ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মদিনা প্যালেস নামের একটি ভবনের ৫ টি ফ্লাটে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়েছে নান্দাইল প্রেসক্লাবের ১৭তম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সমাপ্ত সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু

রেকর্ড কিপারের কাছে হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শামীমা সুলতানাও তল্লাশিকারক হৃদয়কে দিয়ে নকলের বাণিজ্য শুরু করেছেন(পর্ব ১)

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
  • / ২৯৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুর যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ রেকর্ড রুমে দৈনিক ৪০০-৫০০ নকলের আবেদন জমা পড়ে। মাসে জমাকৃত আবেদনের সংখ্যা দাঁড়ায় আট হাজার থেকে ১১ হাজার। নকলগুলো থেকে গড়ে ৮৫০ টাকা করে মাসে পৌনে এক কোটি টাকার বেশি ঘুষ আদায় করা হয়।
স্বাক্ষর বাবদ নকলের সংখ্যা গুণে এই বিপুল টাকার বড় অংশ নেন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। বাকি টাকা রেকর্ড কিপারসহ অন্যদের মধ্যে পদ অনুযায়ী ভাগ-বাটোয়ারা হয়।
সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ১৩ মার্চ গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন। তাকে যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি চলতি বছরের ২০ নভেম্বর অবসরে যাবেন।
তল্লাশিকারকরা জানান, ঘটনার আড়ালে-তে প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম কিছুটা চাপে পড়ে ঘুষের রেট ২০০ টাকা কমিয়েছেন। জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহারের সহযোগিতায় তিনি চাকরির শেষ সময়ের বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
দলিল লিখক সমিতির নেতৃস্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমকে সমিতির দু-একজন নেতা মদদ দিচ্ছেন। বিনিময়ে তারা কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করছেন। বিপরীতে কাটা পড়ছে জেলাবাসীর পকেট।
তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা দুদকের একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও কীভাবে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন? দুদক যদি চিহ্নিত ব্যক্তির দুর্নীতি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী উপকার হল? জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সময়ের অনুসন্ধান চলছে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রেকর্ড কিপারের কাছে হিসাব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। শামীমা সুলতানাও তল্লাশিকারক হৃদয়কে দিয়ে নকলের বাণিজ্য শুরু করেছেন(পর্ব ১)

আপডেট টাইম : ১০:৫০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

গাজীপুর যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসহ রেকর্ড রুমে দৈনিক ৪০০-৫০০ নকলের আবেদন জমা পড়ে। মাসে জমাকৃত আবেদনের সংখ্যা দাঁড়ায় আট হাজার থেকে ১১ হাজার। নকলগুলো থেকে গড়ে ৮৫০ টাকা করে মাসে পৌনে এক কোটি টাকার বেশি ঘুষ আদায় করা হয়।
স্বাক্ষর বাবদ নকলের সংখ্যা গুণে এই বিপুল টাকার বড় অংশ নেন সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম। বাকি টাকা রেকর্ড কিপারসহ অন্যদের মধ্যে পদ অনুযায়ী ভাগ-বাটোয়ারা হয়।
সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম গত বছরের ১৩ মার্চ গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন। তাকে যুগ্ম সাব-রেজিস্ট্রি অফিসেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি চলতি বছরের ২০ নভেম্বর অবসরে যাবেন।
তল্লাশিকারকরা জানান, ঘটনার আড়ালে-তে প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন পর সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলম কিছুটা চাপে পড়ে ঘুষের রেট ২০০ টাকা কমিয়েছেন। জেলা রেজিস্ট্রার সাবিকুন নাহারের সহযোগিতায় তিনি চাকরির শেষ সময়ের বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
দলিল লিখক সমিতির নেতৃস্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার জাহাঙ্গীর আলমকে সমিতির দু-একজন নেতা মদদ দিচ্ছেন। বিনিময়ে তারা কিছু বাড়তি সুবিধা ভোগ করছেন। বিপরীতে কাটা পড়ছে জেলাবাসীর পকেট।
তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা দুদকের একাধিক মামলার আসামি হওয়ার পরও কীভাবে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন? দুদক যদি চিহ্নিত ব্যক্তির দুর্নীতি প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী উপকার হল? জনস্বার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সময়ের অনুসন্ধান চলছে