ঢাকা ০৩:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
বাঘায় সৎ ভাইয়ের হাতে হত্যা হলো সাদেক আলী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ জায়গায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: আসিফ মাহমুদ ঠাকুরগাঁওয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস দখল আজমিরীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রকরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ ৪০ জন আহত, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লোটপাট। সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এই প্রথমবারের মতো আজ নিজ জেলা চট্টগ্রামে আসলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কোনাবাড়ী ফ্লাইওভার ব্রিজের মাথায় বাসের ধাক্কায় নারী শ্রমিক নিহত কর্নেল সোফিয়াকে ‘জঙ্গিদের বোন’ বলে বিতর্কের মুখে বিজেপি মন্ত্রী কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নেই প্রধান উপদেষ্টার নাম আওয়ামী লীগসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সব অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বন্ধে বিটিআরসিকে চিঠি ঢাবির ছাত্রদল নেতা হত্যার ঘটনায় উপাচার্য–প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

মোংলায় নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের আকিকা অনুষ্ঠানে হাজারও লোকের ভিড়

ওমর ফারুক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৭২ ১৫০০০.০ বার পাঠক

নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানার দুই ছেলে – মেয়ে ইবনে মোরসালিন ও মুশফিরাত রহমান মিমের আকিকা উপলক্ষে শুক্রবার ১২ ই এপ্রিল টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় হাজার লোকের খানার আয়োজন করা হয়। উক্ত আকিকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মো: আবু হানিফ, ১ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মো: কবির হোসেনসহ স্হানীয় আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগনেতা কর্মী, গরীব, অসহায়, দুঃখী মানুষসহ প্রায় ১ হাজার লোকের ভিড়।
এ সময় মতিউর রহমান রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর দীর্ঘ ২১ বছর পরে পুরো পরিবার এক হয়ে এ অনুষ্ঠান পালন করতে পেরে আমরা খুশি। আমার বাবা মো: মোতালেব জমাদ্দারের দুটো হাত ছিলোনা। ২০০০ সালে, সে টি, এ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছয় কাটা জমি ক্রয় করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসতেছিলেন এবং তাদের একটি বিসমিল্লাহ ফ্ললোয়ার নামে একটি মিল পরিচালনা করে আসছিলো হঠাৎ করে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আজও তাকে জীবিত অথবা মৃত তার সন্ধান মিলেনি। ওয়ারিশগণের কাকুতি এবং মিনতি যে তাদের বাবাকে মৃত অথবা জীবিত অথবা যদি সে মারা গিয়ে থাকে সে অবস্থায় যদি তার কঙ্কালটাও পাওয়া যায় সেটা নিয়ে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দিয়ে তাদের মনের আত্ম তৃপ্তি বা তাদের মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারে, সকল মিডিয়া ও আনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাদের ফ্যামিলি। মোতালেব জমাদ্দারের কঙ্কালটাও যদি পাওয়া যায় তাহলে তাদের পরিবারের একটু সান্তনা মিলবে। ১৬ জন ওয়ারিশ এবং মোতালেব জমাদ্দারের তিন স্ত্রী এবং ১৩ ছেলেমেয়ের একটাই কষ্ট আজও তাদের বাবার কোন খোঁজ মেলেনি। পরে তাদের আত্মীয় স্বজনসহ তার নিজ বাড়িতে নিখোঁজ মো: মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের জন্য আকিকা অনুষ্ঠান সম্পূর্ণের মধ্যদিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মোংলায় নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের আকিকা অনুষ্ঠানে হাজারও লোকের ভিড়

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

নিরুদ্দেশ মোতালেব জমাদ্দারের ছেলে মতিউর রহমান রানার দুই ছেলে – মেয়ে ইবনে মোরসালিন ও মুশফিরাত রহমান মিমের আকিকা উপলক্ষে শুক্রবার ১২ ই এপ্রিল টি এ ফারুক স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রায় হাজার লোকের খানার আয়োজন করা হয়। উক্ত আকিকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মোংলা উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মীর মো: আবু হানিফ, ১ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মো: কবির হোসেনসহ স্হানীয় আওয়ামিলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগনেতা কর্মী, গরীব, অসহায়, দুঃখী মানুষসহ প্রায় ১ হাজার লোকের ভিড়।
এ সময় মতিউর রহমান রানার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর দীর্ঘ ২১ বছর পরে পুরো পরিবার এক হয়ে এ অনুষ্ঠান পালন করতে পেরে আমরা খুশি। আমার বাবা মো: মোতালেব জমাদ্দারের দুটো হাত ছিলোনা। ২০০০ সালে, সে টি, এ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ছয় কাটা জমি ক্রয় করে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসতেছিলেন এবং তাদের একটি বিসমিল্লাহ ফ্ললোয়ার নামে একটি মিল পরিচালনা করে আসছিলো হঠাৎ করে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ২০২৪ সাল পর্যন্ত আজও তাকে জীবিত অথবা মৃত তার সন্ধান মিলেনি। ওয়ারিশগণের কাকুতি এবং মিনতি যে তাদের বাবাকে মৃত অথবা জীবিত অথবা যদি সে মারা গিয়ে থাকে সে অবস্থায় যদি তার কঙ্কালটাও পাওয়া যায় সেটা নিয়ে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন দিয়ে তাদের মনের আত্ম তৃপ্তি বা তাদের মনটাকে সান্ত্বনা দিতে পারে, সকল মিডিয়া ও আনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাদের ফ্যামিলি। মোতালেব জমাদ্দারের কঙ্কালটাও যদি পাওয়া যায় তাহলে তাদের পরিবারের একটু সান্তনা মিলবে। ১৬ জন ওয়ারিশ এবং মোতালেব জমাদ্দারের তিন স্ত্রী এবং ১৩ ছেলেমেয়ের একটাই কষ্ট আজও তাদের বাবার কোন খোঁজ মেলেনি। পরে তাদের আত্মীয় স্বজনসহ তার নিজ বাড়িতে নিখোঁজ মো: মোতালেব জমাদ্দারের নাতিদের জন্য আকিকা অনুষ্ঠান সম্পূর্ণের মধ্যদিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।