ঢাকা ১১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

মোহাম্মদ হাছান , ইবি।
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৭৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও আনসারের পিসি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আনসারের পিসির লিখিত অভিযোগের পাল্টা এ অভিযোগ দেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ্ আলী চৌধুরী।

জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন গত শুক্রবার রাত ৮টার পরে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরীক্ষার কার্যাদি সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশের মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত ১১টায় দুই শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ করেন দায়িত্বরত আনসাররা। তবে কতৃপক্ষের এমন মৌখিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো বিভাগের শিক্ষকদের অবহিত করা হয়নি এবং ভবনে প্রবেশের সময় কোনো আনসার শিক্ষকদের নিষেধ করেননি বলে জানা যায়। এছাড়া অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রক্টরের নাম ভাঙিয়ে বাজে আচরণ করার অভিযোগ করেন অভিযোগকারী শিক্ষক।

আনসারদের অভিযোগপত্র মতে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ্ আলী চৌধুরী জোরপূর্বক সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেছেন।

এ বিষয়ে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ্ আলী চৌধুরী রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনি পত্রিকা মারফত বা অন্য কোনো উপায়ে জ্ঞাত হয়েছেন যে, আমার বিরদ্ধে আনসারের এক পিসি প্রক্টর মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এখানে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি এবং শিক্ষক সমাজের সম্মান রক্ষার্থে উল্লেখিত পিসি মোঃ আলতাফ হোসেন ও নোটপ্রদানকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম (সেলিম)কে তাদের পদ থেকে অপসারণের প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। তাদের উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত অভিযোগনামায় আমি ভীষণভাবে অপমানিত।

তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি এখানে উল্লেখ্য, তা হলো পরীক্ষার আগের দিন রাত ০৮.০০ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসমূহে প্রবেশ করা যাবে না এ মর্মে বিভাগের সভাপতি হিসেবে আমি কোনো পত্র পাইনি। প্রক্টর অফিস এবং রেজিস্ট্রার অফিস থেকে এ ধরনের কোনো পত্র বা নির্দেশনামা পাঠানো হয়নি। নিষেধাজ্ঞাই যদি না থাকে তাহলে আমি তা ভঙ্গ করলাম কী করে? এখানে, আবারো উল্লেখ করছি আমি কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা কমিটির একজন সদস্যও বটে।

তিনি আরো বলেন, ঐদিন সন্ধ্যার পর ভবনে প্রবেশের সময় আমাকে কোনো আনসার সদস্য প্রবেশে নিষেধ করেননি। পরবর্তীতে আমি অফিসে থাকাকালীন কয়েকজন আনসার সদস্য আমাকে এসে বলেন যে, প্রক্টর নাকি আমাকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রক্টর নিচতলায় রয়েছেন। কিন্তু সাথে সাথেই আমি প্রক্টর মহোদয়ের কাছে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান যে তিনি এমন কোনো নির্দেশনা দেননি এবং তিনি কুষ্টিয়াতে অবস্থান করছেন। পরবর্তীতে আমি বাইরে গিয়ে দেখি নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালাম প্রক্টরের নাম ভাঙিয়ে সেখানে অবস্থান করেছেন।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার পূর্বের রাতে সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঐ শিক্ষক আনসারদের নিষেধ না মেনে ভবনে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে আমি গিয়ে তাকে কতৃপক্ষের নির্দেশনার ব্যাপারে অবহিত করি এবং ভবন ত্যাগ করতে বলি, তবে আমি সাথে কোনো খারাপ আচরণ করিনি।

ভবনে প্রবেশের সময় কোনো আনসারের নিষেধের মুখোমুখি হননি অভিযোগকারী শিক্ষকের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘আনসার উনাকে চিনেননি তাই হয়তোহ নিষেধ করেননি, পরবর্তীতে আনসারের তথ্যের ভিত্তিতে আমি গিয়ে উনাকে অবহিত করেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও দুইজন শিক্ষক কর্তৃক জোরপূর্বক প্রবেশের ব্যাপারে আনসার কমান্ড থেকে অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে অভিযোগটি আমি নোট আকারে কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করেছি। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।’

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও আনসারের পিসি আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর আনসারের পিসির লিখিত অভিযোগের পাল্টা এ অভিযোগ দেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ্ আলী চৌধুরী।

