ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের হস্তক্ষেপে মামলা প্রত্যাহার হওয়া টাঙ্গাইলবাসী খুশি! সভাপতি/সম্পাদকের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ অনিয়মের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান সিইসির পুলিশ, র‌্যাব, আনসারের নতুন পোশাক চুড়ান্ত নাইজেরিয়ায় ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৮৬ অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করা প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বরগুনার, পাথরঘাটায় সাবেক ইউপি সদস্যকে হুমকি ও মারধর চার প্রদেশে দেশ ভাগ করার কথা ভাবছে সংস্কার কমিশন যুদ্ধবিরতি এখনই কার্যকর হচ্ছে না, জানালেন নেতানিয়াহু সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

বিরামপুরে শ্বশুর কতৃক পুত্রবধূকে যৌনহেনস্তার অভিযোগ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
  • / ৩৬৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
দিনাজপুর  জেলা প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার  ৬ নং ওয়ার্ডের হাবিবপুর গ্রামের বেলাল হোসেন (৬৫) তার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) কে গত ২০২০ সালের  ১৬আগস্ট তারিখে বিরামপুর উপজেলার ৬নং জোতবানি ইউনিয়নের দেউল গ্রামের  মাহাবুর রহমান (৫০)মেয়ে মোস্তারিনা আক্তার সিখা (১৫) এর সহিত বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় মোস্তারিনার স্বামী সংসারে আশ্রয় হয়নি। দেনমোহরের প্রাপ্য বুঝে পেতে মোস্তারিনা আদালতে স্বরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানান। সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  ওই বিয়ের কনে ও বরের পক্ষে  সাক্ষী ছিলেন(১) মোঃ আঃ রসিদ ও বরের আপন বড় বোনজামাই দেউল গ্রামের মোঃসিরাজুল ইসলাম। এবং উক্ত আলোচিত বিয়েটি মৌলভী হিসেবে পড়িয়েছিলেন উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের নবিরউদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল গফুর। বিয়েটি কাজি মফেজউদ্দিনের নিজ বাড়িতে নিজহাতেই নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পদান করেন বলে উক্ত নিকাহনামায় সাক্ষ্য প্রদানকারী আঃ রসিদ,সিরাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও মাহাফুজ সরকার সহ আরো অনেকে নিশ্চিত করেছেন। বিয়ের সময় মোস্তারিনার বয়স ছিল ১৩ বৎসর। অপ্রাপ্ত বয়সে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ মফেজউদ্দিন কিভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন তা কাহারো বোধগম্য নয়। উক্ত বিয়েতে দেনমোহর করা হয় ছয় লক্ষ টাকা।
অপরদিকে বিয়ের পর মোস্তারিনা কে ওই দিনে তার শ্বশুর বাড়ি হাবিবপুর নিয়ে আসে। এবং কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুর বেলাল হোসেন পুত্র বধু মোস্তারিনার দিকে লোলুপ্ত দৃষ্টিতে দেখা শুরু করেন বলে নাবালিকা পুত্রবধু মোস্তারিনা জানান।
এর কিছু দিন পর পুত্রবধু  যখন বাড়িতে একা থাকেন তখন সুজোগবুঝে শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূকে মাথাচাপিয়ে নেয়ার অজুহাতে কাছে ডাকতেন, সে না আসলে ধমক দিয়ে কাছে আনতেন। এবং পুত্রবধূর হাঁটুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে মাথা চাপিয়ে দিতে বলতেন। এর একপর্যায়ে  শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূ মোস্তারিনার বুকে হাত দিতেন। পুত্রবধু  শশুরের এমন কুকর্মের কথা স্বামী মিজানুর কে বললে স্বামী মিজানুর উল্টো স্ত্রী মোস্তারিনাকে ধমক দেন ও বলেন এ কথা যদি কেউ যানে তাহলে তোকে তালাক দিবো। ঘটনার বিসয়ে মোস্তারিনার শশুর বেলাল হোসেনের নিকট যানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও