ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি, নগদ টাকা সহ ৬জন আসামী গ্রেপ্তার শান্তি নিবিড় সেবা ফাউন্ডেশন ও শান্তি নিবিড় পাঠাগার এর পক্ষ থেকে সম্মাননা পদক প্রদান করা হলো পাথরঘাটায় শূন্য থেকে কোটিপতি ফ্রিল্যান্সার বেলাল হোসেন, করছেন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ফুলবাড়ী অনলাইন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন সড়কে ঝরলো যুবকের প্রান ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন চট্টগ্রামে ১১৫ তম জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ।। বলি খেলা এক ধরনের কুস্তি খেলা যে খেলায় অনেক কুস্তি অংশগ্রহণ করেন জামালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্ভাবনার নতুন দুয়ার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া আখানগর ইসতিসকার নামাজে বৃষ্টির জন্য চোখের পানি ফেলে দোয়া

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি, নগদ টাকা সহ ৬জন আসামী গ্রেপ্তার

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০৭ পূর্বাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।