ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

ইবির সাদ্দাম হোসেন হলে অবহেলায় জরাজীর্ণ আলোকসজ্জার বাতিগুলো

  • ইবি প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪
  • ২৬ ০.০০০ বার পাঠক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাদ্দাম হোসেন হলে আলোকসজ্জার বাতিগুলো অবহেলায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে এবং বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন থেকে জিয়া মোড় পর্যন্ত হলের সীমানা দেয়ালে নেই কোনো ল্যাম্পপোস্ট। এসব বাতিগুলোর সংস্কার নেই কয়েক বছরেও। দিনের আলোতে সৌন্দর্য ফিরে আসলেও, রাতের আঁধারে যেন সৌন্দর্য হারিয়ে মলিন হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত এ হলটি।

সরেজমিনে উক্ত হল পরিদর্শন করে দেখা যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণে হলের ভেতরে ও বাইরের দিকে সারি সারি আলোকসজ্জার বাতি ছিল। তবে সেগুলো এখন অকার্যকর। বাগানে বসার স্থানে সৌন্দর্য বর্ধনের বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। হলের চারপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কিছু ভালো লাইট থাকলেও তা অকেজো হয়ে পরে আছে দিনের পর দিন। আবার হল গেটের সামনে ছাউনিসহ বসার স্থান থাকলেও, সেখানেও নেই কোনো বাতির ব্যবস্থা।
এছাড়াও হলের সৌন্দর্য বর্ধন ও আলোর জন্য বাগান বসানো হয়েছেছিল বিভিন্ন রকমের বাতি। অবহেলায় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়াও হলের ভিতরের লাইটগুলো অধিকাংশ অকেজো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সাপের আতঙ্ক বিরাজ করে। কিছুদিন পূর্বে ডাইনিং থেকে খাদ্য দ্রব্য চুরির অভিযোগ আসে সেটাও পর্যাপ্ত আলোর অভাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম থাকাকালীন হলের সৌন্দর্য ও আলো বৃদ্ধিতে আলোকসজ্জার বাতিগুলো ও সোডিয়াম লাইট বসানো হয়েছিল। তবে করোনাকালীন সময়ে হল বন্ধের পর লাইটগুলো চুরি হয়ে যায়। তারপর থেকে আর কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।

হলের আবাসিক শির্ক্ষাথীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাগানে পর্যাপ্ত আলো নেই। সন্ধ্যার পর সবগুলো লাইট জ্বলে না, আবার আলোও কম থাকে। দিনের বেলায় বাগানে সৌন্দর্য প্রকাশ পেলেও রাতে হয় ঘুটঘুটে অন্ধকার, কিছুদিন পরপর সাপ দেখতে পাওয়া যায় হলের বিভিন্ন প্রান্তে । তাছাড়া বেশ কিছু ওয়াশরুমে ও বেসিনগুলোতে আলোর স্বল্পতার কারণে ভোগান্তিতে পরতে হয় আমাদের।

একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজিব বিশ্বাস বলেন, হলে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে বিষাক্ত পোকামাকর ও মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলের মধ্যে ও চারপাশে পর্যাপ্ত লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করা এবং বাগানে আলোকসজ্জার বাতিগুলোর দিকে নজর দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, কর্মকর্তাদের নিয়ে হলে লাইটগুলো লাগানোর ব্যবস্থা নিব। পুরাতন হল হওয়ার কারণে লাইট সহ হলের অনেক কিছুই এখন নষ্ট হয়ে আছে। খুব শিগ্রই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ইবির সাদ্দাম হোসেন হলে অবহেলায় জরাজীর্ণ আলোকসজ্জার বাতিগুলো

আপডেট টাইম : ০৯:০৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাদ্দাম হোসেন হলে আলোকসজ্জার বাতিগুলো অবহেলায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে এবং বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন থেকে জিয়া মোড় পর্যন্ত হলের সীমানা দেয়ালে নেই কোনো ল্যাম্পপোস্ট। এসব বাতিগুলোর সংস্কার নেই কয়েক বছরেও। দিনের আলোতে সৌন্দর্য ফিরে আসলেও, রাতের আঁধারে যেন সৌন্দর্য হারিয়ে মলিন হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত এ হলটি।

সরেজমিনে উক্ত হল পরিদর্শন করে দেখা যায়, সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণে হলের ভেতরে ও বাইরের দিকে সারি সারি আলোকসজ্জার বাতি ছিল। তবে সেগুলো এখন অকার্যকর। বাগানে বসার স্থানে সৌন্দর্য বর্ধনের বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। হলের চারপাশে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কিছু ভালো লাইট থাকলেও তা অকেজো হয়ে পরে আছে দিনের পর দিন। আবার হল গেটের সামনে ছাউনিসহ বসার স্থান থাকলেও, সেখানেও নেই কোনো বাতির ব্যবস্থা।
এছাড়াও হলের সৌন্দর্য বর্ধন ও আলোর জন্য বাগান বসানো হয়েছেছিল বিভিন্ন রকমের বাতি। অবহেলায় সেগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়াও হলের ভিতরের লাইটগুলো অধিকাংশ অকেজো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই পর্যাপ্ত আলোর অভাবে সাপের আতঙ্ক বিরাজ করে। কিছুদিন পূর্বে ডাইনিং থেকে খাদ্য দ্রব্য চুরির অভিযোগ আসে সেটাও পর্যাপ্ত আলোর অভাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম থাকাকালীন হলের সৌন্দর্য ও আলো বৃদ্ধিতে আলোকসজ্জার বাতিগুলো ও সোডিয়াম লাইট বসানো হয়েছিল। তবে করোনাকালীন সময়ে হল বন্ধের পর লাইটগুলো চুরি হয়ে যায়। তারপর থেকে আর কোন পরিবর্তন আনা হয়নি।

হলের আবাসিক শির্ক্ষাথীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বাগানে পর্যাপ্ত আলো নেই। সন্ধ্যার পর সবগুলো লাইট জ্বলে না, আবার আলোও কম থাকে। দিনের বেলায় বাগানে সৌন্দর্য প্রকাশ পেলেও রাতে হয় ঘুটঘুটে অন্ধকার, কিছুদিন পরপর সাপ দেখতে পাওয়া যায় হলের বিভিন্ন প্রান্তে । তাছাড়া বেশ কিছু ওয়াশরুমে ও বেসিনগুলোতে আলোর স্বল্পতার কারণে ভোগান্তিতে পরতে হয় আমাদের।

একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজিব বিশ্বাস বলেন, হলে পর্যাপ্ত আলোর অভাবে বিষাক্ত পোকামাকর ও মশার উপদ্রব বেড়েছে। হলের মধ্যে ও চারপাশে পর্যাপ্ত লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করা এবং বাগানে আলোকসজ্জার বাতিগুলোর দিকে নজর দেওয়া হোক।

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, কর্মকর্তাদের নিয়ে হলে লাইটগুলো লাগানোর ব্যবস্থা নিব। পুরাতন হল হওয়ার কারণে লাইট সহ হলের অনেক কিছুই এখন নষ্ট হয়ে আছে। খুব শিগ্রই এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।