সাবস্টেশনে আগুন তামাক হচ্ছে মাদকের মূল লক্ষ্য -ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম কিরাটন ইউনিয়নের পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম আমাদের মাঝে আর নেই শিবগঞ্জে সানামসজিদ স্থলবন্দরে হিট স্ট্রোকে ট্রাফিক পরিদর্শকের মৃত্যু গাজীপুরবাসীর জন্য চরম “সৌভাগ্য’ বর্তমান ডিসি এডিসি রেভিনিউ চৌকস ও মেধাবী দুই কর্মকর্তার চিন্তা,চেতনায় কর্মে, সর্বোপরিভাবে সততাকে প্রাধাণ্য দিয়েই দায়িত্ব পালন করছেন জামালপুরে ভোজ্য তেল সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের পর ছাত্রলীগ নেতার গলিত মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টির জন্য চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে ইসতিসকার নামাজ আদায় মঠবাড়ীয়া তীব্র তাপদাহের হাত থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ। প্রার্থনা

কুমিল্লা সড়কে যাত্রীবেশে ডাকাতি করার সময় ৩ ডাকাত আটক।

সাইফুল ইসলাম বিপ্লবী স্টাফ রিপোর্টার।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশে হাইয়েস মাইক্রোবাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি করার সময় ৩ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, নেত্রকোণা জেলার ফকিরাহাটের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে আলামিন (৩৮), আবদুল হাকিমের ছেলে মনির হোসেন (৩০) ও একই জেলার মহোনগঞ্জ থানার বসন্তীয়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে পলাশ (৩৯)।

এ ঘটনায় যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার দড়িকান্তি গ্রামের সামছুল হকের ছেলে নুর হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নুর হোসেন ও তাঁর বন্ধু তারেক হোসেন সোমবার রাত সাড়ে আটটায় ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিয়াবাজারে অবস্থান করে। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি সাদা রঙের হাইয়েস (ঢাকামেট্রো-চ-১৫-৩৬৩৮) তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ড্রাইভার তাদেরকে ঢাকায় যাবে কি না জিজ্ঞেস করলে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠে বসে। আগে থেকেই গাড়ির পিছনের সিটে ৫-৬ জন যাত্রী ছিল। গাড়িতে উঠার কিছু সময় পরে নুর হোসেন ও তার বন্ধু তারেক হোসেনকে গামছা দিয়ে হাত ও চোখ বেধে মারধর শুরু করে। এরপর তাদের সাথে থাকা নগদ ২১ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। ড্রাইভার হোটেল নূর জাহানের সামনে গাড়ি ইউটার্ণ করে আবার চট্টগ্রামের দিকে চালাতে হবে। এক পর্যায়ে নুর হোসেন ও তারেক হোসেনকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ৫৪ হাজার টাকা আনতে বাধ্য করে।

মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে কর্তব্যরত থানা পুলিশের একটি টিম ধাওয়া করে গাংরা রাস্তার মাথায় মাইক্রোবাসটিকে ব্যরিকেড দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আলামিন ও মনির হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢাকার জুরাইয়নের কদমতলী এলাকা থেকে পলাশকেও আটক করতে সক্ষম হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা সময়ের কন্ঠকে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্রিয় রয়েছি। এরই অংশ হিসেবে সোমবার রাতে তাৎক্ষণিক তিন ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হয়েছে’।

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

কুমিল্লা সড়কে যাত্রীবেশে ডাকাতি করার সময় ৩ ডাকাত আটক।

আপডেট টাইম : ০৩:১৫:১৯ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

সাইফুল ইসলাম বিপ্লবী স্টাফ রিপোর্টার।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশে হাইয়েস মাইক্রোবাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি করার সময় ৩ ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, নেত্রকোণা জেলার ফকিরাহাটের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে আলামিন (৩৮), আবদুল হাকিমের ছেলে মনির হোসেন (৩০) ও একই জেলার মহোনগঞ্জ থানার বসন্তীয়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে পলাশ (৩৯)।

এ ঘটনায় যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার দড়িকান্তি গ্রামের সামছুল হকের ছেলে নুর হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নুর হোসেন ও তাঁর বন্ধু তারেক হোসেন সোমবার রাত সাড়ে আটটায় ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিয়াবাজারে অবস্থান করে। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি সাদা রঙের হাইয়েস (ঢাকামেট্রো-চ-১৫-৩৬৩৮) তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ড্রাইভার তাদেরকে ঢাকায় যাবে কি না জিজ্ঞেস করলে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠে বসে। আগে থেকেই গাড়ির পিছনের সিটে ৫-৬ জন যাত্রী ছিল। গাড়িতে উঠার কিছু সময় পরে নুর হোসেন ও তার বন্ধু তারেক হোসেনকে গামছা দিয়ে হাত ও চোখ বেধে মারধর শুরু করে। এরপর তাদের সাথে থাকা নগদ ২১ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। ড্রাইভার হোটেল নূর জাহানের সামনে গাড়ি ইউটার্ণ করে আবার চট্টগ্রামের দিকে চালাতে হবে। এক পর্যায়ে নুর হোসেন ও তারেক হোসেনকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ৫৪ হাজার টাকা আনতে বাধ্য করে।

মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে কর্তব্যরত থানা পুলিশের একটি টিম ধাওয়া করে গাংরা রাস্তার মাথায় মাইক্রোবাসটিকে ব্যরিকেড দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আলামিন ও মনির হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢাকার জুরাইয়নের কদমতলী এলাকা থেকে পলাশকেও আটক করতে সক্ষম হয়।

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা সময়ের কন্ঠকে বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্রিয় রয়েছি। এরই অংশ হিসেবে সোমবার রাতে তাৎক্ষণিক তিন ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হয়েছে’।