ঢাকা ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
রংপুর থেকে আমাকে উপদেষ্টা ভাবুন: প্রধান উপদেষ্টা সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মার্কিন মানবাধিকারকর্মীর অনশন ধর্মঘট চিন্ময় দাস ইস্যুতে ভারতের সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর শিক্ষনীয় জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে আকর্ষনীয় ক্লাসপার্টি জাহান আইডিয়াল স্কুলে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম,২৯ নভেম্বর ২০২৪ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্মেলন হতে যাচ্ছে চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গ ভারতের উদ্বেগ নিয়ে পিনাকীর পোস্ট আবারও হাসনাতের গাড়ি চাপা দেওয়ার চেষ্টা জামিন পেলেন বরখাস্ত হওয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি ইসকন ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট

মোংলায় নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের আকিকা অনুষ্ঠানে হাজারও লোকের ভিড়

ওমর ফারুক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:২৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৯৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানার দুই ছেলে – মেয়ে ইবনে মোরসালিন ও মুশফিরাত রহমান মিমের আকিকা উপলক্ষে শুক্রবার ১২ ই এপ্রিল টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় হাজার লোকের খানার আয়োজন করা হয়। উক্ত আকিকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মো: আবু হানিফ, ১ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মো: কবির হোসেনসহ স্হানীয় আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগনেতা কর্মী, গরীব, অসহায়, দুঃখী মানুষসহ প্রায় ১ হাজার লোকের ভিড়।
এ সময় মতিউর রহমান রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর দীর্ঘ ২১ বছর পরে পুরো পরিবার এক হয়ে এ অনুষ্ঠান পালন করতে পেরে আমরা খুশি। আমার বাবা মো: মোতালেব জমাদ্দারের দুটো হাত ছিলোনা। ২০০০ সালে, সে টি, এ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছয় কাটা জমি ক্রয় করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসতেছিলেন এবং তাদের একটি বিসমিল্লাহ ফ্ললোয়ার নামে একটি মিল পরিচালনা করে আসছিলো হঠাৎ করে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আজও তাকে জীবিত অথবা মৃত তার সন্ধান মিলেনি। ওয়ারিশগণের কাকুতি এবং মিনতি যে তাদের বাবাকে মৃত অথবা জীবিত অথবা যদি সে মারা গিয়ে থাকে সে অবস্থায় যদি তার কঙ্কালটাও পাওয়া যায় সেটা নিয়ে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দিয়ে তাদের মনের আত্ম তৃপ্তি বা তাদের মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারে, সকল মিডিয়া ও আনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাদের ফ্যামিলি। মোতালেব জমাদ্দারের কঙ্কালটাও যদি পাওয়া যায় তাহলে তাদের পরিবারের একটু সান্তনা মিলবে। ১৬ জন ওয়ারিশ এবং মোতালেব জমাদ্দারের তিন স্ত্রী এবং ১৩ ছেলেমেয়ের একটাই কষ্ট আজও তাদের বাবার কোন খোঁজ মেলেনি। পরে তাদের আত্মীয় স্বজনসহ তার নিজ বাড়িতে নিখোঁজ মো: মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের জন্য আকিকা অনুষ্ঠান সম্পূর্ণের মধ্যদিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের আকিকা অনুষ্ঠানে হাজারও লোকের ভিড়

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:২৭ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানার দুই ছেলে – মেয়ে ইবনে মোরসালিন ও মুশফিরাত রহমান মিমের আকিকা উপলক্ষে শুক্রবার ১২ ই এপ্রিল টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় হাজার লোকের খানার আয়োজন করা হয়। উক্ত আকিকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মো: আবু হানিফ, ১ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মো: কবির হোসেনসহ স্হানীয় আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগনেতা কর্মী, গরীব, অসহায়, দুঃখী মানুষসহ প্রায় ১ হাজার লোকের ভিড়।
এ সময় মতিউর রহমান রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর দীর্ঘ ২১ বছর পরে পুরো পরিবার এক হয়ে এ অনুষ্ঠান পালন করতে পেরে আমরা খুশি। আমার বাবা মো: মোতালেব জমাদ্দারের দুটো হাত ছিলোনা। ২০০০ সালে, সে টি, এ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছয় কাটা জমি ক্রয় করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসতেছিলেন এবং তাদের একটি বিসমিল্লাহ ফ্ললোয়ার নামে একটি মিল পরিচালনা করে আসছিলো হঠাৎ করে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আজও তাকে জীবিত অথবা মৃত তার সন্ধান মিলেনি। ওয়ারিশগণের কাকুতি এবং মিনতি যে তাদের বাবাকে মৃত অথবা জীবিত অথবা যদি সে মারা গিয়ে থাকে সে অবস্থায় যদি তার কঙ্কালটাও পাওয়া যায় সেটা নিয়ে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দিয়ে তাদের মনের আত্ম তৃপ্তি বা তাদের মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারে, সকল মিডিয়া ও আনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাদের ফ্যামিলি। মোতালেব জমাদ্দারের কঙ্কালটাও যদি পাওয়া যায় তাহলে তাদের পরিবারের একটু সান্তনা মিলবে। ১৬ জন ওয়ারিশ এবং মোতালেব জমাদ্দারের তিন স্ত্রী এবং ১৩ ছেলেমেয়ের একটাই কষ্ট আজও তাদের বাবার কোন খোঁজ মেলেনি। পরে তাদের আত্মীয় স্বজনসহ তার নিজ বাড়িতে নিখোঁজ মো: মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের জন্য আকিকা অনুষ্ঠান সম্পূর্ণের মধ্যদিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।