পঞ্চগড় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। চরম ভোগান্তি
- আপডেট টাইম : ১০:৫৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪
- / ৯৯ ৫০০০.০ বার পাঠক
সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। আয়তনে অনেক ছোট শহরটি।। ১,৪০৪.৬২ বর্গকিমি।। শহরের প্রায় সাড়ে ৮ বর্গমাইলের পৌরসভায় চলাচলকারী রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। পঞ্চগড় শহরের কেন্দ্র চৌরঙ্গী মোড়, বানিয়া পট্টিতে যেনো এখন অটোরিকশার রাজত্ব চলে।।যেখানে সেখানে যত্রতত্র পার্কিং করে।।রাস্তা ঘাট দোকান পাট কোনো কিছুই যেনো তাদের থামাতে পারে না।।রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং এর ফলে হরহামেশাই যানজট লেগে যায়।। এবং প্রায় সময় দূর্ঘটনাও ঘটে।।।
তেঁতুলিয়া-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের শহর অংশ পাড় হয়ে একমাত্র ব্রিজ দিয়ে পঞ্চগড়-ঢাকা যাতায়াত করে বিভিন্ন যানবাহন। এছাড়া জেলা শহর থেকে টুনিরহাট হয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলা সড়কটিও পঞ্চগড়-ঢাকা যাতায়াত সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নির্ধারিত কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় শহরের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ ইজিবাইক আর অটোরিকশার দখলে চলে যায়।
অটোরিকশার কারণে তৈরি যানজটে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত ছাড় পায় না।ফলে ভিতরে থাকা রোগীকে সময় মত হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয় না।।এমনকি কোথায় আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস সেখানে দ্রুত যেতে পারে না,,অনেক সময় দেখা যায় ফায়ার সার্ভিস জ্যামের মধ্যে আটকা পড়ে আছে এবং পুড়ে সব ছাই হয়ে যায়।।
এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে অটোরিকশাচালক মজিদ বলেন, প্রতিদিন সকালে অটোরিকশা নিয়ে শহরে আসি। শহরের বিভিন্ন মহল্লায় যাত্রী নিয়ে যাই। সারাদিন শহরে থেকে রাতে বাড়ি ফিরি। আমাদের দাঁড়াবার নির্দিষ্ট কোনো স্থান নেই। এজন্য শহরের কোনো না কোন স্থানে দাঁড়াতে হয়।মুলত অতিরিক্ত অটোরিকশা ইজিবাইক এবং অদক্ষ চালকের জন্যই শহরে জ্যাম এবং দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।।
দোকানের সামনে যত্রতত্র পার্কিং এর ফলে দোকানে কাষ্টমার আসতে পারে না।ফলে বিক্রি ও কম হচ্ছে এমন টাই বলে আসছেন পঞ্চগড়ের দোকানদাররা।।
জেলা শহরের ইলেক্ট্রিক ব্যবসায়ী আব্দুল করিম বলেন, “প্রতিদিন দোকান খোলার পর থেকেই দোকানের সামনে অটোরিকশা আর ইজিবাইক দাঁড়ায়। তাদের জন্য দোকানে ঠিকমতন গ্রাহক আসতে পারে না। আমাদের বেচাকেনার সমস্যা হলেও নানা কারণে তাদের কিছু বলা যায় না”
অথচ এসব যানবাহনের স্ট্যান্ড বাবদ ইজারা দিয়ে বছরে প্রায় ৪৬ লাখ টাকা আয় করেন পৌরসভা। আর ইজারাদার যানবাহন প্রতি টাকা তোলেন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি বছর মোটা অঙ্কের টাকা আয় করলেও এসব পরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে স্ট্যান্ড বা অন্য সুবিধা দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। আর চাহিদা অনুযায়ী টাকা (টোল) দিয়েও স্ট্যান্ড না পেয়ে বাধ্য হয়ে যত্রতত্র পার্কিং করেন বলে দাবি অটোরিকশাচালকসহ শ্রমিক নেতাদের।