ঢাকা ১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল কোস্ট গার্ডের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটক নব নির্বাচিত হরিরামপুর প্রেসক্লাবের মাসিক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত ভৈরবে ভবানী পুর সালিশ বৈঠকে ২ বংশের মাঝে সংঘর্ষে ১জন নিহত ২০ জন হাহত হয় খামেনিকে বাদশাহ সালমানের চিঠি পৌঁছে দিলেন সৌদির প্রতিরক্ষামন্ত্রী

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

কাজী রফিকুল হাসান জামালপুর।
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • / ১৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।