ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

জামালপুরে নিরাপদ বিষমুক্ত কচুর লতির চাষ বাড়ছে

কাজী রফিকুল হাসান জামালপুর।।
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • / ৮৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হিসেবে জামালপুর জেলার খ্যাতি সর্বত্র। সরকার এ জেলাকে মডেল হিসেবে নিয়ে কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। জেলার ৭টি উপজেলায় বিষমুক্ত নিরাপদ কচুর লতির চাষ বাড়ছে। এক সময় কচুর লতি চাষ তেমন ছিলো না সামান্য আকারে চাষ হতো। বর্তমানে কৃষি বিভাগের সহায়তায় কচুর লতি চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপদ বিষমুক্ত হওয়ায় লতির ব্যপক চাহিদা বেড়েছে। যারজন্যে কচুর লতি অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন চরে কচুর লতি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে লক্ষীরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, শ্রীপুর, বাঁশচড়া এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে,এ সব এলাকায় ব্যপক ভাবে কচুর লতি চাষ হচ্ছে। কথা হয় কৃষক ফজর আলী(৬০) বাহাদুর(৫০)এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান,বিষমুক্ত নিরাপদ কচুর লতি চাষ করার জন্য সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ প্রকল্প গ্রহণ করে। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যয়ে জৈব সার প্রয়োগ সহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়েছে। যারজন্যে কচুর লতি চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। তারা আরো জানান, নিরাপদ হওয়ায় বাজারে লতির ব্যপক চাহিদা। প্রতি মোঠা কচুর লতি ২০ থেকে ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজারে নিতে হয় না। বাড়িতেই নগদ বিক্রি হচ্ছে।
সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলা গুলোর সর্বত্রই কচুর লতি চাষ হচ্ছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। ডাংধরা,পাররামপুর,হাতিবান্দা,বগারচর, বাট্রাজোর,ভাটারা সহ আরো বেশ কয়েকটি কৃষক সাত্তার মিয়া(৫৫) জব্বার আলী(৪৮) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, সরকারের এ প্রকল্পের কারণে কচুর লতির ব্যপক চাহিদা। ব্যবসায়ীরা কচুর লতি ট্রাক ভর্তি করে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কচুর লতি লাভজনক ফসলে পরিনত হয়েছে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জামালপুরে নিরাপদ বিষমুক্ত কচুর লতির চাষ বাড়ছে

আপডেট টাইম : ০৭:৩৩:১৭ পূর্বাহ্ণ, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হিসেবে জামালপুর জেলার খ্যাতি সর্বত্র। সরকার এ জেলাকে মডেল হিসেবে নিয়ে কৃষি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। জেলার ৭টি উপজেলায় বিষমুক্ত নিরাপদ কচুর লতির চাষ বাড়ছে। এক সময় কচুর লতি চাষ তেমন ছিলো না সামান্য আকারে চাষ হতো। বর্তমানে কৃষি বিভাগের সহায়তায় কচুর লতি চাষ ব্যপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপদ বিষমুক্ত হওয়ায় লতির ব্যপক চাহিদা বেড়েছে। যারজন্যে কচুর লতি অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন চরে কচুর লতি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে লক্ষীরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, শ্রীপুর, বাঁশচড়া এলাকা ঘুরে দেখা ও জানা গেছে,এ সব এলাকায় ব্যপক ভাবে কচুর লতি চাষ হচ্ছে। কথা হয় কৃষক ফজর আলী(৬০) বাহাদুর(৫০)এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান,বিষমুক্ত নিরাপদ কচুর লতি চাষ করার জন্য সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এ প্রকল্প গ্রহণ করে। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যয়ে জৈব সার প্রয়োগ সহ নানাবিধ পরামর্শ দিয়েছে। যারজন্যে কচুর লতি চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে। তারা আরো জানান, নিরাপদ হওয়ায় বাজারে লতির ব্যপক চাহিদা। প্রতি মোঠা কচুর লতি ২০ থেকে ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজারে নিতে হয় না। বাড়িতেই নগদ বিক্রি হচ্ছে।
সরকার কৃষকদের স্বাবলম্বি করার জন্য কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষবাড়ী উপজেলায় সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলা গুলোর সর্বত্রই কচুর লতি চাষ হচ্ছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। ডাংধরা,পাররামপুর,হাতিবান্দা,বগারচর, বাট্রাজোর,ভাটারা সহ আরো বেশ কয়েকটি কৃষক সাত্তার মিয়া(৫৫) জব্বার আলী(৪৮) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে জানান, সরকারের এ প্রকল্পের কারণে কচুর লতির ব্যপক চাহিদা। ব্যবসায়ীরা কচুর লতি ট্রাক ভর্তি করে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে কচুর লতি লাভজনক ফসলে পরিনত হয়েছে।