শিল্পাঞ্চল থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে ঘর মুখো মানুষ।
- আপডেট টাইম : ১২:০১:৪৩ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪
- / ১১০ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্বপ্ন পূরণে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় এসে বসবাস করছে লাখ লাখ মানুষ। এদের অনেকেই কাজ করেন বিভিন্ন শিল্প কারখানায়, কেউ দিনমজুর, কেউবা গৃহিণী। মূলত দিনমজুর মানুষরা ছুটছে গ্রামে। তবে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়া মাত্র একযোগে নাড়ির টানে গ্রামের দিকে রওনা হচ্ছে চাকরিজীবীরা।
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকার শ্রীপুর, নবী টেক্সটাইল, জিরানি বাজার বাসস্ট্যান্ড ও কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উদযাপন করতে গাড়ির পানে চেয়ে আছেন অসংখ্য যাত্রী। তারা যানজট এবং অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে কাউন্টারে। তবে যানজটের সম্মুখীন এবং অতিরিক্ত ভাড়া ও বিরক্ত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। চেয়ারকোচের ভাড়া ঠিক থাকলেও প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছেন লোকাল গাড়ির স্টাফরা।
আশুলিয়ার জিরানী বাস স্ট্যান্ডে পোশাকশ্রমিক আনোয়ার হোসেন তার ভাইকে গাড়িতে তুলে দিতে এসেছেন। চেয়ারকোচ গাড়ির টিকিট না পেয়ে লোকাল গাড়িতে ভাইকে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আলিফ এবং রিসাদ পরিবহন পরিবহন জিরানী থেকে বগুড়ার ভাড়া ৪০০/৪৫০ টাকা। কিন্তু বাসের ভাড়াই নিচ্ছে ৯০০/১০০০ হাজার টাকা। তবে হানিফ, শ্যামলী, অরিন ও অন্যসব কাউন্টারের গাড়ির টিকিটের দাম আগের মতই নিচ্ছে।
নবী টেক্সটাইল খাজা কাউন্টার মাস্টার মোখলেস ও মালেক, এবং টি আর ট্রেভেলস্ রুস্তম এর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের টিকিট আগের মূল্য ছিলো ৭০০ টাকা এখন ঈদের চাপে টিকিট বিক্রি করছি ৯৫০। ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে নেই। এসব অভিযোগ লোকাল গাড়ির বিরুদ্ধে। আজ যাত্রীর চাপ বাড়তেই ভাড়া বাড়িয়েছে একটা শ্রেণি।
নবী টেক্সটাইল থেকে নয়ন মিয়া বলেন, আমার বাবা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন, আর আমি লেখাপড়া করি। ঈদের ছুটিতে প্রচণ্ড যানজট তারপরেও বাড়ি যেতে হচ্ছে। এছাড়া ৫০০ টাকার টিকিট ১২০০/১৫০০ টাকা। তবুও বাড়িতে যেতে হবে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলাম। ঈদের ছুটিতে যানজটে আটকে আছি জানিনা কখন পৌছাবো বাড়িতে।
এ ব্যাপারে হানিফ পরিবহনের এক চালক বলেন, আমরা ঈদে একটু বাড়তি ইনকামের চেষ্টা করি এটা সত্য। কিন্তু এখন এরকম বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এখন যাত্রীর চাপ বেড়েছে কিন্তু ঈদের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। এসব অভিযোগ মোটেও ঠিক না।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার পুলিশ বলেন, আমরা সর্বদা মহাসড়কে রয়েছি। কোন ধরনের অভিযোগ থাকলে হাইওয়ে পুলিশকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। এছাড়া ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ আমাদের কাছে এখনও কেউ করেন নি। এমনটি হয়ে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।