যানান, আমার পুত্র বধু মোস্তারিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, তবে কাজী মফেজউদ্দিন সহ ঐ বিয়ে রেজিষ্ট্রি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মিথ্যা নাটককারীদের বিরুদ্ধে আসল সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আইনি সহায়তা চেয়ে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। সেটি এখন জেলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ( PBI) এ তদন্তনাধীন রয়েছে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিরামপুরে শ্বশুর কতৃক পুত্রবধূকে যৌনহেনস্তার অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১১:৫৮:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
দিনাজপুর  জেলা প্রতিনিধি।।
দিনাজপুরের বিরামপুর পৌরসভার  ৬ নং ওয়ার্ডের হাবিবপুর গ্রামের বেলাল হোসেন (৬৫) তার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) কে গত ২০২০ সালের  ১৬আগস্ট তারিখে বিরামপুর উপজেলার ৬নং জোতবানি ইউনিয়নের দেউল গ্রামের  মাহাবুর রহমান (৫০)মেয়ে মোস্তারিনা আক্তার সিখা (১৫) এর সহিত বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় শশুরের কুপ্রস্তাবে রাজি নাহওয়ায় মোস্তারিনার স্বামী সংসারে আশ্রয় হয়নি। দেনমোহরের প্রাপ্য বুঝে পেতে মোস্তারিনা আদালতে স্বরনাপন্ন হয়েছেন বলে জানান। সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,  ওই বিয়ের কনে ও বরের পক্ষে  সাক্ষী ছিলেন(১) মোঃ আঃ রসিদ ও বরের আপন বড় বোনজামাই দেউল গ্রামের মোঃসিরাজুল ইসলাম। এবং উক্ত আলোচিত বিয়েটি মৌলভী হিসেবে পড়িয়েছিলেন উপজেলার দক্ষিণ দামোদরপুর গ্রামের নবিরউদ্দিনের ছেলে মোঃ আব্দুল গফুর। বিয়েটি কাজি মফেজউদ্দিনের নিজ বাড়িতে নিজহাতেই নিকাহ রেজিষ্ট্রেশন সম্পদান করেন বলে উক্ত নিকাহনামায় সাক্ষ্য প্রদানকারী আঃ রসিদ,সিরাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও মাহাফুজ সরকার সহ আরো অনেকে নিশ্চিত করেছেন। বিয়ের সময় মোস্তারিনার বয়স ছিল ১৩ বৎসর। অপ্রাপ্ত বয়সে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মোঃ মফেজউদ্দিন কিভাবে বিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করেন তা কাহারো বোধগম্য নয়। উক্ত বিয়েতে দেনমোহর করা হয় ছয় লক্ষ টাকা।
অপরদিকে বিয়ের পর মোস্তারিনা কে ওই দিনে তার শ্বশুর বাড়ি হাবিবপুর নিয়ে আসে। এবং কয়েকদিন পর থেকেই শ্বশুর বেলাল হোসেন পুত্র বধু মোস্তারিনার দিকে লোলুপ্ত দৃষ্টিতে দেখা শুরু করেন বলে নাবালিকা পুত্রবধু মোস্তারিনা জানান।
এর কিছু দিন পর পুত্রবধু  যখন বাড়িতে একা থাকেন তখন সুজোগবুঝে শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূকে মাথাচাপিয়ে নেয়ার অজুহাতে কাছে ডাকতেন, সে না আসলে ধমক দিয়ে কাছে আনতেন। এবং পুত্রবধূর হাঁটুর উপর মাথা দিয়ে শুয়ে মাথা চাপিয়ে দিতে বলতেন। এর একপর্যায়ে  শ্বশুর বেলাল পুত্রবধূ মোস্তারিনার বুকে হাত দিতেন। পুত্রবধু  শশুরের এমন কুকর্মের কথা স্বামী মিজানুর কে বললে স্বামী মিজানুর উল্টো স্ত্রী মোস্তারিনাকে ধমক দেন ও বলেন এ কথা যদি কেউ যানে তাহলে তোকে তালাক দিবো। ঘটনার বিসয়ে মোস্তারিনার শশুর বেলাল হোসেনের নিকট যানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি আরও যানান, আমার পুত্র বধু মোস্তারিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই, তবে কাজী মফেজউদ্দিন সহ ঐ বিয়ে রেজিষ্ট্রি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত মিথ্যা নাটককারীদের বিরুদ্ধে আসল সত্য উদ্ঘাটনের জন্য আইনি সহায়তা চেয়ে দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। সেটি এখন জেলা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ( PBI) এ তদন্তনাধীন রয়েছে।