জানা যায়, গুচ্ছভুক্ত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন গত শুক্রবার রাত ৮টার পরে ইউনিট সমন্বয়কারী ও পরীক্ষার কার্যাদি সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশের মৌখিক নিষেধাজ্ঞা দেয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত ১১টায় দুই শিক্ষক সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করে বলে অভিযোগ করেন দায়িত্বরত আনসাররা। তবে কতৃপক্ষের এমন মৌখিক নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো বিভাগের শিক্ষকদের অবহিত করা হয়নি এবং ভবনে প্রবেশের সময় কোনো আনসার শিক্ষকদের নিষেধ করেননি বলে জানা যায়। এছাড়া অভিযুক্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রক্টরের নাম ভাঙিয়ে বাজে আচরণ করার অভিযোগ করেন অভিযোগকারী শিক্ষক।

আনসারদের অভিযোগপত্র মতে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ্ আলী চৌধুরী জোরপূর্বক সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশ করেছেন।

এ বিষয়ে ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু শিবলী মোঃ ফতেহ্ আলী চৌধুরী রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আপনি পত্রিকা মারফত বা অন্য কোনো উপায়ে জ্ঞাত হয়েছেন যে, আমার বিরদ্ধে আনসারের এক পিসি প্রক্টর মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এখানে আমি আমার অবস্থান পরিষ্কার করছি এবং শিক্ষক সমাজের সম্মান রক্ষার্থে উল্লেখিত পিসি মোঃ আলতাফ হোসেন ও নোটপ্রদানকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম (সেলিম)কে তাদের পদ থেকে অপসারণের প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি। তাদের উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত অভিযোগনামায় আমি ভীষণভাবে অপমানিত।

তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি এখানে উল্লেখ্য, তা হলো পরীক্ষার আগের দিন রাত ০৮.০০ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসমূহে প্রবেশ করা যাবে না এ মর্মে বিভাগের সভাপতি হিসেবে আমি কোনো পত্র পাইনি। প্রক্টর অফিস এবং রেজিস্ট্রার অফিস থেকে এ ধরনের কোনো পত্র বা নির্দেশনামা পাঠানো হয়নি। নিষেধাজ্ঞাই যদি না থাকে তাহলে আমি তা ভঙ্গ করলাম কী করে? এখানে, আবারো উল্লেখ করছি আমি কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা কমিটির একজন সদস্যও বটে।

তিনি আরো বলেন, ঐদিন সন্ধ্যার পর ভবনে প্রবেশের সময় আমাকে কোনো আনসার সদস্য প্রবেশে নিষেধ করেননি। পরবর্তীতে আমি অফিসে থাকাকালীন কয়েকজন আনসার সদস্য আমাকে এসে বলেন যে, প্রক্টর নাকি আমাকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং প্রক্টর নিচতলায় রয়েছেন। কিন্তু সাথে সাথেই আমি প্রক্টর মহোদয়ের কাছে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান যে তিনি এমন কোনো নির্দেশনা দেননি এবং তিনি কুষ্টিয়াতে অবস্থান করছেন। পরবর্তীতে আমি বাইরে গিয়ে দেখি নিরাপত্তা কর্মকর্তা সালাম প্রক্টরের নাম ভাঙিয়ে সেখানে অবস্থান করেছেন।

এ বিষয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মনগড়া ও কাল্পনিক অভিযোগ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার পূর্বের রাতে সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঐ শিক্ষক আনসারদের নিষেধ না মেনে ভবনে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে আমি গিয়ে তাকে কতৃপক্ষের নির্দেশনার ব্যাপারে অবহিত করি এবং ভবন ত্যাগ করতে বলি, তবে আমি সাথে কোনো খারাপ আচরণ করিনি।

ভবনে প্রবেশের সময় কোনো আনসারের নিষেধের মুখোমুখি হননি অভিযোগকারী শিক্ষকের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ‘আনসার উনাকে চিনেননি তাই হয়তোহ নিষেধ করেননি, পরবর্তীতে আনসারের তথ্যের ভিত্তিতে আমি গিয়ে উনাকে অবহিত করেছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন সংশ্লিষ্ট ভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও দুইজন শিক্ষক কর্তৃক জোরপূর্বক প্রবেশের ব্যাপারে আনসার কমান্ড থেকে অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তীতে অভিযোগটি আমি নোট আকারে কর্তৃপক্ষকে প্রেরণ করেছি। এব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।’