ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় রুহিয়ায় পুলিশের অভিযানে আটক ২  কোস্টগার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় স্যুটার গান সহ ৩ জন আটক কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি, নগদ টাকা সহ ৬জন আসামী গ্রেপ্তার শান্তি নিবিড় সেবা ফাউন্ডেশন ও শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হলো পাথরঘাটায় শূন্য থেকে কোটিপতি ফ্রিল্যান্সার বেলাল হোসেন, করছেন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ফুলবাড়ী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সড়কে ঝরলো যুবকের প্রান

পরিবহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হতাশ যাত্রীরা এ যেন এক মগের মুল্লুক

ঈদ উপলক্ষ্যে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ পরিবহন ভাড়া নিয়ে চরম দুর্ভোগে।

গাজীপুরের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু একাধিক পরিবহন স্টাফেরা বাস ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ চাচ্ছে বলে জানান একাধিক যাত্রীরা। এতে ক্ষুব্ধ ঘরমুখী যাত্রীরা। ভাড়া বেশি হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে মহাসড়কের পাশে।
চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আগত অনেক যাত্রীরা গণপরিবহনের চালক, হেলপারদের সাথে ভাড়া নিয়ে করছে দরদাম। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদকে কেন্দ্র করে গণপরিবহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ চাওয়ায় হতাশ যাত্রীরা।
এদিকে একাধিক পরিবহন চালকেরা বলেন, ঈদে সড়কে বিভিন্ন স্থানে খরচ বেড়েছে। এজন্য ভাড়া বেশি নেয়া হয়।

সুরুজ মিয়া নামে এক যাত্রী সময়ের কণ্ঠ পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দিনাজপুর ভাড়া দেই ৮০০ কি ৯০০ টাকা। কিন্তু আজ ভাড়া চাচ্ছে এক হাজার সাতশত টাকা। ফলে কয়েকটি বাসের সাথে ভাড়া নিয়ে দরদাম করে এক হাজার চারশত টাকা ঠিক করলেও পরোক্ষণেই বাসের ঐ স্টাফ বলতেছে, বাসে একটা সিট ছিল, সেটা বুকিং হয়ে গেছে। আপনি যেতে চাইলে এক হাজার চারশত টাকায় ভাড়া দিতে হবে । কিন্তু দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
আবার নাজমুল নামে বগুড়ার এক যাত্রী দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকা কে বলেন, আমরা চারজন সিরাজগঞ্জ যামু দেইহা ভাড়া বাহায় থাইহা চান্দরা আইছি। অহন দেহি বাস ভাড়া মেলা বেশি। যে কয় টেহা বোনাস পাইছি তার চাইয়া বেশি গাড়ি ভাড়া দিতে অইবো।
সরেজমিনে দেখা গেছে রংপুরে যাওয়ার জন্য তিনজন যাত্রী মালবাহী ট্রাকে উঠেছেন। তাৎক্ষণিক তাদের ট্রাকে যাচ্ছেন কেন জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, বাসে কেমনে যাবো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।

এদিকে চন্দ্রা এলাকার উত্তরবঙ্গগামী এক কাউন্টার মালিক দাবি করেন, আমরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটি টাকাও বাস ভাড়া বেশি নিচ্ছি না। বরং বিভিন্ন জায়গা হতে আসা লোকাল বাসের চালকেরা ভাড়া বেশি চাচ্ছে। যাদের কোন কাউন্টার নেই।
এদিকে রংপুরগামী সুরুজ মিয়া নামে এক বাস চালক বলেন , প্রতিদিন এই সড়কে রংপুর থেকে গাবতলী বাসের যাত্রী আনা নেওয়া করি, কিন্তু ঢাকা হতে টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় মহাসড়কে চন্দ্রার সূবর্ণ জামে মসজিদ সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজ হতে নূর গ্রুপ সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজ পর্যন্ত নব নির্মিত ডিভাইডার (আইল্যান্ড) হওয়ার কারণে যানজট হচ্ছে বা হতে পারে বলে ধারণা করছি।
অন্যদিকে ঢাকা গোপালপুর দ্রুতগামীর বাসের চালক আলমাস বলেন, ঈদের সময় যাত্রীর অনেক চাপ থাকায় এবং স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গণপরিবহনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চন্দ্রায় হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, যানজট বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে না।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, হঠাৎ করে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ পরেছে বলে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রাসহ আশপাশের মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখতে অনড়।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার দিনে নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এবং রাতেও যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

পরিবহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ হতাশ যাত্রীরা এ যেন এক মগের মুল্লুক

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:১৪ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪

ঈদ উপলক্ষ্যে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ পরিবহন ভাড়া নিয়ে চরম দুর্ভোগে।

গাজীপুরের চন্দ্রা বাস টার্মিনাল এলাকায় মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু একাধিক পরিবহন স্টাফেরা বাস ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ চাচ্ছে বলে জানান একাধিক যাত্রীরা। এতে ক্ষুব্ধ ঘরমুখী যাত্রীরা। ভাড়া বেশি হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে মহাসড়কের পাশে।
চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আগত অনেক যাত্রীরা গণপরিবহনের চালক, হেলপারদের সাথে ভাড়া নিয়ে করছে দরদাম। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ঈদকে কেন্দ্র করে গণপরিবহনের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ চাওয়ায় হতাশ যাত্রীরা।
এদিকে একাধিক পরিবহন চালকেরা বলেন, ঈদে সড়কে বিভিন্ন স্থানে খরচ বেড়েছে। এজন্য ভাড়া বেশি নেয়া হয়।

সুরুজ মিয়া নামে এক যাত্রী সময়ের কণ্ঠ পত্রিকাকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে দিনাজপুর ভাড়া দেই ৮০০ কি ৯০০ টাকা। কিন্তু আজ ভাড়া চাচ্ছে এক হাজার সাতশত টাকা। ফলে কয়েকটি বাসের সাথে ভাড়া নিয়ে দরদাম করে এক হাজার চারশত টাকা ঠিক করলেও পরোক্ষণেই বাসের ঐ স্টাফ বলতেছে, বাসে একটা সিট ছিল, সেটা বুকিং হয়ে গেছে। আপনি যেতে চাইলে এক হাজার চারশত টাকায় ভাড়া দিতে হবে । কিন্তু দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
আবার নাজমুল নামে বগুড়ার এক যাত্রী দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকা কে বলেন, আমরা চারজন সিরাজগঞ্জ যামু দেইহা ভাড়া বাহায় থাইহা চান্দরা আইছি। অহন দেহি বাস ভাড়া মেলা বেশি। যে কয় টেহা বোনাস পাইছি তার চাইয়া বেশি গাড়ি ভাড়া দিতে অইবো।
সরেজমিনে দেখা গেছে রংপুরে যাওয়ার জন্য তিনজন যাত্রী মালবাহী ট্রাকে উঠেছেন। তাৎক্ষণিক তাদের ট্রাকে যাচ্ছেন কেন জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, বাসে কেমনে যাবো স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।

এদিকে চন্দ্রা এলাকার উত্তরবঙ্গগামী এক কাউন্টার মালিক দাবি করেন, আমরা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটি টাকাও বাস ভাড়া বেশি নিচ্ছি না। বরং বিভিন্ন জায়গা হতে আসা লোকাল বাসের চালকেরা ভাড়া বেশি চাচ্ছে। যাদের কোন কাউন্টার নেই।
এদিকে রংপুরগামী সুরুজ মিয়া নামে এক বাস চালক বলেন , প্রতিদিন এই সড়কে রংপুর থেকে গাবতলী বাসের যাত্রী আনা নেওয়া করি, কিন্তু ঢাকা হতে টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় মহাসড়কে চন্দ্রার সূবর্ণ জামে মসজিদ সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজ হতে নূর গ্রুপ সংলগ্ন ফুট ওভারব্রিজ পর্যন্ত নব নির্মিত ডিভাইডার (আইল্যান্ড) হওয়ার কারণে যানজট হচ্ছে বা হতে পারে বলে ধারণা করছি।
অন্যদিকে ঢাকা গোপালপুর দ্রুতগামীর বাসের চালক আলমাস বলেন, ঈদের সময় যাত্রীর অনেক চাপ থাকায় এবং স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গণপরিবহনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে চন্দ্রায় হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা দেখে মনে হচ্ছে, যানজট বেশি সময় ধরে স্থায়ী হবে না।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন দৈনিক সময়ের কন্ঠকে বলেন, হঠাৎ করে উত্তরাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ পরেছে বলে সাময়িক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা হাইওয়ে পুলিশ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রাসহ আশপাশের মহাসড়কে যানজটমুক্ত রাখতে অনড়।
এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার দিনে নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এবং রাতেও যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।