আজমিরীগঞ্জে সিজার করতে গিয়ে প্রসূতির জরায়ু কেটে দেয়ার ঘটনায় নিউ মেডিল্যাব হাসপাতাল সীলগালা করে দিয়েছে স্বাস্হ্য প্রশাসন
- আপডেট টাইম : ০৬:৩২:৪১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
- / ১১৬ ৫০০০.০ বার পাঠক
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নূরুল হকের নির্দেশনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: ইকবাল হোসেনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাধীন চরবাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে স্থাপিত নিউ মেডিল্যাব হাসপাতাল গতকাল মঙ্গলবার বিকাল অনুমানিক সাড়ে ৫ টায় সীলগালা করে দেয়া হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সোহরাব হোসেন, সাথে ছিলেন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আমজাদ হোসেন সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
উল্লেখ্য,
আজমিরীগঞ্জের বদলপুরের পিরোজপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ লাল মিয়া তার স্ত্রী মোছাঃ নাদিরা আক্তার (২০) কে গতকাল সোমবার দুপুর অনুমানিক ২ টায় সিজার করাতে নিয়ে আসে পৌর এলাকার চরবাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে অবস্থিত নিউ মেডিল্যাব হাসপাতালে।
ওই হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ওই প্রসূতিকে সিজার করানোর দ্বায়িত্ব নেয় গাইনী চিকিৎসক ডা, সবুর খাঁন। প্রাথমিক অবস্হায় সম্পূর্ণ কাজ স্বাভাবিকভাবে চলে। ওই প্রসূতি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। এদিকে বিকাল প্রায় ৩ টায় রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে, প্রসূতিকে রক্ত দিতে হবে বলে স্বজনদের জানায় ওই চিকিৎসক। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রসূতির জরায়ু কেটে গেছে বলে স্বজনদের নিকট স্বীকার করে। এরই এক পর্যায়ে হাসপাতাল থেকে গাঁ’ঢাকা দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক সবুর খাঁন। দিনভর উত্তেজনার পর রাত অনুমানিক ১১ টায় অর্ধ-শতাধিক উত্তেজিত জনতা নিউ মেডিল্যাব হাসপাতাল ঘিরে ফেলে। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত কোন চিকিৎসক বা কর্মচারি কাউকে দেখা যায়নি। এক পর্যায়ে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়লে খবর পেয়ে, থানার এসআই ফারুক আহমেদ ও এএসআই মিটুন দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত প্রসূতিকে রক্ত দেয়ার কাজ চলছে।
ছবি-