ঢাকা ০৮:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ভৈরবে সুইচ গিয়ার এক ছিনতাইকারী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪ ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের বিশুদ্ধানন্দ – শুভানন্দ অডিটোরিয়াম অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাজেকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক কটেজ ও রেস্টুরেন্টে রমজানে সরকারি অফিসের সময়সূচি ঘোষণা মুসলিম ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী সাবেক আইজিপিসহ ১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার এবার বিপ্লব কুমার সরকার ও মেহেদি হাসান বরখাস্ত ছাত্রীনিবাস থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয় সংঘর্ষ। আহত অর্ধ শতাধিক টঙ্গীতে ডেভিল হান্ট এর অভিযানে আ.লীগের নেত্রী ও তার পাঁচ সহযোগীকে ১৭৫১ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১
  • / ৩২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।

সম্মেলনের ১৫ মাস পর ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।

গত সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এমপির নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে জেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সকলের মতামতের ভিত্তেতে মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের ৯ মাস পর জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেন। প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়ার ৫ মাস পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এমপির নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে সদস্য পদে রয়েছেন ৩৬ জন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২জন নারী পদ পেয়েছেন ও ১জন নারী সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন মুখ রয়েছে ১৭ জন, এরমধ্যে পদে রয়েছে ৫ জন ও সদস্য পদে রয়েছে ১২ জন। সদস্য পদে নতুন মুখ রয়েছে আবু হাসনাত বাবু, আহসান হাবীব বুলবুল, বনি আমিন, রাজিউর রহমান খোকন চৌধুরী, অ্যাড. মোজ্ফ্ফর আহমেদ মানিক, পারথ সারথি সেন, আবু সাঈদ বাবু, রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, কশিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, মাসুদুর রহমান বাবু,

উপ-প্রচার সম্পাদক পদে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সোহেল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ বেলাল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান।

অনুমোদিত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, আব্দুল মান্নান, অ্যাড. তোজাম্মেল হক মঞ্জু, অ্যাড. ফজলুল হক, প্রবীর কুমার রায়, অ্যাড. শেখর কুমার রায়, মাহাবুবুর রহমান খোকন, এসএমএ মঈন, আক্তারুল ইসলাম, আবু মোতালেব চৌধুরী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন অ্যাড. আ স ম গোলাম ফারুক রুবেল, অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, মনিরুজ্জামান জুয়েল। সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, মাজহারুল ইসলাম সুজন, সন্তোষ কুমার আগরওয়াল।

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায়, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক চৌধুরী, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. নাসিরুল ইসলাম নাসির, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাসান আলী, বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আলতাফুল রহমান খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীয়া সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক হাবীব আহম্মেদ উলুব্বী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান দুলাল, শ্রম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মুক্তা সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মহিদুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাঈদ সোহেল, কোষাধ্যক্ষ বেলাল হোসেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়ে তা কেটে গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, প্রবীণ ও তরুণদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণ নেতৃত্ব দলকে আরও সুসংগঠিত করবে। কমিটির দায়িত্ব পাওয়া নেতারা এখন থেকে আরও আন্তরিকভাবে দলের কাজ করতে পারবেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন

আপডেট টাইম : ০৫:১৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মার্চ ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি।।

সম্মেলনের ১৫ মাস পর ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।

গত সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এমপির নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর শহরের জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম হলরুমে জেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সকলের মতামতের ভিত্তেতে মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীকে সভাপতি ও দীপক কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৪ জনের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনের ৯ মাস পর জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্রে জমা দেন। প্রস্তাবিত কমিটি জমা দেওয়ার ৫ মাস পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এমপির নির্দেশক্রমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন। ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মধ্যে সদস্য পদে রয়েছেন ৩৬ জন।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ২জন নারী পদ পেয়েছেন ও ১জন নারী সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এছাড়াও পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে নতুন মুখ রয়েছে ১৭ জন, এরমধ্যে পদে রয়েছে ৫ জন ও সদস্য পদে রয়েছে ১২ জন। সদস্য পদে নতুন মুখ রয়েছে আবু হাসনাত বাবু, আহসান হাবীব বুলবুল, বনি আমিন, রাজিউর রহমান খোকন চৌধুরী, অ্যাড. মোজ্ফ্ফর আহমেদ মানিক, পারথ সারথি সেন, আবু সাঈদ বাবু, রেজওয়ানুল হক বিপ্লব, কশিরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের, মাসুদুর রহমান বাবু,

উপ-প্রচার সম্পাদক পদে রয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সোহেল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ বেলাল হোসেন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান।

অনুমোদিত কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সাংসদ সেলিনা জাহান লিটা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান বাবলু, আব্দুল মান্নান, অ্যাড. তোজাম্মেল হক মঞ্জু, অ্যাড. ফজলুল হক, প্রবীর কুমার রায়, অ্যাড. শেখর কুমার রায়, মাহাবুবুর রহমান খোকন, এসএমএ মঈন, আক্তারুল ইসলাম, আবু মোতালেব চৌধুরী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন অ্যাড. আ স ম গোলাম ফারুক রুবেল, অ্যাড. মোস্তাক আলম টুলু, মনিরুজ্জামান জুয়েল। সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী, মাজহারুল ইসলাম সুজন, সন্তোষ কুমার আগরওয়াল।

আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ইন্দ্রনাথ রায়, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল হক চৌধুরী, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. নাসিরুল ইসলাম নাসির, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হাসান আলী, বিজ্ঞাপন ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আলতাফুল রহমান খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা তুলি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীয়া সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী, শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক হাবীব আহম্মেদ উলুব্বী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শামসুজ্জামান দুলাল, শ্রম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান মুক্তা সরকার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা: মহিদুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক নুরুল হক জুয়েল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাঈদ সোহেল, কোষাধ্যক্ষ বেলাল হোসেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। এখন পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেয়ে তা কেটে গেছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী বলেন, প্রবীণ ও তরুণদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে। প্রবীণদের পাশাপাশি তরুণ নেতৃত্ব দলকে আরও সুসংগঠিত করবে। কমিটির দায়িত্ব পাওয়া নেতারা এখন থেকে আরও আন্তরিকভাবে দলের কাজ করতে পারবেন।