ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ১৯ দিনে এলো ২১ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মিলিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি হারে ফোর্স নিতে জাতিসংঘকে আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাকরাইলে জাল জালিয়াতির রাজউক নকশার মাধ্যমে গড়ে তোলেন বহুতল ভবন কোস্ট গার্ডের অভিযানে ডাকাত করিম শরীফ বাহিনীর দুই সহযোগী আটকসহ জিম্মি থাকা দুই জেলে উদ্ধার ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ ইউনিফর্ম ও অস্ত্রধারী আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সার্বভৌম সীমা লঙ্ঘন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মিয়া গোলাম পরওয়ার চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান

গাজীপুরের মির্জাপুর ভূমি অফিসে ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতির দালাল চক্রের,সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি

সময়ের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক

গাজীপুরের মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সদর উপজেলার মধ্যে বৃহত্তম তহশিল অফিস। পিরুজালী ও ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন এই অফিসের অন্তর্ভুক্ত। অফিসটিকে ঘিরে ঘুষ-দুর্নীতির চক্র গড়ে উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলা ভূমি অফিসের অধীন মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস মির্জাপুর বাজারে অবস্থিত। অফিসে ঢুকতেই ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ কর্মচারীদের বড় রুম। পূর্ব পাশের রুমে বসেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীম।

পশ্চিম পাশের রুম অফিস চলাকালীন সময়ে তালাবদ্ধ থাকে। রুমটির পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি বিকল্প দরজা। ভেতরে চেয়ার-টেবিল ও ল্যাপটপ-প্রিন্টার। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ এই রুমে অন্তত নয়জন উমেদার নামধারী দালাল নিয়মিত কাজ করছিলেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি এড়াতে মূল দরজা

তালাবন্ধ রাখা হচ্ছিল। জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম গাজীপুরে যোগদানের বিছুদিন পর দালালদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন। এরপরও কর্মকর্তারা কৌশল পাল্টে দালাল লালন অব্যাহত রেখেছেন।

দালাল সোহেল রানা, রহিম মিয়া ও আবদুল হক এখনো অফিসের ভেতরে কাজ করেন। জনসাধারণ জমির নামজারির বিষয়ে নায়েবদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দালাল ও কর্মচারীদের দেখিয়ে কথা বলতে বলেন। পরে তারা চুক্তি করে অনলাইনে

আবেদনসহ সব করে দেন। অন্য দালালরা অফিসের বাইরে বিভিন্ন দোকানে অবস্থান করে কাজ করছেন। তারা অফিস সময়ের পর ভেতরে ঢুকে ফাইল অনুযায়ী হিসাব বুঝিয়ে দেন। দালালি ব্যবসা করে কেউ কেউ বাড়ি-গাড়ির মালিকও হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীম আগে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি

অফিসে ছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর তাকে মির্জাপুর ভূমি অফিসে পোস্টিং দেওয়া হয়। তিনি আগেও এই লোভনীয় অফিসে কর্মরত ছিলেন। তার টেবিলে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না।

কয়েকজন সেবাপ্রার্থী জানান, মির্জাপুর ভূমি অফিসে জমির ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী ঘুষ নেওয়া হয়। সাধারণ খারিজে ১০-১৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়।

টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ ছাড়া মূল জোতের খাজনা বেশি হলে কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে সরকারের রাজস্ব আদায় কম দেখান। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এভাবে মাসে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার আড়ালে-কে বলেন, অফিস থেকে সব দালাল বের করে দেওয়া হয়েছে। অফিসের বাইরে যদি দালাল বসে থাকে, মানুষ কাজ দেয়, তাহলে কিছু করার নেই। দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গাজীপুরের মির্জাপুর ভূমি অফিসে ঘুষ অনিয়ম ও দুর্নীতির দালাল চক্রের,সেবাপ্রার্থীদের ভোগান্তি

আপডেট টাইম : ০৭:১৩:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুরের মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সদর উপজেলার মধ্যে বৃহত্তম তহশিল অফিস। পিরুজালী ও ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন এই অফিসের অন্তর্ভুক্ত। অফিসটিকে ঘিরে ঘুষ-দুর্নীতির চক্র গড়ে উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, সদর উপজেলা ভূমি অফিসের অধীন মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস মির্জাপুর বাজারে অবস্থিত। অফিসে ঢুকতেই ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ কর্মচারীদের বড় রুম। পূর্ব পাশের রুমে বসেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীম।

পশ্চিম পাশের রুম অফিস চলাকালীন সময়ে তালাবদ্ধ থাকে। রুমটির পশ্চিম পাশ দিয়ে একটি বিকল্প দরজা। ভেতরে চেয়ার-টেবিল ও ল্যাপটপ-প্রিন্টার। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ এই রুমে অন্তত নয়জন উমেদার নামধারী দালাল নিয়মিত কাজ করছিলেন। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি এড়াতে মূল দরজা

তালাবন্ধ রাখা হচ্ছিল। জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম গাজীপুরে যোগদানের বিছুদিন পর দালালদের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন। এরপরও কর্মকর্তারা কৌশল পাল্টে দালাল লালন অব্যাহত রেখেছেন।

দালাল সোহেল রানা, রহিম মিয়া ও আবদুল হক এখনো অফিসের ভেতরে কাজ করেন। জনসাধারণ জমির নামজারির বিষয়ে নায়েবদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দালাল ও কর্মচারীদের দেখিয়ে কথা বলতে বলেন। পরে তারা চুক্তি করে অনলাইনে

আবেদনসহ সব করে দেন। অন্য দালালরা অফিসের বাইরে বিভিন্ন দোকানে অবস্থান করে কাজ করছেন। তারা অফিস সময়ের পর ভেতরে ঢুকে ফাইল অনুযায়ী হিসাব বুঝিয়ে দেন। দালালি ব্যবসা করে কেউ কেউ বাড়ি-গাড়ির মালিকও হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীম আগে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়ন ভূমি

অফিসে ছিলেন। গত ১৫ নভেম্বর তাকে মির্জাপুর ভূমি অফিসে পোস্টিং দেওয়া হয়। তিনি আগেও এই লোভনীয় অফিসে কর্মরত ছিলেন। তার টেবিলে টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না।

কয়েকজন সেবাপ্রার্থী জানান, মির্জাপুর ভূমি অফিসে জমির ধরন ও পরিমাণ অনুযায়ী ঘুষ নেওয়া হয়। সাধারণ খারিজে ১০-১৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়।

টাকা না দিলে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। এ ছাড়া মূল জোতের খাজনা বেশি হলে কর্মকর্তারা ঘুষের বিনিময়ে সরকারের রাজস্ব আদায় কম দেখান। এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এভাবে মাসে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল আলীমের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার আড়ালে-কে বলেন, অফিস থেকে সব দালাল বের করে দেওয়া হয়েছে। অফিসের বাইরে যদি দালাল বসে থাকে, মানুষ কাজ দেয়, তাহলে কিছু করার নেই। দৈনিক সময়ের কণ্ঠ পত্রিকায় চোখ রাখুন